বিজেপিকে মাত দিল তৃণমূল! ‘বাংলার গর্ব মমতা’য় ভোঁতা মুকুল-দিলীপদের যাবতীয় ‘ব্রহ্মাস্ত্র’
বিজেপিকে মাত দিল তৃণমূল! ‘বাংলার গর্ব মমতা’য় ভোঁতা মুকুল-দিলীপদের যাবতীয় ‘ব্রহ্মাস্ত্র’
করোনার আবহে লড়াই এখন ডিজিটাল। সেই লড়াইয়ে কে এগিয়ে কে পিছিয়ে- নেট দুনিয়া মজে আছে তা নিয়ে। এর আগে বিজেপির ভার্চুয়াল সমাবেশের দিনই ডিজিটাল যুদ্ধে গেরুয়া শিবিরকে টেক্কা দিয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেস। ফের হ্যাশট্যাগের যুদ্ধে বিজেপিকে হারিয়ে বাংলার গর্ব মমতাই সেরার তালিকায় উপরে রয়ে গেল।
বাংলার লজ্জা নয় মমতা
সম্প্রতি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে স্লোগানের লড়াই জমজমাট হয়েছে নেট দুনিয়ায়। তৃণমূল কংগ্রেস নয়া কর্মসূচি নিয়েছে- যার নাম ‘বাংলার গর্ব মমতা'। এই ‘বাংলার গর্ব মমতা' হ্যাশট্যাগে তৃণমূল ফায়দা তুলতে শুরু করতেই বিজেপি পাল্টা হ্যাশট্যাগে নিশানা শুরু করেছিল, তা হল- ‘বাংলার লজ্জা মমতা'।
‘বাংলার গর্ব মমতা’ র জয়
‘বাংলার গর্ব মমতা'র কাছে বিজেপির ‘বাংলার লজ্জা মমতা' ফের ধাক্কা খেল। হ্যাশটযাগ যুদ্ধে ‘বাংলার গর্ব মমতা' অনেক পিছনে ফেলে দিল ‘বাংলার লজ্জা মমতা'কে। ফের একবার জয় হল তৃণমূলের। বিজেপি ধরাশায়ী হল তৃণমূলের কাছেও। নেট দুনিয়াতেও বিজেপিকে মাত দিতে পারল না তৃণমূলকে।
বাংলার গর্ব মমতার টেক্কা বিজেপিকে
তৃণমূলের দাবি, বিজেপির নোংরা প্রচারকে বাংলার মানুষ প্রত্যাখ্যান করেছে। জাতীয় স্তরে ‘বাংলার গর্ব মমতা' রয়েছে ১৬ তম স্থানে। আর বিজেপির কুৎসার প্রচার ‘বাংলার লজ্জা মমতা' রয়েছে ২৮তম স্থানে। ফের একবার প্রমাণ হয়ে গিয়েছে মমতাকে কুৎসার প্রচার মানুষ মেনে নিচ্ছে না। বাংলার মানুষ মমতার পক্ষেই রয়েছেন।
কে গর্ব আর কে লজ্জা, দিলীপের পাল্টা
দিলীপ ঘোষ তৃণমূলের এই দাবির পাল্টা দিয়ে জানিয়েছেন, কে গর্ব আর কে লজ্জা, তা তো ঠিক করবেন বাংলার মানুষ। তাই ভোট পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। দেখবেন সব জলের মতো পরিষ্কার। বাংলার সাধারণ মানুষ শুধু সুযোগের অপেক্ষায় রয়েছেন, তারপরই জনতা রায় দিয়ে দেবেন।
বহু হ্যাশট্যাগে মমতাকে নিশানার পরও...
করোনা লকডাউনে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশানা করতে এর আগে বহুপ্রকার হ্যাশট্যাগ ব্যবহার করেছে বিজেপি। কখনও ‘কোথায় আছে মমতা', কখনও ‘ভয় পেয়েছে মমতা', আবার ‘আর নয় মমতা' তো প্র্ত্যেক বিজেপি নেতার প্রোফাইলে প্রোফাইলে ঘুরছে। এই অভিযানে শেষতম সংযোজন ‘বাংলার লজ্জা মমতা', যা তৃণমূলের ‘বাংলার গর্ব মমতা'র পাল্টা।
‘বেঙ্গল রিজেক্টস অমিত শাহ’-এ জয় দিয়ে শুরু
এর আগে হ্যাশট্যাগ যুদ্ধে অমিত শাহের ভার্চুয়াল ব়্যালির দিনই ধাক্কা খেয়েছিল বিজেপি। ট্রেন্ডিংয়ে সকাল থেকেই বিজেপির হ্যাশট্যাগ ‘বাংলার জন সমাবেশ' এগিয়ে থাকার পর তৃণমূলের হ্যাশট্যাগ সেই ট্রেন্ডকে টপকে যায়। তৃণমূল ওইদিন পাল্টা হ্যাশট্যাগ করেছিল ‘বেঙ্গল রিজেক্টস অমিত শাহ'।
বিজেপিকে হটিয়ে টুইটার যুদ্ধে জয়ী তৃণমূল
বিজেপিকে হটিয়ে টুইটার দখল করে নেয় তৃণমূলের ‘বেঙ্গল রিজেক্টস অমিত শাহ'। টুইটারে কলকাতার ট্রেন্ডিং তালিকার শীর্ষে অবস্থান করতে থাকে ওই হ্যাশট্যাগ। দীর্ঘক্ষণ তৃণমূলের হ্যাশট্যাগ ওই অবস্থায় স্থিতিশীল ছিল। এর ফলে ডিজিটালে প্রথম রাউন্ডে তৃণমূল জয়ী হয়। তৃণমূল বিনা প্রস্তুতিতে চমকে দেওয়ার মতো পারফরম্যান্স দেখায় ডিজিটাল যুদ্ধে।
ট্রেন্ডিংয়ে এগিয়ে ডিজিটাল যুদ্ধে জয়ী তৃণমূল
সংখ্যার বিচারে তৃণমূলের হ্যাশট্যাগটি বিজেপির হ্যাশট্যাগের থেকে সন্ধ্যা ৭টার মধ্যে প্রায় ৮৫,০০০ বার টুইট করা হয়েছিল। তুলনায় অনেক পিছিয়ে ছিল বিজেপি। বিজেপির হ্যাশট্যাগটি থেকে টুইট করা হয়েছিল ৩৫,০০০ বার। ট্রেন্ডিংয়ে ডাবলেরও বেশি সংখ্যায় এগিয়ে ছিল তৃণমূল কংগ্রেস। আবারও তৃণমূলের হ্যাশট্যাগ মাটি ধরিয়ে দিল বিজেপিকে।
মধ্যপ্রদেশের মতোই কি রাজস্থানে কংগ্রেস-দূর্গে বিজেপির গদা-ঘাত !চূড়ান্ত সতর্কতায় সোনিয়া শিবির