ভোটের বাজারে কোচবিহারে স্লোগান, ‘আগে নোট, পরে ভোট’
ব্যাঙ্কমুখী জনতা আজ বুথমুখী হচ্ছেন না। সবার মুখেই এক কথা, আগে নোট, পরে ভোট। পেটে টান পড়লে কি আর ভোটের রেওয়াজে গা ভাসাতে ইচ্ছে করে? অন্নের সংস্থান না করে কী করে ভোট দিতে যাব? প্রশ্ন তুলেছেন সাধারণরা।
কোচবিহার, ১৯ নভেম্বর : ব্যাঙ্কমুখী জনতা আজ বুথমুখী হচ্ছেন না। সবার মুখেই এক কথা, আগে নোট, পরে ভোট। পেটে টান পড়লে কি আর ভোটের রেওয়াজে গা ভাসাতে ইচ্ছে করে? অন্নের সংস্থান না করে কী করে ভোট দিতে যাব? প্রশ্ন তুলেছেন সাধারণ নাগরিকরা। কেউ কেউ এক পকেটে এটিএম কার্ড, অন্য পকেটে ভোটার কার্ড নিয়ে বেরিয়েছেন। তবে অগ্রাধিকার ব্যাঙ্ক বা এটিএমের লাইনেই। সেখানে টাকা মিললে তবেই তাঁরা বুথমুখী হবেন।
এ যেন ধনুকভাঙা পণ। টাকা না মিটলে ভোটদান নয়। তাই তো সকাল থেকেই কোচবিহারের কোনও বুথেই সেভাবে ভিড় জমেনি। এক-আধজন করে আসছেন, ভোট দিয়ে যাচ্ছেন। কোথাও লাইন নেই। হচ্ছেটা কী, নির্বাচন কমিশনের এত প্রচার তাহলে কি জলেই গেল? মানুষ তো আর বুথমুখী হচ্ছেন না। ভুল ভাঙল একটু পরেই।
এক বুথ থেকে অন্য বুথে যাওয়ার সময়ই লক্ষ্য পড়ল এক বিশাল লাইনের। এই তো মানুষ বুথমুখী। কিন্তু ভুল আবারও। এ লাইন ভোটের নয়, নোটের। কোচবিহার বাজারে এক রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের সামনে ওই লাইন পড়েছে। লাইন পড়েছে এটিএমেও। কী ব্যাপার ভোট দেবেন না? পাশের বুথে একজনও নেই, একেবারে ফাঁকা বুথ।
চটজলদি জবাব এল, ধুর মশাই ভোট দেব কী করে। আগে তো টাকা তুলি। সংসারে যে কানাকড়িও নেই। আগে নোট পাই, তারপরে ভোটের কথা ভাবব। অধিকাংশ মানুষেরই এই মত। কেউই চাইছেন না, টাকা হাতে না নিয়ে ভোটের লাইনে দাঁড়াতে। দেরি হলে কেউ কেউ ভোট দিতেও যাবেন না বলে মত প্রকাশ করে ফেললেন। বললেন, যে সমস্যায় ফেলেছে মোদি সরকার, দশদিন পরেও অর্থ সঙ্কট মিলল না। অ্যাকাউন্টে টাকা থেকেও লাভ হচ্ছে না। লাইন দিয়েও টাকা তুলতে পারছে না কেউ। অনেক ব্যাঙ্ক টাকার লিমিট কমিয়ে দিচ্ছে। ফলে কাজের কাজ কিছুই হচ্ছে না।