বিজেপির ‘আসল’ লোকটাকেই মাঠের বাইরে পাঠিয়ে দিল তৃণমূল, খেলা শুরুর আগেই লালকার্ড
বিজেপি নবান্ন অভিযানে নামার আগেই মাঠের বাইরে চলে গেলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। শুভেন্দু অধিকারী ময়দানে নামতেই তাঁকে আটক করল তৃণমূল কংগ্রেস। শুভেন্দুর এভাবে আটক হয়ে যাওয়ায় বিজেপি তাদের আসল লোককেই পেল না নবান্ন অভিযানে। যদিও তাতে আরও উজ্জীবিত হয়ে নবান্ন অভিযানে শামিল হল বিজেপি।
শুভেন্দুকে খেলতে দিল না মমতার রাজ্য পুলিশ
তৃণমূল এবার আগে থেকেই কোমর বেঁধে নেমেছিল। একেবারে ব্যারিকেড তৈরি করে রাস্তা আটকেছে পুলিশ। এমনকী গাঁথনি করে, ওয়েল্ডিং করেও রাস্তা আটকাতে দেখা গিয়েছে পুলিশকে। ত্রিমুখী স্রোত আসার কথা ছিল নবান্ন অভিযানে। সেই স্রোত আটকাতে সেইমতোই রণনীতি তৈরি করা হয়েছিল। দিলীপ ঘোষ, সুকান্ত মজুমদারদের সেভাবে না আটকালেও শুভেন্দু অধিকারীকে খেলতে দিল না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পুলিশ।
বিজেপির নবান্ন অভিযানের শুরুতেই শুভেন্দুকে আটক
শুভেন্দু অধিকারী বিজেপিতে নামা লেখানোর পর তিনিই আন্দোলনের প্রধান মুখ হয়ে উঠেছিলেন, তা বলাই যায়। তাই শুভেন্দু অধিকারীকে আটকে দিলে যে বিজেপির নবান্ন অভিযানের মেরুদণ্ডটাই ভেঙে দেওয়া যাবে, তা জানত রাজ্য পুলিশ। তাই একেবারে প্ল্যান করে সেই কাজটাই করেছে। শুভেন্দুকে ময়দানে নামতে না দিয়েই আটক করেছে। ফলে বিজেপির আন্দোলন পঙ্গু হয়ে গিয়েছে। তিনটি পায়ের এক পা ভেঙে দিয়েছে পুলিশ।
বিজেপিকর্মী ও পুলিশের মধ্যে খণ্ডযুদ্ধ শুরু দফায় দফায়
তবে একদিকে শুভেন্দুকে আটকালেও, অন্যদিকে ধুন্ধুমার পরিস্থিতি তৈরি হয়। বিজেপির মিছিলকে ছত্রভঙ্গ করতে লাঠিচার্জ করা হয়। বিজেপি কর্মীদের লক্ষ্য। করে জলকামান বর্ষণ করা হয়। বেশ কয়েকজনকে আটক করা হয়েছে। বিজেপির নেতা-কর্মীরা অবশ্য নাছোড়বান্দা। তাঁরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট, পাটকেল, বোতল ছোঁড়া হয়। বিজেপিকর্মী ও পুলিশের মধ্যে খণ্ডযুদ্ধ শুরু হয়ে যায়। এই খণ্ডযুদ্ধে জখম হল উভয়পক্ষেরই অনেক কর্মী।
শুভেন্দুকে আটক করে বিজেপিকর্মীদের মনোবল ভেঙে দেওয়ার চেষ্টা
শুভেন্দু অধিকারীকে আটকেও যে বিজেপি কর্মীদের মনোবল ভেঙে দেওয়া যায়নি, তা স্পষ্ট বিজেপির নবান্ন অভিযানের চিত্রে। পুলিশের সঙ্গে লড়াই চালিয়ে গিয়েছে বিজেপির নেতা-কর্মীরা। শুভেন্দু অধিকারী ও লকেট চট্টোপাধ্যায়কে আটক করে লালবাজারে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। শুভেন্দু অধিকারীকে প্রিজন ভ্যানে ওঠার সময় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্যোট্পাধ্যায়কে 'লেডি কিম' বলে কটাক্ষ করেন। শুভেন্দু ও লকেটকে লালবাজারে বসিয়ে রাখা হয়।
ধুন্ধুমার পরিস্থিতি কলকাতা ও হাওড়া বিভিন্ন এলাকা
দিলীপ ঘোষ ও সুকান্ত মজুমদারের মিছিলেও বাধা দেওয়া হয়। নবান্ন অভিযান ঘিরে তুলকালাম পরিস্থিতি। কোথাও কোথায় ব্যারিকেড ভাঙে হলেও পুলিশ কড় প্রতিরোধ করছে। পুলিশের পরিকল্পনা শুরুতেই বিজেপির মিছিলকে আটকে দেওয়া। অনেক ক্ষেত্রেই তারা সফল। অনেক ক্ষেত্রে রণক্ষেত্রের চেহারা নিয়েছে। ফলে খণ্ডযুদ্ধ বেধেছে বিজেপিকর্মী ও পুলিশকর্মীদের মধ্যে। সব মিলিয়ে ধুন্ধুমার পরিস্থিতি কলকাতা ও হাওড়া বিভিন্ন এলাকা।
গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক কর্মসূচিকে শেষ করতে তৎপর মমতার পুলিশ' সাঁতরাগাছিতে আটক শুভেন্দুর তীব্র নিশানা