এক চড়েই জেড প্লাস নিরাপত্তার হকদার অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়!
কলকাতা, ৯ জানুয়ারি: একটি পাইলট গাড়ি, পুলিশের একটি মোবাইল ভ্যান,সাদা পোশাকে নিরাপত্তারক্ষীরা,নিরাপত্তা অফিসারদের জন্য দুটি গাড়ি, অতিরিক্ত কমান্ডো নিরাপত্তা,কমান্ডোদের জন্য গাড়ি, ২ জন ব্যক্তিগত পুলিকর্মী, ব্যক্তিগত নিরাপত্তারক্ষী অফিসারদের জন্য একটি গাড়ি এবম ৩৬ জন কর্মীর ঘেরাটোপ এসব শুধু তাঁকে চড় মারা হয়েছিল বলে।
হ্যাঁ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, তৃণমূলনেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাইপো। বিরোধীরা যাঁকে রাজকুমার বলেও কটাক্ষ করেন, সেই অভিষেকের নিরাপত্তা এবার জেড থেকে বাড়িয়ে জেড প্লাস করা হয়েছে চড় কাণ্ডের পরে। রাজ্যের এক শীর্ষ আধিকারিক এই খবরের সত্যতা স্বীকার করেছেন।
নিরাপত্তা বাড়ানোর প্রয়োজনীয়তা
খোলা মঞ্চে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে অপিরিচিত এক ব্যক্তি চড় মারার পরেই পুলিশ সিদ্ধান্ত নেয় অভিষের বন্দ্যোপাধ্যায়ের নিরাপত্তা বাড়ানোর সময় এসেছে। চড় খাওয়ার আগেও যদিও খুব একটা কম নিরাপস্থা ব্যবস্থার ঘেরাটোপে ছিলেন না অভিষেক। এতদিন জেড নিরাপত্তা উপভোগ করছিলেন অভিষেক।
যদিও পুলিশের বক্তব্য, চড় খাওয়ার পরে অভিষেকের উপর হামলার আশঙ্কা বেড়েছে। আর সেই কারণেই জেড নিরাপত্তা আপগ্রেড করে অভিষেককে জেড প্লাস নিরাপত্তার আওতায় আনা হল।
অভিজাত পর্যায়ে উন্নিত
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়,পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল কেশরী নাথ ত্রিপাঠীর সঙ্গে এবার এক তালিকায় চলে এলেন ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও। নিজেদের পদের জন্য যেখানে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ও রাজ্যপাল নিয়মমাফিকভাবেই জেড প্লাস নিরাপত্তার অধীনে পড়েন সেখানে শুধু একটা চড় রাজ্যের এক সাংসদকেও মুখ্যমন্ত্রী ও রাজ্যপালের সঙ্গে একই অভিজাত তালিকায় নিয়ে এল।
যদিও এটা নজিরবিহীন যে কোনও সাংসদকে এই ধরণের নিরাপত্তা ব্যবস্থা দেওয়া হচ্ছে। তবে এক্ষেত্রে অভিষেক তো আর শুধু সাংসদ নন, মুখ্যমন্ত্রীর ভাইপোও বটে। তাই বলেই কী সাততাড়াতাড়ি এত বাড়াবাড়ি।
'এতে ভুলের কী আছে?'
নিরাপত্তার খরচ বহন করে রাজ্যই। সাধারণত যারা সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠীর থেকে হুমকি পায় তাদের জন্য জেড প্লাস নিরাপত্তা দেওয়া হয়। কিন্তু চড় খাওয়ায় নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে এ দৃষ্টান্ত নেই বললেই চলে। কিন্তু স্বজনপোষণের সরকারে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী যেখানে 'পিসি' সেখানে বাড়তি সুবিধা যে মিলবে তা আর বড় কথা কী।
চড় কাণ্ডে যে সুব্রত মুখোপাধ্যায় বলেছিলেন "যে চড় মেরেছে তো এখনও বেঁচে আছে" সেই সুব্রতবাবু অভিষেকের নিরাপত্তা বাড়ানোয় স্বাভাবিক ভাবেই কোনও ভুল দেখছেন না।
তাঁর কথায়, অভিষেক যুব নেতা যে হুমকি পেয়েছে, সরকারের সম্পূর্ণ অধিকার রয়েছে তাঁর নিরাপত্তা বাড়ানোর এই সিদ্ধান্ত নেওয়ার।