রাস্তা থেকে উধাও বাস, রাজ্য সরকার ভরসা রাখল ট্রাম ও ফেরি পরিষেবার ওপর
রাস্তা থেকে উধাও বাস, রাজ্য সরকার ভরসা রাখল ট্রাম ও ফেরি পরিষেবার ওপর
লকডাউনের নিষেধাজ্ঞা শিথিল হওয়ার পরই রাস্তায় নিত্যযাত্রীদের চাপ বেড়েছে। কিন্তু সমস্যা দেখা দিচ্ছে গণ পরিবহন নিয়ে। ইতিমধ্যেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার বাস ভাড়া না বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়ায় রাস্তা থেকে তুলে নেওয়া হয়েছে অধিকাংশ বাস। তবে বাসের বদলে ট্রাম ও ফেরি পরিষেবার ওপর মনোনিবেশ করতে চাইছে রাজ্য সরকার, তাতে যাত্রীদের সমস্যার কিছুটা সমাধান হবে। এছাড়াও অন্যান্য জেলা থেকেও রাষ্ট্র–পরিচালিত বাস নিয়ে আসা হবে।
রাস্তায় বাসের সংখ্যা কম
গত সপ্তাহের তুলনায় এ সপ্তাহের প্রথমেই বেসরকারি কম বাস চলাচল করার জন্য যাত্রীদের গন্তব্যে পৌঁছাতে দেরি হয়েছে বলে সোমবারই তাঁরা অভিযোগ জানিয়েছেন। অধিকাংশ বেসরকারি বাস মালিক মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তিনমাসের ১৫ হাজার করে ভর্তুকি, তাও ৬ হাজার বাসকে, এই প্রস্তাব খারিজ করে দিয়েছেন। তাঁরা জানিয়েছেন এটা কোনও স্থায়ী সমাধান নয়। বেসরকারি বাসি মালিক সংগঠনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে মঙ্গলবার থেকে রাস্তায় কম সংখ্যায় বাস চলবে।
বাস ভাড়া বাড়ানোর দাবি
বাস সিন্ডিকেটের জয়েন্ট কাউন্সিলের সাধারণ সম্পাদক তপন ব্যানার্জি বলেন, ‘এই পরিস্থিতিতে বেঁচে থাকার জন্য আমরা ভাড়া বাড়ানোর দাবি জানিয়েছিলাম। সামাজিক দুরত্ব বজায় সহ কোভিড-১৯-এর বিধি মেনে চলা তার ওপর বর্তমান ভাড়া নিয়ে আমাদের লাভের মুখ দেখা অসম্ভব। ডিজেলের দামও প্রায় বেড়ে প্রতি লিটার ৮০টাকা হয়ে গিয়েছে। আমরা সরকারকে বহুবার আমাদের সমস্যার কথা জানিয়েছি। কিন্তু ভাড়া বাড়ানোর বদলে সরকার ৬ হাজার বাসের জন্য তিনমাসে ১৫ হাজার ভর্তুর্কির কথা ঘোষণা করেন। এটা সমাধান নয়।' তিনি জানিয়েছেন, রাজ্যজুড়ে বহু বেসরকারি বাস রয়েছে, সরকার কিসের ভিত্তিতে বাসগুলি বাছাই করবে। তিনি বলেন, ‘এত বাসের মধ্যে সরকার কিভাবে ৬ হাজার বাস বেছে নেবে? তাই আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে আমরা আমাদের বাস রাস্তা নামাবো না।' মিনিবাস সংগঠনের পক্ষ থেকেও জানানো হয়েছে যে তারাও শীঘ্রই বাস পরিষেবা বন্ধ করবে।
১৪টি রুটে ফেরি পরিষেবা
এরই মধ্যে সোমবার থেকে ১৪টি রুটে ফেরি পরিষেবা শুরু হয়ে গিয়েছে। পরিবহন বিভাগ থেকে জানানো হয়েছে, এই লঞ্চগুলিতে দুই-তৃতীয়াংশ যাত্রী সক্ষমতা রয়েছে এবং তারা জল পরিবহনের সব নিয়ম পালন করছে। এই ফেরিগুলিকে সময় সময় জীবাণুমুক্ত ও স্যানিটাইজড করা হচ্ছে।
সমস্যার মধ্যেও চালু হয়েছে ট্রাম
সরকারিভাবে জানানো হয়েছে যে ট্রাম পরিষেবাকে পুনরায় দ্রুত শুরু করা খুবই কঠিন কাজ ছিল। গত মাসে ঘূর্ণিঝড় আম্ফানের কারণে অনেক ট্র্যাক ও ওভারহেড তার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে গাছ উপড়ে পড়ে। পরিবহন বিভাগের এক কর্মকর্তা বলেন, ‘আম্ফানের পর থেকে ডব্লিউবিটিসির মাধ্যমে পুনরুদ্ধারের কাজ চলছে। ইঞ্জিনিয়ারের দল ট্র্যাক পুনরুদ্ধারের কাজ করছেন। মহামারি আঘাত হানার আগে যে ছয়টি রুটে ট্রাম চলাচল করেছিল তার মধ্যে একটি রুট পুনরুদ্ধার করা হয়েছে। ট্রায়াল রান রুট নম্বর ২৪/২৯ (টালিগঞ্জ থেকে বালিগঞ্জ) ১৩ জুন করা হয় এবং ১৪ জুন তা পুনরায় চালু করা হয়। তবে সুরক্ষা বিধি ও সামাজিক দুরত্বের নিয়ম বজায় রেখে। ট্রামগুলি ২৫ মিনিট অন্তর অন্তর সকাল ৭ টা থেকে রাত ৮ টা পর্যন্ত চালু রাখা হয়।'
একুশেই সাফ হবে তৃণমূল! 'ঊনিশে হাফে’র খোঁটা দিয়ে মমতার বিদায় ঘণ্টা বাজালেন অর্জুন