টুকলিতে বাধা, শিক্ষককে বেধড়ক মার পরীক্ষার্থীর
নকলে বাধা পেয়ে এক শিক্ষককে বেধড়ক মারধর করল এক পরীক্ষার্থী। ওই পরীক্ষার্থী এক শিক্ষিকার সঙ্গে অশালীন আচরণও করে। তার প্রতিবাদ করেই প্রহৃত হন শিক্ষক।
বর্ধমান, ২৭ মার্চ : নকলে বাধা পেয়ে এক শিক্ষককে বেধড়ক মারধর করল এক পরীক্ষার্থী। ওই পরীক্ষার্থী এক শিক্ষিকার সঙ্গে অশালীন আচরণও করে। তার প্রতিবাদ করেই প্রহৃত হন শিক্ষক। আবার শিক্ষককে বাঁচাতে গিয়ে দু'দল ছাত্র-র মধ্যে সংঘর্ষ বেধে যায়।
সোমবার উচ্চমাধ্যমিকের রাষ্ট্রবিজ্ঞানের পরীক্ষা শেষে রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় বর্ধমানের কাটোয়া কাশীরামদাস বিদ্যায়তন চত্বর। পুলিশকে হস্তক্ষেপ করতে হয় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে। এই ঘটনায় রিপোর্ট তলব করেছেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়।
এদিন কাটোয়ার ওই স্কুলে রাষ্ট্রবিজ্ঞান পরীক্ষা চলাকালীন শিক্ষিকার নজরে আসে এক পরীক্ষার্থী টুকলি করছে। তৎক্ষণাৎ তিনি ওই পরীক্ষার্থীর খাতা কেড়ে নেন। পরে ভুল স্বীকার করায় তাঁর খাতা ফেরত দিয়ে ফের পরীক্ষা দেওয়ার অনুমতি দেন শিক্ষিকা। এরপর পরীক্ষা দিয়ে বেরনোর সময় ওই শিক্ষিকাকে দেখে নেওয়ার হুমকি দেয় নকলে অভিযুক্ত পরীক্ষার্থী।
পরীক্ষার সেন্টার থেকে বের হতেই শিক্ষিকার সঙ্গে অশালীন আচরণ করতে শুরু করে সে। তা দেখে এক শিক্ষক তাকে বাধা দেন, প্রতিবাদ করেন। তখনই টার্গেট হয়ে যান শিক্ষক। শিক্ষককে ইট দিয়ে বেধড়ক মারধর শুরু করে ওই পরীক্ষার্থী। এই ঘটনায় গুরুতর জখম হন শিক্ষক। অন্য ছাত্ররা ছুটে আসেন শিক্ষককে বাঁচানোর জন্য। অভিযুক্ত পরীক্ষার্থীকে ধরে তারা মারধর করে। দু'দল ছাত্রের মধ্যে হাতাহাতি বেধে যায়। এই ঘটনায় গুরুতর জখম হন বেশ কয়েকজন ছাত্র। শিক্ষক-শিক্ষিকারা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগতে শুরু করেছেন।
প্রধান শিক্ষক সুধীন মণ্ডল বলেন, আমরা এই ঘটনায় হতবাক। নকলে নিষেধ করা থেকে যে এত বড় ঘটনা ঘটে যাবে, তা কেউ ভাবেননি। এই ঘটনার পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট আমরা উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ ও স্কুল শিক্ষা দফতরের কাছে পাঠিয়েছি। শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় নিজে খোঁজখবর নিয়েছেন এই ঘটনায়। তিনি বলেন, এটা একবারেই ব্যতিক্রমী ঘটনা। শিক্ষকের উপর হাত তুলেছে, তা ক্ষমার অযোগ্য, তদন্ত সাপেক্ষে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে অভিযুক্ত ছাত্রের বিরুদ্ধে।