DurgaPuja: আইনি গেরোতে বাংলার দুর্গাপুজো! থার্ড ওয়েভের আশঙ্কায় গাইডলাইন চেয়ে হাইকোর্টে মামলা
পুজোর বাকি হাতে গোনা আর কয়েকটি দিন। জোর কদমে চলছে প্রস্তুতি। পাড়ায় পাড়ায় ব্যস্ততা তুঙ্গে। কুমোরটুলিতেও এই মুহূর্তে নাওয়াখাওয়ার সময় নেই। ব্যস্ততা বাজারেও। কার্যত করোনা বিধিকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে চলছে পুজোর শপিং। দোকানে দোকান
পুজোর বাকি হাতে গোনা আর কয়েকটি দিন। জোর কদমে চলছে প্রস্তুতি। পাড়ায় পাড়ায় ব্যস্ততা তুঙ্গে। কুমোরটুলিতেও এই মুহূর্তে নাওয়াখাওয়ার সময় নেই। ব্যস্ততা বাজারেও। কার্যত করোনা বিধিকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে চলছে পুজোর শপিং। দোকানে দোকানে ভিড়। মানা হচ্ছে না কোনও সোশ্যাল ডিসটেন্সও।
এমনকি অনেক সময়ে ভিড় চাপে মাস্ক পর্যন্ত খুলে ফেলছেন সাধারণ মানুষ। যা দেখে রীতিমত আঁতকে উঠছেন চিকিৎসকদের একাংশ। একাংশের মতে, এখনই যদি এই হাল হয় তাহলে পুজোর দিনগুলিতে কি হবে তা নিয়ে আশঙ্কার কালো মেঘ তৈরি হয়েছে।
যদিও ইতিমধ্যে কেন্দ্রের তরফে গাইডলাইন দেওয়া হয়েছে। যেখানে স্পষ্ট বলা হয়েছে যে কোনও জমায়েত করা যাবে না। এমনকি এই বিষয়ে রাজ্যগুলিকে কড়া নির্দেশিকা জারি করার কথাও বলা হয়েছে। কিন্তু এখনও রাজ্যের তরফে এই বিষয়ে স্পষ্ট কোনও গাইডলাইন দেওয়া হয়নি।
তবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গত কয়েকদিন আগে সমস্ত পুজো কমিটিগুলির সঙ্গে বৈঠকে বসেন। সেখানে করোনা বিধি মেনে পুজো করার নির্দেশ দিয়েছেন। একই সঙ্গে ৫০ হাজার টাকা করেও দেওয়ার ঘোষণা করেছেন। আর এখানেই আশঙ্কা আইনজীবীদের একাংশের।
তাঁদের দাবি, রাজ্য সরকারের দেওয়া অর্থে পুজো জাঁকজমক ভাবে হতে পারে। আর এতে মানুষের ভিড় বাড়বে প্যান্ডেলে। ফলে এই বিষয়ে হাইকোর্টের হস্তক্ষেপ চেয়ে ফের একবার আদালতের দ্বারস্থ বেশ কয়েকজন আইনজীবী। গত বছরের মতো এবারও দুর্গাপুজোতে যাতে নির্দিষ্ট গাইডলাইন বেঁধে দেয় আদালত, সেই দাবিতে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা আইনজীবীদের।
আইনজীবীদের একাংশের মতে, করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে থাকলেও পুরোপুরি ভাবে চলে যায়নি। আর এর মধ্যে রয়েছে থার্ড ওয়েভের আতঙ্ক। আর এই পরিস্থিতিতে যে কোনও জমায়েত কিংবা করোনা বিধিকে উপেক্ষা করা মানে বিপদকে ডেকে আনা। আর সেই কারনে এই বিষয়ে কলকাতা হাইকোর্টে আবেদন আইনজীবীদের।
উল্লেখ্য, গত বছর দুর্গাপুজোতে নির্দিষ্ট গাইডলাইন বেঁধে দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। পুজো হলেও প্যান্ডেলে ঢোকার অনুমতি কাউকে দেওয়া হয় না। এবারও যাতে সেই নির্দেশিকা বহাল রাখা হয় সেই আবেদন জানানো হয়েছে কলকাতা হাইকোর্টের কাছে।
উল্লেখ্য, করোনা বিধি মেনে পুজো করার কথা মুখ্যমন্ত্রী জানালেও গতবারের নির্দেশিকা পুজো কমিটিকে মানতে হবে বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন। অর্থাৎ খোলামেলা প্ল্যান্ডেল তৈরি করা, বারবার মন্ডপকে স্যানিটাইজ করা এছাড়াও মাস্ক ছাড়া কাউকে মন্ডপের ভিতরে ঢুকতে দেওয়া যাবে না বলে নির্দেশিকা রয়েছে রাজ্যের। কিন্তু এরপরেও কি সেই নির্দেশ কেউ মানবে? তা নিয়ে একটা প্রশ্ন রয়েই গিয়েছে। অন্যদিকে আবার আদালতে মামলার কারনে সংশয়ের মধ্যে পড়েছেন পুজো উদ্যোক্তারা।