প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর শ্যালিকার ঠিকানা এখন মানসিক হাসপাতাল
প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর শ্যালিকার ঠিকানা এখন মানসিক হাসপাতাল
জামাইবাবু রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অথচ ডানলপের বাসস্ট্যান্ডের ধারে ভবঘুরে বৃদ্ধাকে দেখে বোঝার উপায় নেই তাঁর সঙ্গে এই ভিভিআইপি লিঙ্ক রয়েছে। সত্যিটা যখন জানাজানি হল তখন সকলে এক প্রকার চমকে গিেয়ছিলেম। ডানলপের ফুটপাথ থেকে এখন তাঁর ঠাঁই হয়েছে মানসিক হাসপাতাল। এক কথায় বলা চলে শিক্ষক দিবস হুঁস ফেরাল শহরবাসীর।
ফুটপাথে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর শ্যালিকা
ডাবলপ বাসস্ট্যান্ডের পাশে প্রতিদিনই দেখতে পেতেন পথ চলতি মানুষ। কেউ দয়া করে ২-এক টাকা দিয়ে দিতেন। কেউ আবার বিরক্ত হয়ে পাশ কাটিয়ে চলে যেতেন। উসকো-খুসকো চুল। গায়ে জীর্ন একটা নাইটি। আশপাশের এলাকাতেই ঘুের বেরাতেন তিনি। জোরে জোের নিয়ম করে বাংলা এবং ইংরেজি সংবাদ পত্র পড়তেন তিনি। কেই কাছে এসে কথা বলতে চাইলে দূের সরে যেতেন। পিছিয়ে যেতে বলতেন। দূর থেকে কথা বলুন বলতে সকলকে। কেউ টাকা দিতে এলে রেগে যেতেন বলতেন আমার ব্যাঙ্কে টাকা আছে।
হুঁশ ফিরল শিক্ষক দিবসে
বৃদ্ধার আসল পরিচিতি জানা গেল শিক্ষক দিবসের দিন। সেদিন এক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন তাঁকে সংবর্ধনা দিতে আসেন। তখনই জানা যায় সত্যিটা। জানা যায় তিনি রহড়া প্রিয়নাথ বালিকা বিদ্যালয়ের জীব বিজ্ঞানের প্রাক্তন শিক্ষিকা ইরা বসু। ভাইরোলজিতে পিএইচডি, ইংরাজি এবং বাংলা, দুই ভাষাতেই সমান দখল ইরা দেবীর। এখানেই শেষ নয় রাজ্য ক্রীড়ায় বিশেষ করে টেবিল টেনিসে বিশেষ সুনাম ছিল তাঁর। আরও একটি বড় কথা প্রকাশ্যে আসে। তিনি প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের শ্যালিকা।
তৎপর খড়দহ পুরসভা
খবরটা সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশ পেতেই শোরগোল পড়ে যায় গোটা রাজ্যে। খবর যায় খড়দহ পুরসভাতেও। সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে উদ্ধার করতে বরানগর থানায় পাঠায় পুরসভা। সেখান থেকেই স্থানীয় হাসপাতালে শারীরিক পরীক্ষা করা হয়। এখন তাঁকে তিলজলার লুম্বিনী পার্ক মানসিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র রাখা হয়েছে। সেখান েথকেই তাঁর চিকিৎসা চলছে। নিজেকে বুদ্ধদেব ভট্টার্যের শ্যালিকা বলে পরিচয় দিলেও জামাইবাবু ও বোনের সঙ্গে তাঁর কোনও সম্পর্ক নেই বলে জানিয়ে েদন। বারবার বোন-ভগ্নিপতির প্রসঙ্গ এড়িয়ে গিয়েছেন ইরা দেবী।
এখনও পেনসন জোটেনি
বাম আমলে স্কুলে কাজ করতেন, অবসরও নিয়েছেন বাম আমলেও। তারপরেও এখনও পেনসনের টাকা পাননি তিনি। স্কুলের বর্তমান শিক্ষিকা জানিয়েছেন পিএফের টাকা পেয়েছেন তবে পেনসনের টাকা তাঁর এখনও আটকে আছে। বেশ কিছু নথি তাঁকে জমা দিতে বলা হয়েছিল সেটা এখনও জমা দিয়ে উঠতে পারেননি তিনি। এমনই খবর পাওয়া গিয়েছে। স্থানীয় সিপিএম নেতৃত্ব জানিয়েছেন ভগ্নিপতি মুখ্যমন্ত্রী হলেও কোনও দিন সুবিধা নেননি তার। বেশ কয়েকবার বুদ্ধেব ভট্টাচার্যের জনসভায় দেখা গিয়েছিল তাঁকে।
ছবি সৌজন্য Debanjan Pathak Vlogs