রেলের পর এবার পাতাল রুটে চলবে বাসও, সৌজন্যে ইসিএল
ভারতে প্রথম পাতাল রেল চালু করে নজির গড়েছিল পশ্চিমবঙ্গ। এবার পাতাল রুটে বাস পরিষেবাতেও প্রথম এ রাজ্য। বর্ধমানের রানিগঞ্জে শীঘ্রই তৈরি হবে সেই পাতাল রুট।
রানিগঞ্জ, ৫ নভেম্বর : পাতাল রেল শুনেছেন, কিন্তু পাতালেও বাস চলবে এমনটা শুনেছেন কখনও। এবার সেই অসম্ভবই সম্ভব হচ্ছে। সৌজন্যে ইসিএল কর্তৃপক্ষ। ভারতে প্রথম পাতাল রেল চালু করে নজির গড়েছিল পশ্চিমবঙ্গ। এবার পাতাল রুটে বাস পরিষেবাতেও প্রথম এ রাজ্য। বর্ধমানের রানিগঞ্জে শীঘ্রই তৈরি হবে সেই পাতাল রুট। চলবে ৪০ আসনের ছ'ফুট উচ্চতার বাস।
'ম্যান রাইডিং ডিপ রানার।' এই নামেই শীঘ্রই শুরু হচ্ছে 'পাতাল বাস' প্রকল্প। রানিগঞ্জের ঝাঁঝরা খনিতে এই পরিষেবা চালুর তোড়জোড় শুরু হয়ে গিয়েছে। এই প্রকল্পে খরচ ধার্য হয়েছে ১৯০ কোটি টাকা। ইসিএল খনিগর্ভে এই পরিষেবা চালুর উদ্যোগ নিয়েছে শ্রমিকদের সুবিধার্থে। এখনই সাধারণ মানুষের জন্য এই পরিষেবা চালু না হলেও, তাঁদের আক্ষেপের কিছু নেই। অদূর ভবিষ্যতে ইসিএলের তরফে খনি-পর্যটনও চালু করার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। তখন ওই বাসে করেই খনি গর্ভে নামবেন পর্যটকরা।
বর্তমানে রোপওয়ে সিস্টেমে লিফটে করে ভূগর্ভে নামতে হয়ে শ্রমিকদের। এরপর এক খনি থেকে অন্য খনিতে যেতে দীর্ঘ সুড়ঙ্গ পথ হেঁটেই পার হতে হয় তাঁদের। এই পাতাল বাস পরিষেবা চালু হলে শ্রমিকদের সেই কষ্টের দিনের ইতি ঘটবে। আর শ্রমিক স্বার্থেই এই পরিষেবা আনতে চলেছে ইসিএল। বর্ধমানের রানিগঞ্জের ঝাঁঝরা খনিকেই অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে এই পাতাল বাস পরিষেবা চালুর ক্ষেত্রে।
অভিনব এই পাতাল রুট চালু হলে বাসে করে অনেক কম সময়ের মধ্যে শ্রমিকরা খনিগর্ভে পৌঁছতে পারবেন। শ্রমিকরা তুলনায় অনেক নিরাপদে এক খনি থেকে আর এক খনিতে যেতে পারবেন।ইসিএল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, খনির সুড়ঙ্গ পথে ডিজেলচালিত বাস চলবে। এই বাসগুলির উচ্চতা কোনওভাবেই ৬ ফুটের বেশি হবে না।
একটি বাসে ৪০ জন শ্রমিক যেতে পারবেন। পাতালে বাস পরিষেবা চালু হলে লিফটে করেও নামতে হবে না খনির গর্ভে। সেইসঙ্গে যাতায়াতে সুবিধা যেমন হবে, পাশাপাশি বাড়বে উৎপাদনও। পরে এই পাতাল রুটে বাস পরিষেবাকে কেন্দ্র করেই খনি পর্যটনও চালু করতে উদ্যোগী হবে বলে আশ্বাস মিলেছে ইসিএলের পক্ষ থেকে। পর্যটকদের ওই বাসে করেই ঘোরানো হবে খনি গর্ভে।