রাত বাড়লেই বাঘের হানা! পায়ের ছাপ নয় মিলেছে দর্শনও, আতঙ্কে ঘুম ছুটেছে গ্রামে
বাঘের আতঙ্ক ঘুম ছুটেছে বীরভূমের সিউড়িবাসীর। সিউড়ির গরুঝড়া গ্রামে নাকি বাঘ দেখা গিয়েছে। সেই যে আতঙ্ক ছুটেছে, তার রেশ চলছে এখনও।
বাঘের আতঙ্ক ঘুম ছুটেছে বীরভূমের সিউড়িবাসীর। সিউড়ির গরুঝড়া গ্রামে নাকি বাঘ দেখা গিয়েছে। সেই যে আতঙ্ক ছুটেছে, তার রেশ চলছে এখনও। বাঘের পায়ের ছাপ মিলেছে একাধিক জায়গায়। গ্রামেরই এক কবরস্থানে শনিবার রাতে বাঘ এসেছিল বলে দাবি গ্রামবাসীদের। বাঘের ডাক শোনা গিয়েছে বলে জানান গ্রামবাসীরা।
দুদিন আগে প্রথম বাঘ দেখা গিয়েছে বলে আতঙ্ক ছড়ায়। সিউড়ি থেকে রাত আটটা নাগাদ কাজ সেরে বাড়ি ফিরছিলেন গ্রামেরই এক মহিলা ও পুরুষ। তাঁদের দাবি, তাঁরা জঙ্গলের ধারে একটি বাঘ দেখেছেন। তবে সেই বাঘ পেল্লাই নয়, আকারে ছোট। তাঁরা জোর দিয়েই দাবি করে, ওটা বাঘই। সেইমতো খবর দেওয়া হয় বন দফতরকে।
এরপর বন দফতর ও সিউড়ি থানার পুলিশ যৌথভাবে তল্লাশি শুরু করে। কিন্তু কোনও কিছুই খুঁজে পাওয়া যানি ওই রাতে। এরপর শনিবার রাতেও বাঘ বেরিয়েছিল বলে স্থানীয়দের দাবি। শেখ আলমগীর নামে জনৈক বাসিন্দা জানান, তাঁর গোয়ালঘরে বাঘ ঢুকেছিল। দুই আড়াই ফুট উচ্চতা জন্তুটির। গায়ে ডোরাকাটা দাগ।
এরপর চিৎকার চেঁচামিটিতে গ্রামবাসীরা বেরিয়ে পড়েন লাঠিসোঁটা নিয়ে। তার আগেই অবশ্যা বাঘ নামক ওই জন্তুটি পগার পার। গ্রামবাসীদের দাবি স্থানী. কবরস্থানে রয়েছে বাঘটি। জঙ্গলে ঘেরা ওই এলাকায় বাসা বেঁধেছে। বেশ কয়েকটি ছাগল উধাও হয়েছে। কুকুরও উধাও হয়েছে।
এর ফলে সন্ধ্যার পর থেকে শুনশান হয়ে পড়ছে এলাকা। বাঘের আতঙ্কে গৃহবন্দি সকলে। ভয়ে ছেলেমেয়েদের স্কুলে পাঠানোও বন্ধ। এর আগে লালগড়ে বাঘের দেখা মিলেছিল। তারপর লালগড়ের জঙ্গলে সেই বাঘের দেহ মেলে। বাঘটিকে খুন করা হয় বলে অভিযোগ।