অসম-কেরল নয়, বরং বাংলার ভোটই গড়ে দেবে কংগ্রেস এবং গান্ধীদের ভবিষ্যৎ
কংগ্রেসের ইতিহাসে দলের অন্দরে বিভাজন এই প্রথম নয়। এর আগেও বেশ কয়েকবার কংগ্রেসের অন্দরে গান্ধীদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ দেখা গিয়েছে। তবে প্রতিবারই ঘুরে দাঁড়িয়েছে কংগ্রেস। তবে গত একবছর ধরে কংগ্রেসের অন্দরে যেভাবে গান্ধী বিরোধিতার চোরাস্রোত বইতে শুরু করেছে, তা ঠেকানোর উপায় কী? অসম ও কেরলে নির্বাচনে কংগ্রেসের ভালো ফল কী কংগ্রেস এবং গান্ধীদের ঘুরে দাঁড়াতে সাহায্য করবে?
কংগ্রেসের অভ্যান্তরে বিদ্রোহীদের প্রস্তুতি
সূত্রের খবর, কংগ্রেসের বিদ্রোহী ২৩ জন নেতার জোটের তরফে 'প্রস্তুতি' নেওয়া হচ্ছে। কেরল বা অসমের নির্বাচনে যদি কংগ্রেস ভালো ফল করতে ব্যর্থ হয়, তাহলেই ঘটবে 'বিস্ফোরণ'। এই পরিস্থিতিতে মনে হয় কংগ্রেসের মাথায় বসানো হতে পারে গান্ধী ঘনিষ্ঠ কোনও নেতাকে। অশোক গেহলট, কেসি বেণুগোপাল বা মুকুল ওয়াসনিকের হাতে কংগ্রেসের দায়িত্ব দেওয়া হতে পারে।
জাতীয় রাজনীতিতে ঘুরে দাঁড়ানোর পথ খুঁজছে কংগ্রেস
এদিকে অনেক বিশেষজ্ঞের মত, এই পাঁচরাজ্যের নির্বাচনের ফলাফল প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর উত্থান ঘটাতে পারে। অসম, বাংলা, কেরল, পুদুচেরি, তামিলনাড়ুতে কংগ্রেস একক ভাবে কেমন ফল করবে তার দিকে তাকিয়ে রাজনৈতিক মহল। এই নির্বাচনগুলির মাধ্যমে কংগ্রেস চাইছে জাতীয় রাজনীতিতে ঘুরে দাঁড়াতে। তবে তা কতটা সম্ভব হবে, তা জানতে অপেক্ষা করতে হবে ২ মে পর্যন্ত।
গান্ধীদের জন্য সব থেকে বড় পরীক্ষা বাংলায়
গান্ধীদের জন্য সব থেকে বড় পরীক্ষা বাংলায়। যা থেকে এখনও পর্যন্ত নিজেদের দূরে রেখেছেন রাহুল-প্রিয়াঙ্কারা। দক্ষিণী রাজ্যগুলির পাশাপাশি অসমে একাধিকবার ভোট প্রচারে গিয়েছেন রাহুল-প্রিয়াঙ্কা। তবে বাংলায় একবারও আসেননি তাঁরা। আদৌ তাঁরা আসবেন কি না, তা জানা নেই কারোর। কেরলে বামজোটের বিরুদ্ধে লড়াই করা কংগ্রেস এরাজ্যে বামেদের সঙ্গে। সেই অস্বস্তি থেকে যদি রাহুল-প্রিয়াঙ্কারা বাংলাতে নাও এসে থাকেন, এখন সময় এসেছে। এবং বাংলার পরীক্ষার উপরই আদতে নির্ভর করছে গান্ধীদের 'ফিরে আসা'।
দল বাঁচিয়ে রাখা বড় চ্যালেঞ্জ হতে পারে
রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মত, নির্বাচন পরবর্তী সময়ে বাংলায় কংগ্রেসে বড়সড় ভাঙন দেখা দিতে পারে। যদি তৃণমূল কংগ্রেস সরকার গঠন করার মতো পরিস্থিতিতে না আসতে পারে তাহলে কংগ্রেসের অবশিষ্ট শক্তি তাদের দিকে ঝুঁকতে পারে। বা সেরম হলে বিজেপিও কংগ্রেসের নেতাদের নিজেদের দিকে টেনে নিতে পারেন।
অক্সিজেন খুঁজে পাবে কংগ্রেস?
এদিকে যদি মমতা বাংলায় জিততে পারে, তাহলে জাতীয় রাজনীতির ক্ষেত্রে কংগ্রেসকে পাশে সরিয়ে রেখে তৃণমূল মোদী-শাহের চ্যালেঞ্জার হয়ে উঠতে পারে। আবার কংগ্রেস যদি মমতাকে পাশে পায়, তাহলে অক্সিজেনও খুঁজে পেতে পারে। এবং এই পরিস্থিতিতে সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারেন সোনিয়া গান্ধী। অর্থাৎ, কংগ্রেস এবং গান্ধীদের ভবিষ্যৎ কী হবে, তা নির্ধারণ করবে বাংলার ভোট।