পাঁচিল কাণ্ডে বিতর্ক তুঙ্গে! শান্তিনিকেতনে রবীন্দ্রনাথ বহিরাগত মন্তব্যে ক্ষমা চাইলেন উপাচার্য
শান্তিনিকেতনে রবীন্দ্রনাথ বহিরাগত, এই মন্তব্যের জন্য ক্ষমা চাইলেন বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। যদিও তাঁর দাবি, তাঁর বক্তব্যের ভুল ব্যাখ্যা করা হয়েছে। রবীন্গ্রনাথ বিশ্বভারতীর প্রতিষ্ঠা করে
শান্তিনিকেতনে রবীন্দ্রনাথ বহিরাগত, এই মন্তব্যের জন্য ক্ষমা চাইলেন বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। যদিও তাঁর দাবি, তাঁর বক্তব্যের ভুল ব্যাখ্যা করা হয়েছে। রবীন্গ্রনাথ বিশ্বভারতীর প্রতিষ্ঠা করেছিলেন ১৯২১ সালে আর তা কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের রূপ পায় ১৯৫১ সালে।
দুর্গাপুজো নিয়ে বিভ্রান্তিমূলক প্রচারে সরাসরি বিজেপি যোগের অভিযোগ! পুলিশ হেফাজতে প্রভাবশালী নেতা
২৩ অগাস্ট বিতর্কিত মন্তব্য
পৌষমেলার মাঠে দেওয়াল দেওয়া নিয়ে বিতর্ক চরমে ওঠে। সেই সময় অর্থাৎ ২৩ অগাস্ট উপাচার্য বলেছিলেন, বাইরে থেকে বোলপুরে এসে রবীন্দ্রনাথ শিক্ষা কেন্দ্র গড়ে তুলেছিলেন। একইসঙ্গে তিনি বলেছিলেন, পৌষমেলার মাঠে দেওয়ার দেওয়ার সময় বহিরাগতরা উপস্থিত ছিল। শান্তিনিকেতনে রবীন্দ্রনাথ বহিরাগত, মন্তব্যের পরেই আশ্রমিত, প্রাক্তন ও বর্তমান ছাত্রছাত্রীরা উপাচার্যের মন্তব্যের প্রতিবাদ করেছিলেন।
বক্তব্যের জন্য ক্ষমাপ্রার্থী
এদিকে শুক্রবার নিজের বহিরাগত মন্তব্যের জন্য় ক্ষমা চেয়ে নিয়েছেন উপাচার্য। তিনি বলেছেন, গভীর ভাবে দুঃখিত। তাঁরা শান্তিনিকেতনের সঙ্গে অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত, মন্তব্য উপাচার্যের।
নিজের বক্তব্যের সাফাই
তবে তিনি সেদিনের পুরো বক্তব্য শোনার কথা বলেছেন। তিনি বলেছেন, তাঁর পুরো বক্তব্য দেখলেই বোঝা যাবে ঐতিহাসিক ও ভৌগলিক উদাহরণ তিনি দিতে চেয়েছিলেন।
পৌষমেলার মাঠে দুষ্কৃতী তাণ্ডব নিয়ে আগের অভিযোগে অনড়
তবে পৌষমেলার মাঠে দুষ্কৃতী তাণ্ডব নিয়ে আগের অভিযোগে অনড় রয়েছেন উপাচার্য। তিনি বলেন, প্রকৃত সত্য সামনে আসুক। বিষয়টি নিয়ে স্বতন্ত্র এবং নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি করেছেন তিনি। পৌষমেলার মাঠে দেওয়ার দেওয়া নিয়ে গণ্ডগোলের সূত্রপাত ১৭ অগাস্ট। দেওয়াল দিতে বাধা দেওয়া হয়। দেওয়াল দেওয়ার জিনিসপত্র লুট করা হয়। তৃণমূল বিধায়ক এবং স্থানীয় নেতারা গণ্ডগোলের পিছনে রয়েছে অভিযোগ করে ঘটনার সিবিআই তদন্ত দাবি করা হয়েছিল বিশ্বভারতীর তরফে।