'চলচ্চিত্র জগতের অপূরণীয় ক্ষতি' পরিচালক তরুণ মজুমদারের প্রয়াণে শোকবার্তা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের
'চলচ্চিত্র জগতের অপূরণীয় ক্ষতি' পরিচালক তরুণ মজুমদারের প্রয়াণে শোকবার্তা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের
বিশিষ্ট পরিচালক তরুণ মজুমদারের প্রয়াণে শোক প্রকাশ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি টুইটে শোক প্রকাশ করে লিখেছেন, চলচ্চিত্র জগতের অপূরণীয় ক্ষতি হয়ে। অন্য ধরার ছবি পরিচালনা করতেন তিনি। তাঁর পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাই। গত কয়েকদিন ধরেই হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন তিনি। বয়স হয়েছিল ৯১ বছর।
প্রয়াত তরুণ মজুমদার
বেশ কয়েকদিন হাসপাতালে জীবনের সঙ্গে যুদ্ধ করার পর অবশেষে আজ পরলোক গমন করলে বিশিষ্ট চলচ্চিত্র পরিচালক তরুণ মজুমদার। বয়স হয়েছিল ৯১ বছর। গতকাল রাত থেকেই অবস্থার অবনতি হতে শুরু করেছিল। কিডনির সমস্যায় ভুগছিলেন তিনি। তারপরেই সপ্টিসেমিয়া হয়ে যায় তাঁর। ভর্তি ছিলেন এসএসকেএম হাসপাতালে। তাঁর চিকিৎসার জন্য মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়েছিল। সোমবার সকাল েথকেইমস্তিষ্ক কাজ করা বন্ধ করে দিয়েছিল। চিকিৎসকদের শেষ চেষ্টা ব্যর্থ করেই অবশেষে পরোলোক গমন করেন তিনি।
শোক প্রকাশ মমতার
বিশিষ্ট চলচ্চিত্র পরিচালক তরুণ মজুমদারের প্রয়াণে শোক প্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি টুইট লিখেছেন বাংলা চলচ্চিত্র গজতর অপূরণীয় ক্ষতি হয়ে গেল। তাঁর পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাই। অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি থাকাকালীন তাঁকে দেখতে হাসপাতালে গিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। চিকিৎসকদের কাছে খোঁজ নিয়েছিলেন। তিনি শোক প্রকাশ করে বলেছেন ভিন্ন ধারার সামাজিক ছবি তৈরি করতেন তরুণ মজুমদার। তাঁর ছবিতে রবীন্দ্র সঙ্গীতের ব্যবহার ছিল মুগ্ধ করার মত।
শোকস্তব্ধ শিল্পী মহলে
তরুণ মজুমদারের প্রমাণে শোক প্রকাশ করেছেন শিল্পীরা। ইন্দ্রাণী হালদার থেকে ঋতুপর্ণা সকলেই শোক প্রকাশ করেছেন। অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা শোকপ্রকা করে বলেছেন 'মনটা খুবই ভারাক্রান্ত লাগছে', তরুণ মজুমদারের মৃত্যুতে প্রতিক্রিয়া ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তের। তিনি বলেছেন উনি বাংলা ছবিতে একটা ল্যান্ড মার্ক তৈরি করেছিলেন। সম্প্রতি ভালবাসার ছবিতে কাজ করেছেন অভিনেত্রী। চাঁদের বাড়ি ছবিতেও তাঁকে অভিনয় করতে দেখা গিয়েছে। তরুণ মজুমদারের ছবিতে অভিনয় করেছেন ইন্দ্রাণী হালদারও।
মরণোত্তর দেহ দান
মরণোত্তর দেহ দানেপর অঙ্গিকার করে গিয়েছিলেন পরিচালক। সেই মত দেহ নেওয়ার বন্দোবস্ত করতে শুরু করেছে এসএসকেএম। এদিকে হাসপাতালে ভিড় করতে শুরু করেছেন তাঁর অনুরাগীরা। অনেকেই প্রিয় পরিচালককে শেষ বার দেখার জন্য হাসপাতালে ছুটে যাচ্ছেন। বাম জমানার চলচ্চিত্র পরিচালক ছিলেন তিনি। বাম নেতাদের সঙ্গে তাঁর সুসম্পর্ক ছিল। খবর পাওয়া মাত্র হাসপাতালে ছুটে যান কান্তি গঙ্গোপাধ্যায়। গিয়েছিলেন ইন্দ্রনীল সেন। শোক প্রকাশ করেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও।
পরিবারকে কীভাবে বেঁধে রাখতে হয়, শিখিয়েছিলেন প্রয়াত বাংলা চলচ্চিত্রের 'চিরতরুণ’