এবার মুকুলের সমর্থনেই তৃণমূলকে আক্রমণ সিপিএমের, তথ্য নিয়ে হইচই
পশ্চিমবঙ্গে বিজেপি যা করে, বিরোধীদলগুলি পরে তা অনুসরণ করে। দিলীর ঘোষের এই দাবিই যেন সত্যি প্রমাণিত হল। জাগো বাংলা,বিশ্ববাংলা নিয়ে বিজেপির তরফে অভিযোগের পরেই বিষয়টি নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় দেয় সিপিএম
পশ্চিমবঙ্গে বিজেপি যা করে, বিরোধীদলগুলি পরে তা অনুসরণ করে। দিলীর ঘোষের এই দাবিই যেন সত্যি প্রমাণিত হল। জাগো বাংলা আর বিশ্ববাংলা নিয়ে বিজেপির তরফে অভিযোগের পরেই বিষয়টি নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেন সূর্যকান্ত মিশ্র।
[আরও পড়ুন: ডেঙ্গির ভয়াবহতা নিয়ে সরকারি অবস্থানের বিরোধিতা, সাসপেন্ড চিকিৎসক, দেখুন বিস্তারিত]
ডেঙ্গি নিয়ে বিজেপিই প্রথম স্বাস্থ্যভবন অভিযান করে, মশারি নিয়ে বিক্ষোভ করে। পরে সিপিএমসহ সবকটি দলই তা করে। আর এবার হল অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ নিয়ে।
বিজেপিতে যোগ দিয়েই ফাইল তুলে দেখিয়েছিলেন মুকুল রায়। আর শুক্রবার ধর্মতলার সমাবেশ থেকে ফাইলের তিনটি কাগজ বের করলেন মুকুল রায়। বিশ্ববাংলা এবং জাগো বাংলা আদতে তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কোম্পানি। এমন কী তৃণমূলের সমস্ত লিফলেট ও পোস্টার ছাপার বরাতও অভিষেকের কোম্পানিই পায়। তৃণমূলের এক সময়ের দু নম্বর পদাধিকারীর হুমকি তিনি শুধুমাত্র ফাইলের একাংশ প্রকাশ করলেন। পরে দ্বিতীয় ভাগ প্রকাশ করবেন।
যদিও বিজেপি নেতা মুকুল রায়ের ঘোষণার বেশ কিছুটা পরে সূর্যকান্ত মিশ্র মুকুল রায়ের বক্তব্যের সমর্থনে কিছু তথ্য টুইটারে পোস্ট করেন। যেখানে দেখা যাচ্ছে, জাগো বাংলা এবং বিশ্ব বাংলার ট্রেডমার্ক দুটি রয়েছে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নামেই।
Will CM dare to answer the question raised by her Ayaram Gayaram Co. now in Jay Shah Pvt. Ltd.?? pic.twitter.com/cinUxIfj1S
— Surjya Kanta Mishra (@mishra_surjya) November 10, 2017
বিজেপির জনসভা থেকে মুকুল রায়ের অভিযোগের জবাব দিতে গিয়ে নবান্নে নেমে পড়েন স্বরাষ্ট্রসচিব অত্রি ভট্টাচার্য। এই ব্র্যান্ড ও লোগো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সৃষ্টি। তিনি এই লোগো ও ব্র্যান্ড পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে দিয়েছেন। এটি রেজিস্ট্রিকৃত হয়েছে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের নামে।
যদিও সূর্যকান্ত মিশ্রের টুইটার পোস্ট অনুযায়ী, ২০১৩-র ২৬ নভেম্বর বিশ্ববাংলা এবং ২০১৫-র ২৯ জুন জাগো বাংলা ট্রেডমার্ক অ্যাক্ট অনুযায়ী নথিভুক্ত হয়েছে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নামে।
শুক্রবার রাতেই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়ে দেন, মুকুল রায়কে আইনি চিঠি দেওয়া হবে। ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে প্রমাণ করতে না পারলে দেওয়ানি ও ফৌজদারি মামলা করা হবে বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি। পাল্টা চ্যালেঞ্জ জানিয়েছেন মুকুল রায়ও।
আইনজীবীদের বক্তব্য অনুযায়ী, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ট্রেডমার্কের অধিকারী হয়ে থাকেন, আর যদি লাইসেন্সের মালিক হয়ে থাকেন, আর তা ব্যবহারের জন্য রাজ্য সরকারের সঙ্গে চুক্তি করে তাকেন, তা হলে চুক্তির শর্ত অনুযায়ী সরকার মালিককে মূল্য দেবে।