২০২৪-এর লক্ষ্যে সাজছে তৃণমূল! মমতা-অভিষেকের নতুন টিমে দেখা যেতে পারে যাঁদের
২০২৪-এর লক্ষ্যে সাজছে তৃণমূল! মমতা-অভিষেকের নতুন টিমে দেখা যেতে পারে যাঁদের
একুশের কুরুক্ষেত্রে জয়ী হয়েছে তৃণমূল। মোদী-শাহদের পর্যুদস্ত করে বাংলায় টানা তৃতীয়বার বিজয় হাসিল করেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়-অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘাসফুল শিবির। এবার তাদের লক্ষ্য ২০২৪-এ দিল্লির কুর্সি। মোদী-বিরোধী বিকল্প মুখ হয়ে ওঠার লড়াইয়ে তাই নতুন করে সাজতে চলেছে তৃণমূল। দলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় তার গৌরচন্দ্রিকা করে দিলেন।
সর্বভারতীয় দৃষ্টিভঙ্গিতেই সংগঠন সাজাবে তৃণমূল
২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচনের আগে মোদী বিরোধিতায় প্রধান মুখ হয়ে উঠতে চাইছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একুশের নির্বাচনে বিজেপিকে বাংলায় ধরাশায়ী করার পর থেকেই তিনি সেই চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। এবার নতুন টিম গড়া হচ্ছে ২০২৪-কে লক্ষ্য করেই। পার্থ চট্টোপাধ্যায় সাংবাদিক বৈঠকে করে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন সর্বভারতীয় দৃষ্টিভঙ্গিতেই সংগঠন সাজাবে তৃণমূল।
তৃণমূলের সাংগঠনিক নির্বাচন প্রক্রিয়া চলবে ২ মাস
তৃণমূল মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন, সংবিধান মেনে সাংগঠনিক নিয়মে প্রাথমিকভাবে নির্বাচন হবে চেয়ারপার্সন পদের জন্য। তারপর অন্যান্য পদের নির্বাচন হবে। তৃণমূলের সাংগঠনিক নির্বাচন প্রক্রিয়া শুরু হবে ২ ফেব্রুয়ারি। তা ৩১ মার্চের মধ্যে শেষ করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।
জাতীয় প্রেক্ষাপটে সংগঠনের ভাবনা তৃণমূল কংগ্রেসের
এই সাংগঠনিক নির্বাচনের মাধ্যমে আগামী দিনে জাতীয় প্রেক্ষাপটে নজর দিতে চায় তৃণমূল কংগ্রেস। ওয়ার্কিং কমিটির সদস্য সংখ্যা বাড়িয়ে সেই কাজ করেত চাইছে তারা। তৃণমূল এখন জাতীয় রাজনীতিতে একটা ছাপ রাখতে চাইছে। সর্বভারতীয় মর্যাদা ধরে রেখে জাতীয় রাজনীতেতে প্রাসঙ্গিক হতে চাইছে। সেই লক্ষ্যেই ত্রিপুরা পুরভোটে তারা অংশ নিয়েছিল। আসন্ন গোটা বিধানসভা নির্বাচনেও তারা লড়াই করবে।
জাতীয় স্তরের নেতাদের ওয়ার্কিং কমিটিতে চাইছে তৃণমূল
শুধু গোয়া-ত্রিপুরা নয়, আগামী দিনে মেঘালয়, হরিয়ানার মতো রাজ্যেও সংগঠন বিস্তারের পরিকল্পনা করেছে বাংলার শাসক দল তৃণমূল। সর্বভারতীয় ক্ষেত্রে সংগঠন ঢেলে সাজানোই তাদের লক্ষ্য। সেক্ষেত্রে তারা একাধিক জাতীয় স্তরের মুখকে সামনে রাখতে চাইছে। তৃণমূলে বর্তমানে ওয়ার্কিং কমিটির সদস্য সংখ্যা ২০ জন। তা বাড়িয়ে জাতীয় স্তরের নেতাদের ঢোকাতে চাইছে তৃণমূল।
যে সমস্ত নেতাদের বর্ধিত ওয়ার্কিং কমিটিতে চায় তৃণমূল
সম্প্রতি কংগ্রেস ছেড়ে বেশ কয়েকজন নেতা যোগ দিয়েছেন তৃণমূলে। তাদের মধ্যে রয়েছেন হরিয়ানার অশোক তানওয়ার, বিহারের কীর্তি আজাদ, মেঘালয়ের মুকুল সাংমা প্রমুখ। জেডিইউ ছেড়েও যোগ দিয়েছেন প্রাক্তন সাংসদ পবন বর্মা। এছাড়া তার আগে কংগ্রেসের সুস্মিতা দেব, বিজেপির যশবন্ত সিনহারাও যোগ দিয়েছেন তৃণমূলে। গোয়ার লুইজিনহো ফেলেইরো, এমনকী লিয়েন্ডার পেজের মতো প্রথিতযশা টেনিস কিংবদন্তিও যোগ দিয়েছন তৃণমূলে। তাদেরকে আনা হতে পারে ওয়ার্কিং কমিটিতে।
সংবিধান মেনেই গঠনতন্ত্র বদলের ভাবনা তৃণমূলে
তৃণমূল ১৯৯৮ সালের ১ জানুয়ারি পথ চলা শুরু করেছিল। সেই সময়ের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী তৃণমূল চলছে এখনও। এই ২৪ বছরে বহরে অনেক বড় হয়েছে তৃণমূল। তাই সংবিধান মেনেই গঠনতন্ত্র বদলের সময় এসেছে। সেই লক্ষ্যে নিয়েই এবার নির্বাচন প্রক্রিয়া পূর্ণ করতে চাইছে তৃণমূল। এর আগে ২০১৭ সালে শেষবার নির্বাচন হয়েছিল তৃণমূলে। এবার ২০২২-এ সর্বভারতীয় তৃণমূলের কমিটি তৈরি করাই লক্ষ্য। লক্ষ্য ২০২৪-এ দিল্লির কুর্সি।