হাই-অ্যালার্টের মধ্যেই বিনপুরে উদ্ধার মাও পোস্টার, গ্রেফতার বিশ্বভারতীর দুই প্রাক্তনী
ইতিমধ্যে মাওবাদী হামলার আশঙ্কায় জঙ্গলমহল। একাধিক জায়গাতে মাওবাদী হামলার আশঙ্কা রয়েছে। ইতিমধ্যেই জঙ্গলমহলের বিস্তারিত এলাকা জুড়ে হাই-অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে। আর এর মধ্যেই ফের একবার মাওবাদী পোস্টার উদ্ধার। আর মাও পোস্টার
ইতিমধ্যে মাওবাদী হামলার আশঙ্কায় জঙ্গলমহল। একাধিক জায়গাতে মাওবাদী হামলার আশঙ্কা রয়েছে। ইতিমধ্যেই জঙ্গলমহলের বিস্তারিত এলাকা জুড়ে হাই-অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে। আর এর মধ্যেই ফের একবার মাওবাদী পোস্টার উদ্ধার। আর মাও পোস্টার উদ্ধারকে কেন্দ্র করে নতুন করে আতঙ্ক তৈরি হয়েছে।
শুধু তাই নয়, বিনপুরে জঙ্গলে বড়সড় একটা শব্দও শোনা গিয়েছে বলে খবর। তবে ঠিক কীসের শব্দ তা স্পষ্ট নয় বলেই খবর।
তবে উদ্ধার হওয়া মাওবাদী পোস্টারগুলিতে রীতিমত হুমকি দেওয়া হয়েছে। এমনকি হামলার বার্তাও দেওয়া হয়েছে। ফলে ব্যাপক আতঙ্ক তৈরি হয়েছে। গত শনিবারও বিনপুরের স্টেশন সংলগ্ন এলাকা থেকে মাওবাদী পোস্টার উদ্ধার হয়। আর এর মধ্যেই ফের একবার জঙ্গলমহলে মাওবাদী পোস্টার উদ্ধারকে কেন্দ্র করে ব্যাপক উত্তেজনা।
পোস্টার উদ্ধারের খবর সামনে আসার পরেই নড়েচড়ে বসেছে পুলিশ আধিকারিকরা। ইতিমধ্যে ঘটনাস্থলে পৌঁছে মাওবাদী পোস্টারগুলি উদ্ধার করা হয়েছে। কে বা কারা এই পোস্টারগুলি লাগালো তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
অন্যদিকে মাওবাদী কার্যকলাপের সঙ্গে যুক্ত সন্দেহে দু'জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, ধৃত দুই জন বিশ্বভারতীর দুই প্রাক্তনী। তাঁদের সঙ্গে মাওবাদীদের যোগসাজস রয়েছে। এমনটাই চাঞ্চল্যকর তথ্য হাতে এসেছে পুলিশের। আর এরপরেই গোপন সুত্রে খবর পেয়ে হানা দেয় পুলিশের একটা দল। তাদের হাতেনাতে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে খবর।
যদিও ধৃতদের দাবি, তাঁদের ইচ্ছাকৃত ভাবে মিথ্যা মামলাতে ফাঁসানো হয়েছে। যদিও পুলিশের দাবি, ধৃতদের সঙ্গে মাওবাদীদের যোগাযোগ থাকার একাধিক প্রমাণ তাঁদের কাছে আছে। এমনকি বেশ কিছু মাওবাদী কার্যকলাপ সংক্রান্ত পোস্টারও উদ্ধার করা হয়েছে বলে পুলিশের তরফে দাবি করা হয়েছে।
এই মুহূর্তে ধৃতদের জেরা করা হচ্ছে পুলিশের তরফে।
জঙ্গলমহলে নতুন করে ঘাঁটি তৈরি করছে মাওবাদীরা। বিভিন্ন থানা সহ রাজনেতাদের উপর হামলা চালাতে পারে মাওবাদীরা। এই মর্মে তথ্য দেওয়া হয়েছে রাজ্য গোয়েন্দাদের। আর তা পাওয়া মাত্র জঙ্গলমহল জুড়ে হাই অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে। বিভিন্ন জায়গাতে তল্লাশি চলছে পুলিশের। নাকা চেকিং করেও প্রত্যেকটি মানুষকেও তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
এছাড়াও রাজ্য পুলিশের সমস্ত পুলিশ আধিকারিকদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে। থানাগুলিকে হাই অ্যালার্টে থাকতে বলা হয়েছে। এছাড়াও কোনও রাজনৈতিক নেতা যাতে নিরাপত্তারক্ষী না ছাড়েন সে বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলা হয়েছে। সব মিলিয়ে চূড়ান্ত সতর্কতা নেওয়া হচ্ছে রাজ্য প্রশাসনের তরফে।