বিজেপির তিন 'নির্বোধ' নেতাকে খুঁজে পেয়েছেন মহুয়া, টুইটার পোস্টে শুরু নয়া জল্পনা
বঙ্গ বিজেপিতে তিনজন নির্বোধ নেতাকে খুঁজে পেয়েছেন তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র। নিজের টুইটার হ্যান্ডেলে বিজেপির ভুয়ো খবর ও সোশ্যাল মিডিয়ায় কুৎসার বিরোধিতা করতে গিয়ে এমনটাই জানান তিনি।
বঙ্গ বিজেপিতে তিনজন নির্বোধ নেতাকে খুঁজে পেয়েছেন তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র। নিজের টুইটার হ্যান্ডেলে বিজেপির ভুয়ো খবর ও সোশ্যাল মিডিয়ায় কুৎসার বিরোধিতা করতে গিয়ে এমনটাই জানান তিনি। টুইট বার্তায় বিজেপি নেতাদের একহাত নিয়ে তিনি লেখেন, কেন বিজেপি নেতারা ফেক নিউজ বা কুৎসা রটাচ্ছেন।
তিন ‘নির্বোধ’ নেতা দায়িত্বে
মহুয়ার কথায়, বিজেপি তিনজন নির্বোধকে দায়িত্ব দিয়েছে রাজ্যের তৃণমূল সরকারের বিরুদ্ধে ভুয়ো খবর ছড়ানোর জন্য। সেইমতো তিনজন নির্বোধ রাজনীতিবিদ সারাদিন ভুয়ো খবর ছড়িয়ে চলেছেন। আইটি সেলের নামে বিজেপির মহান কাজ হল রাজ্যের বিরুদ্ধে ট্রোল করা। সেটাই করে চলেছে ওই তিনজন।
ট্রোলিংয়েই নির্ভর বিজেপি নেতাদের কেরিয়ার
এ প্রসঙ্গে মহুয়া আরও বলেছেন, ওঁদের অবশ্য দোষ দিয়ে লাভ নেই। ওঁদের রাজনৈতিক কেরিয়ারটাই নির্ভর করছে ওই ট্রোলিংয়ের উপর। কে কত ভালো ট্রোল করতে পারবেন, তার ভিত্তিতে ওঁদের প্রমোশন হবে। রাজ্যসভা বা বিধানসভা ভোটে টিকিট পাওয়ার জন্য ট্রোলিংটাই ওঁদের পরীক্ষা।
কাদের ইঙ্গিত করলেন মহুয়া
এভাবেই বিজেপির আইটি সেলকে একহাত নিয়েছেন তিনি। তবে স্পষ্ট করেননি, কোন তিনজন নির্বোধ নেতা রয়েছেন বিজেপিতে। যাঁরা সারাদিন তৃণমূল সরকারের বিরুদ্ধে কুৎসা করে চলেছেন সোশ্যাল মিডিয়ায় এবং ভুয়ো খবর ছড়িয়ে চলেছেন অবিরত। এদিন বিজেপির রাজ্যসভার সাংসদ স্বপন দাশগুপ্তের টুইটের পরই তিনি টুইট করে পাল্টা দেন বিজেপিকে।
যত ভালো ট্রোল, তত প্রোমোশন
মহুয়া মৈত্র এদিন নিজের টুইটার হ্যান্ডেলে বিজেপির বিরুদ্ধে প্রতিবাদে সরব হন। রাজ্যে সোশ্যাল মিডিয়াকে হাতিয়ার করে বিজেপি যেভাবে ভুয়ো খবর রটাচ্ছে তার বিরুদ্ধে গর্জে ওঠেন। তিনি বলেন, বিজেপির কাজই হল ট্রোল করা। কত ভালো ট্রোল করতে পারেন, তার উপরই নির্ভর করে ওদের উত্তরণ।
টুইট বন্যা বইয়ে দিচ্ছেন বিজেপির অনেকেই
সম্প্রতি বিজেপি সাসংদ স্বপন দাশগুপ্ত উল্লেখ করেন, ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়কের এখন একটাই চ্যালেঞ্জ পশ্চিমবঙ্গ ফেরত করোনা সংক্রমিতদের চিকিৎসা। এবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কী বলবেন? এর আগে বাবুল সু্প্রিয় তো তৃণমূলের বিরুদ্ধে টুইটের বন্যা বইয়ে দিচ্ছেন। টুইটে প্রতিনিয়ত তৃণমূল তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশানা করছেন লকেট চট্টোপাধ্যায় থেকে শুরু করে দিলীপ ঘোষ, রাহুল সিনহারা সবাই।
যাত্রীশিল্পীর ভাষ্য পোস্ট, রণে ভঙ্গ
সম্প্রতি বিজেপির টুইটার হ্যান্ডেল থেকে এক যাত্রীশিল্পীর ভাষ্য পোস্ট করা হয়। প্রমাণিত হয়, ওই যাত্রাশল্পীকে দিয়ে রেশন ব্যবস্থা নিয়ে সেসব বলানো হয়েছিল। রাজ্য পুলিশ সেই পর্দাফাঁস করেছিলেন। এই মিথ্যা নিয়ে প্রচারে ঝড় তুলে পরে রণে ভঙ্গ দিতে হয় বিজেপিকে।
মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে বিজেপির মুখ নেই! চাঞ্চল্যকর বার্তায় অপপ্রচারের জবাব সাংসদ মহুয়ার