রাজ্য স্বাস্থ্য খাতে কীভাবে তিনগুণ বরাদ্দ বাড়িয়েছে তৃণমূল সরকার, জানুন পরিসংখ্যান
রাজ্য স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ প্রায় তিনগুণ বেড়েছে, পরিসংখ্যান পেশ তৃণমূলের
বিগত আট বছরে পশ্চিমবঙ্গে স্বাস্থ্যে হাল ফেরাতে একের পর পরিকল্পনা গ্রহণ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কখনও গরিব মানুষদের 'স্বাস্থ্য সাথীর' মতো প্রকল্পের আওতায় এনে বিনামূল্যে চিকিৎসার সুযোগ করে দিয়েছেন। অন্যদিকে রাজ্যের জেলায় জেলায়, বিভিন্ন প্রান্তে গড়ে উঠেছে ন্যায্য মূল্যের ওষুধের দোকান।
বরাদ্দ বেড়েছে স্বাস্থ্যে
দেশের বিভিন্ন রাজ্যে যখন স্বাস্থ্যে খাতে বরাদ্দ ক্রমেই কমছে, তখন তৃণমূল সরকার পরিচালিত পশ্চিমবঙ্গে স্বাস্থ্যে খাতে বরাদ্দ বাড়লো প্রায় তিনগুণ। সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসর একটি ওয়েবসাইটে প্রকাশিত তথ্যের মাধ্যমে তারা দাবি করছে, ২০১০-১১ সালে স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ ছিল ৩৫৮৪ কোটি টাকা, যা ২০১৯-২০ সালে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯৫৫৭ কোটি টাকায়।
বেড়েছে চিকিৎসকের সংখ্যা
ওই ওয়েবসাইটে প্রকাশিত তথ্যে এটাও দাবি করা হয়েছে রাজ্যে ডাক্তারদের সংখ্যাও বেড়েছে অনেকাংশে। ২০১১ সালে যেখানে ডাক্তারদের সংখ্যা ছিল ৪৮০০ জন, তা চলতি বছরে বেড়ে ১১৭০০জন হয়েছে বলে দাবি করেছে তৃণমূল। ওই তথ্যে বলা হয় রাজ্যে নার্সের সংখ্যা ৩৭০০০ থেকে একলাফে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫২৮৫০ জন।
বেড়েছে হাসপাতাল
রাজ্য সরকার স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ বাড়ানোর পাশাপাশি নজর দিয়েছে সুপারস্পেশালিটি হসপিটাল তৈরির দিকেও। তাদের ওই তথ্যে বলা হয়েছে গোটা রাজ্যে এই মুহূর্তে ৪২টি মাল্টি সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতাল রয়েছে। পাশাপাশি ৬৪৮৩ জন প্যারা-মেডিকেল কর্মী ও প্রায় ৩০ হাজার চিকিৎসা সহায়ক কর্মীও রয়েছে। এমনকি রাজ্যের সরকারি হাসপাতাল গুলিতে নার্স সংখ্যাবৃদ্ধির লক্ষ্যে ইতিমধ্যেই ২৭টি বেসরকারি নার্সিং ট্রেনিং স্কুলের জন্য টেন্ডার ডাকাও হয়েছে বলে জানানো ওই ওয়েবসাইট মারফত।
নবজাতকের মৃত্যু কমেছে
উত্তরপ্রদেশ সহ অন্যান্য রাজ্যে শিশু মৃত্যুর হার নিয়ে যখন আতঙ্কে দেশবাসী, তখন নবজাতক শিশু ও প্রসূতি মায়ের মৃত্যুর হার রোধে বাংলা অন্যান্য রাজ্য গুলিকে টেক্কা দিয়েছে বলে মত তৃণমূলের। তাদের দাবি, প্রসব ক্ষেত্রে ও শিশুদের টিকা-করণের প্রভূত উন্নতির মাধ্যমে দেশের বাকি রাজ্যগুলিকে ছাপিয়ে গেছে বাংলা।
স্বাস্থ্য খাতে ব্যয় বৃদ্ধি
তৃণমূলের ওই বিশেষ রিপোর্টে এও দাবি করা হয় অসুস্থ শিশুদের জন্য পৃথক ভাবে বিশেষ আইসিইউ ইউনিট খোলা হয়েছে রাজ্যের সরকারি হাসপাতাল গুলিতে। রোগীর শয্যা সংখ্যা বাড়ানোর পাশাপাশি একাধিক হাসপাতালে খোলা হয়েছে নতুন ট্রমা কেয়ার ইউনিটও। স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্পের মাধ্যমে রাজ্যের সাড়ে সাত কোটি মানুষের স্বাস্থ্য সুরক্ষিত করেছে এই সরকার দাবী করা হয় তৃণমূলের তরফে। স্বাস্থ্য খাতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের ‘বিপুল' অর্থ বরাদ্দে গরিব মানুষেরা আদতে কতটা উপকৃত হচ্ছে, সেটাই এখন দেখার।
প্রত্যন্ত এলাকায় স্বাস্থ্য পরিষেবায় জোর
ইতিমধ্যেই চিকিৎসা পরিষেবায় রাজ্যের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের কৃতিত্বের পর অস্ট্রেলিয়া সরকার ভারতের সাথে যৌথ ভাবে কাজ করতে আগ্রহ দেখিয়েছে। দেশের প্রত্যন্ত গ্রামীণ এলাকা গুলিতে বিকল্প ওষুধের ব্যবস্থা করা থেকে শুরু করে দীর্ঘস্থায়ী রোগের সমাধান ও সংকট-কালীন রোগ মোকাবিলায় দেশ জুড়ে উন্নত চিকিৎসা পরিকাঠামো গড়ে তুলেতেও আশাবাদী তারা।
তৃণমূল নেতা খুনে অভিযুক্তকে গ্রেফতার ঘিরে রণক্ষেত্র ময়না