বন্দুকধারী বলবিন্দরের পাগড়ি বিতর্কে মুখ খুলল পুলিশ
বৃহঃষ্পতিবার বিজেপি নবান্ন চলো অভিযানের পর থেকেই একাধিক ইস্যুতে উত্তাল হয়েছে রাজ্য রাজনীতি। আর প্রতিক্ষেত্রেই রাজ্য সরকারের ভূমিকা নিয়ে উঠেছে একাধিক বড়সড় প্রশ্ন। যদিও ওই মিছিল থেকে বলবিন্দর সিং নামে এক শিখ ধর্মাবলম্বীর কাছ থেকে আগ্নেয়াস্ত্র পাওয়া যাওয়াতে খানিক কোণঠাসা গেরুয়া শিবির। এদিকে বলবিন্দরের গ্রেফতারির সময় তার পাগড়ি টেনে খুলে নেওয়ায় ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাতের অভিযোগ উঠেছে পুলিশের বিরুদ্ধেও। এবার তা নিয়েই মুখ খুলল কলকাতা পুলিশ।
এদিকে বিপির নবান্ন অভিযানকে কেন্দ্র করে কার্যত রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় হাওড়া কলকাতার বিস্তৃর্ণ এলাকা। বিক্ষোভকারীদের ঠেকাতে নির্বাচারে লাঠিচার্জের পাশাপাশি জলকামান এমনকী টিয়ার গ্যাসের সেলও ফাটায় কলকাতা পুলিশ। সেই সময়ই বিক্ষোভকারীদের উপর জলকামানের নামে 'রাসায়নিক মিশ্রতি’ নীল রঙ ছড়ানো অভিযোগ তোলে বঙ্গ বিজেপি। এদিকে মিছিল থেকেই বলবিন্দর সিংয়ের কাছ থেকে বন্দুক উদ্ধার ও তার গ্রেফতারিতে কলকাতা পুলিশের ভূমিকা নিয়ে শুক্রবার দিনভর চলল তুমুল বিতর্ক।
ইতিমধ্যেই একাধিক সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে ভাইরালও হয় বলবিন্দরের গ্রেফতারির দৃশ্য। যেখানে দেখা যায় তার কাছ থেকে আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধারের পর তাকে টেনেহিচরে পুলিশ ভ্যানে তোলার সময় পাগরিও খুলে পড়ে যায়। যাতে ক্ষুব্ধ হন শিখ সম্প্রদায়ের অনেকেই। এমনকী এই ঘটনায় সরকারি মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপের দাবি তুলে টুইট করতে দেখা যায় ক্রিকেটার হরভজন সিংয়কেও। সুর চড়ান রাজ্য বিজেপির নেতারাও।
এই ইস্যুতে ক্রমশ রাজনীতির পারদ চড়তে থাকলে গোটা ঘটনার বিবরণ দিতে পাল্টা টুইট পোস্টে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করল কলকাতা পুলিশ। যদিও এই ক্ষেত্রে বলবিন্দরের পাগড়ি খোলার অভিযোগ স্বীকার করা হলেও তা ইচ্ছাকৃত ভাবে করা হয়নি বলেই শুক্রবার রাতের টুইট বার্তায় জানানো হয় কলকাতা পুলিশের তরফে। পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের স্পষ্ট বক্তব্য, “ ধস্তাধস্তির সময়েই বলবিন্দরের মাথা থেকে পাগড়ি আচমকাই খুলে যায়। কোনও নির্দিষ্ট সম্প্রদায়ের ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত করার জন্য পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ এই কাজ করেনি। এটা কোনোভাবেই আমাদের উদ্দেশ্যও নয়।'”
একইসাথে পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের তরফে আরও লেখা হয়, “ আমরা প্রতিটি ধর্মের মানুষকেই সমান চোখে দেখি। অ্যারেস্ট করার আগে বলবিন্দরকে পাগড়ি পরে নিতেও বলা হয়েছিল। ” তাদের কথার প্রমাণ স্বরূপ থানায় নিয়ে যাওয়ার আগে পুলিশ ভ্যানের পাশে পাগড়ি পরিহিত বলবিন্দরের ছবিও পোস্ট করা হয় পুলিশের তরফে।