বাম-কংগ্রেস-তৃণমূল যদি এক হত কী দাঁড়াত বাংলার ফল, সংখ্যালঘু ভোট-অঙ্ক একুশে
একুশে মেরুকরণ রুখতে মহাজোটের প্রস্তাব! বাম-কংগ্রেস-তৃণমূল এক হলে সংখ্যালঘু ভোট
তৃণমূল কংগ্রেসের কাছে ভীতিদায়ক হয়ে উঠেছে সংখ্যালঘু ভোটে বিভাজন। সম্প্রতি ফুরফুরা শরিফের পিরজাদা নতুন দল গড়েছেন। এরপরই বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য বাম ও কংগ্রেসকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেস। রাজনৈতিক মহল মনে করছে, মহাজোটের আহ্বানের নেপথ্যে রয়েছে মুসলিম সংখ্যালঘু ভোট।
সংখ্যালঘু ভোট মেরুকরণের সম্ভাবনা প্রবল বাংলায়
দেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ মুসলিম জনগোষ্ঠীর অবস্থান এই বাংলায়। ফলে এবারের নির্বাচনে সংখ্যালঘু ভোট মেরুকরণের সম্ভাবনা প্রবল। কেননা মিম হানা দিয়েছে বাংলায়। দল গড়েছেন আব্বাস সিদ্দিকি। তারপর রয়েছে নাগরিকত্ব সংশোধন আইন বা এনআরসি ইস্যুর মতো বড় ইস্যু। সেই ফ্যাক্টরেই এবার ভোটের আয়োজন বাংলায়।
মেরুকরণের প্রভাব থেকে বেরিয়ে আসতেই মহাজোট
ভোট মেরুকরণের ফলে সংখ্যালঘু ভোটের বিভাজন তৃণমূলকে কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলে দিতে পারে এবার। সেই মেরুকরণের প্রভাব থেকে বেরিয়ে আসতেই মহাজোটের বার্তা দিয়েছে তৃণমূল, এমনটাই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। এই আঙ্গিকে বাম-কংগ্রসসহ নতুন গডে ওঠা ছোট দলগুলিকে নিয়ে যদি মহাজোট গড়া যেতে পারে, তবে সহজেই বিজেপির বাধা টপকানো যেতে পারে।
বাম-কংগ্রেস ও তৃণমূল ২০১৯ বিজেপির উত্থান হত না
২০১১ সালের আদমসুমারি অনুসারে মুসলমানরা জনসংখ্যার ২৭ শতাংশ। সাম্প্রতিককালে তা ৩০ শতাংশ পেরিয়ে গিয়েছে। বাম-কংগ্রেস ও তৃণমূল যদি একসঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করত তবে সংখ্যালঘু ভোটের ফায়দা নিয়ে ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি ৭টির বেশি আসন জিততে পারত না।
মুসলিম ভোটের নিরিখে মহাজোটের প্রাপ্ত ভোট অঙ্ক
মূলত মুসলিম ভোটকে মাথায় রেখে এই মহাজোটের আহ্বান জানানো হয়েছে। তৃণমূল ২০১৯ সালে মুসলিম সম্প্রদায়ের ৬৫ শতাংশ ভোট পেয়েছিল তৃণমূল। কংগ্রেস পেয়েছিল ২২ শতাংশ ভোট এবং বামফ্রন্ট পেয়েছিল ৫ শতাংশ ভোট। জোট হলে বাম-কংগ্রেসের ২৭ শতাংশ ভোটের সমর্থন অর্থাৎ মুসলিম ভোটের প্রায় 8 শতাংশ অর্জন করতে পারে।
একুশের নির্বাচনে তৃণমূলকে সিওর সাকসেস দিতে পারে মহাজোট! কোন অঙ্কে সম্ভব