বিষ্ণুপুরের পর এবার আমতা, খুন তৃণমূল সদস্য, ভাঙচুর,রাস্তা অবরোধ
দিন কয়েক আগেই মোটরবাইকে বাড়ি ফেরার পথে বাড়ির কাছে খুন হয়েছিলেন বিষ্ণুপুরের প্রভাবশালী তৃণমূল নেতা ইসমাইল। এবার সেই একই কায়দায় খুনের ঘটনা হাওড়ার আমতায়।
বাড়ির সামনেই নৃশংসভাবে খুন করা হল তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্য শেখ হান্নান আলিকে। মঙ্গলবার গভীর রাতে দুষ্কৃতীরা তাঁকে নৃশংসভাবে কুপিয়ে খুন করে। হাওড়ার আমতার বসন্তপুরে ঘটে এই নৃশংস হত্যাকাণ্ড। অভিযোগের তির তৃণমূলেরই অন্য এক গোষ্ঠীর দিকে। এমনকী, হান্নানের পরিবারও গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের দিকে আঙুল তুলেছে।
এই হত্যাকাণ্ডকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। আটটি বাড়িতে ভাঙচুর চালান হান্নান অনুগামীরা। রাতভর থানার ওসিকে ঘিরে বিক্ষোভ চলে। উলুবেড়িয়া মহকুমা পুলিশ আধিকারিক রূপান্তর সেনগুপ্ত বিশাল পুলিশ বাহিনী নিয়ে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
বসন্তপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল সদস্য হান্নান আলি। স্থানীয় এলাকায় তাঁর ব্যবসাও রয়েছে। সেইসঙ্গে প্রোমোটিংয়ের কাজও করতেন তিনি। মঙ্গলবার রাতে বাইকে করে বাড়ি ফেরার সময় তাঁকে ঘিরে ধরে সশস্ত্র দুষ্কৃতীরা। বাড়ি থেকে মাত্র ১০০ মিটার দূরে হান্নানকে রাস্তায় ফেলে এলোপাথাড়ি কোপানো হয়। তাঁর পেটে, বুকে একাধিক ক্ষত চিহ্ন।
এই ঘটনায় অভিযোগের তির শেখ হাসান ও ইদ্রিশ আলি নামে তৃণমূল সদস্যদের দিকে। এই ঘটনার পর থেকেই তাঁরা পলাতক। হান্নানের অনুগামীরা এরপর অভিযুক্তদের বাড়িতে হামলা চালায়। এলাকার প্রায় ৮টি বাড়িতে ভাঙচুর চালানো হয়। অবিলম্বে অভিযুক্তদের গ্রেফতারের দাবিতে রাতেই থানা ঘেরাও করে হান্নানের অনুগামীরা। আমতা থানার ওসিকে রাতভর ঘেরাও করে রাখা হয়।
এরপর উলুবেড়িয়া মহকুমা পুলিশ আধিকারিক রূপান্তর সেনগুপ্তের নেতৃত্বে বিশাল পুলিশ বাহিনী গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। মৃতদেহ উদ্ধার করে পাঠানো হয়েছে ময়নাতদন্তে। রাতেই ৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃতরা সবাই তৃণমূলের কর্মী ও সমর্থক বলে এলাকায় পরিচিত।