শরীরী ভাষা বদলেছে মমতার! কেন্দ্রীয় বাহিনী চুপচাপ দাঁড়িয়ে থানার জন্য নয়, বীরভূম নিয়ে নিশানা দিলীপের
শরীরী ভাষা বদলেছে মমতার! কেন্দ্রীয় বাহিনী চুপচাপ দাঁড়িয়ে থানার জন্য নয়, বীরভূম নিয়ে নিশানা দিলীপের
দোসরা মে বিজেপির (bjp) জয়ের ব্যাপারে নিশ্চিত দিলীপ ঘোষ (dilip ghosh)। আর সেই কারণেই অনুব্রত মণ্ডলের (anubrata mondal) গড়ের দিদির ভাইদের হুঁশিয়ারি দিলীপ ঘোষের। হারের ভয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (mamata banerjee) শরীরী ভাষা বদলে দিয়েছে বলেও মন্তব্য করেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ।
দিলীপ ঘোষের নিশানা
বীরভূমে নির্বাচনী প্রচার শেষ হওয়ার দিন দিলীপ ঘোষ ছিলেন অনুব্রত গড়ে। সেখানেই তিনি তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের নিশানা করেন। (যদিও তৃণমূলের দাবি তাদের দলে দুষ্কৃতীদের স্থান দেওয়া হয় না) তিনি বলেন, এতদিন যা করেছো, করেছো। এবার সবাই ভদ্রলোক হয়ে যাও। না হলে পুলিশ থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কেউ বাঁচাতে পারবে না।
মমতাকেও হুঁশিয়ারি
স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও হুঁশিয়ারি দেন দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেন, উনি পুলিশকে ধমকাচ্ছেন। বলছেন, নির্বাচন কমিশন চলে গেলে দেখে নেবেন। তিনি কটাক্ষ করে বলেছেন, ২ মের পরে কমিশনের সঙ্গে তিনি (মমতা)ও চলে যাবেন। তাঁর প্রশ্ন কে কাকে দেখে নেবেন? তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ২ মে-র পরে আপনার (মমতা) একটা ভাইও বাড়িতে থাকতে পারবে না।
বাঘিনীর মুখে মিউ মিউ আওয়াজ
অনেকেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বাংলার বাধিনী বলেন। যা নিয়েও কটাক্ষ করেছেন দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেছেন, বাঘিনীর মুখ থেকে মিউ মিউ আওয়াজ বেরোয়। তিনি দাবি করেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শরীরী ভাষা বদলে গিয়েছে। তিনি দাবি করেন, ষষ্ঠদফা ভোটের পরেই বাংলার ১৬০ আসন বিজেপির ঝুলিতে চলে এসেছে। অমিত শাহের কথা রাখতে অষ্টম দফা পর্যন্ত সেটাকে ২২০-তে নিয়ে যেতে হবে বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি।
তৃণমূল জিতলে কি এবার মন্ত্রী! একুশের ভোট শেষে অভিষেক জানালেন তাঁর মনের কথা
ফের শীতলকুচির হুঁশিয়ারি
প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, দিলীপ ঘোষ হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, বীরভূমে কেউ একটা ভোট লুট করার চেষ্টা করলে আবার শীতলকুচি হতে পারে। কেউ চমকে দিয়ে একটা ভোটও আটকে দিতে পারবে না বলে আশ্বস্ত করেছেন তিনি। তিনি বলেছেন, কেন্দ্রীয় বাহিনী চুপচাপ দাঁড়িয়ে থাকার জন্য আসেনি। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য এদিনই নির্বাচন কমিশন জানিয়েছেন বীরভূমের জন্য ২২৪ কোম্পানি আধাসামরিক বাহিনী মোতায়েন করা হচ্ছে। প্রতি বুথে ৮ জন করে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ান থাকবেন।