একুশের বিধানসভা নির্বাচনে ইস্যু কি করোনা! তাল ঠুকছে তৃণমূল-বিজেপি দুই শিবিরই
২০২০-র শুরু থেকেই করোনা প্রাদুর্ভাব শুরু হয়েছে বিশ্বে। এই বাংলাও করোনার প্রকোপ থেকে রক্ষা পায়নি। বছর ফুরোলেই ২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচনের দামামা বেজে যাবে।
২০২০-র শুরু থেকেই করোনা প্রাদুর্ভাব শুরু হয়েছে বিশ্বে। এই বাংলাও করোনার প্রকোপ থেকে রক্ষা পায়নি। বছর ফুরোলেই ২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচনের দামামা বেজে যাবে। বর্তমান করোনা লকডাউন পরিস্থিতিতে বিগত সমস্ত ইস্যুই প্রায় ধামাচাপা। এই অবস্থায় সমস্ত রাজনৈতিক দলই ধরে নিয়েছে করোনাই হবে ভোটের মূল ইস্যু।
তৃণমূল কংগ্রেস ও বিজেপির একইরকম ভাবনা
রাজ্যের দুই প্রতিদ্বন্দ্বী শিবির তৃণমূল কংগ্রেস ও বিজেপিও একইরকম ভাবনা ভাবতে শুরু করে দিয়েছে। তা নিয়েই তৈরি হচ্ছে। করোনা যুদ্ধে রাজ্যের সাফল্য-ব্যর্থতা উভয়ই বড় হয়ে দেখা দেবে এবার। করোনা রুখতে রাজ্য কতটা সফল হল তার উপর নির্ভর করবে ভোট যুদ্ধের পরিকল্পনা।
করোনা লকডাউনে দুই শিবিরের রণকৌশল
সেইসঙ্গেই করোনা লকডাউনে রাজ্য সরকার কতটা মানুষের কাছে পৌঁছতে পারল, মানুষের সুরাহা ও সাহারা দেওয়ার বন্দোবস্ত করতে পারল, তাও নির্ভর করবে ভবিষ্যৎ ভোট কৌশলে। রাজ্য যেমন নিজেদের সাফল্যকে তুলে ধরতে অগ্রণী হবে, ঠিক ততটাই ব্যর্থতা তুলে ধরতে আগ্রহী হবে বিজেপি।
বিজেপি কাঠগড়ায় তুলছে তৃণমূলকে
এই লড়াই এখন থেকেই শুরু হয়ে গিয়েছে। রাজ্যের রেশন ব্যবস্থা নিয়ে দুই শিবির দুই প্রান্তে। করোনা মোকাবিলার কঠিন সময়েও কেউ কাউকে বিনা যুদ্ধে সূচাগ্র মেদিনী ছাড়তে রাজি নয়। তাই রেশন দুর্নীতি নিয়ে সরব হয়েছে রাজ্যের বিরোধী দলগুলি। বিশেষ করে বিজেপি কাঠগড়ায় তুলছে তৃণমূলকে।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্বয়ং ড্যামেজ কন্ট্রোলে
আর তার পাল্টা দিতে শুরু করেছে তৃণমূলও। রেশন দুর্নীতি নিয়ে বিজেপি অ্যাডভান্টেজ পজিশনে চলে যাওয়ায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্বয়ং নেমে পড়েছেন ড্যামেজ কন্ট্রোলে। তিনি দলের নেতা-কর্মীদেরও বার্তা দিয়েছেন রেশন দুর্নীতিতে নাম জড়ালে রেয়াত করবেন না। মানুষের কাছে খাদ্যদ্রব্য পৌঁছনে রেশন ব্যবস্থাকে রক্ষা করতে হবে দলের নেতা-কর্মীদেরই।
যুদ্ধ থেমে নেই, নয়া প্লাটফর্মও তৈরি
তবে যুদ্ধ শুধু এখানেই থেমে নেই। যুদ্ধ চলছে সোশ্যাল মিডিয়াতেও। বিজেপিতে করোনাকেই মূল ইস্যু করে তৃণমূলের বিরুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়তে অন্যতম হাতিয়ার করেছে তাঁদের আইটি ও মিডিয়া সেলকে আর বসলে নেই তৃণমূলও। তৃণমূলও প্রচার কৌশলী প্রশান্ত কিশোরের নেতৃত্বে সক্রিয় হচ্ছে সোশ্যাল যুদ্ধে।