একটি বাঘেরও চিহ্ন নেই বক্সায়! প্রশ্ন উঠছে বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের ‘টাইগার রিজার্ভ’ তকমা নিয়ে
একটি বাঘেরও চিহ্ন নেই বক্সায়! প্রশ্ন উঠছে বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের ‘টাইগার রিজার্ভ’ তকমা নিয়ে
আর একটিও বাঘের চিহ্ন নেই মিজোরামের দাম্পা টাইগার রিজার্ভ এবং পশ্চিমবঙ্গের বক্সা টাইগার রিজার্ভে। মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় পরিবেশমন্ত্রী প্রকাশ জাভড়েকরের কর্তৃক প্রকাশিত একটি সরকারী প্রতিবেদনে একথা বলা হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।
একটিও বাঘের চিহ্ন নেই বক্সায়
এদিকে ২০১৮ সালে সারা দেশ জুড়ে বাঘ সুমারির পর বক্সার প্রকল্পকে বাঘ শূন্য বলে চিহ্নিত করেছিল কেন্দ্রীয় বাঘ সংরক্ষক সংস্থা ন্যাশনাল টাইগার কনজারভেশন অথরিটি। তারপরেই বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের ‘টাইগার রিজার্ভ' তকমা নিয়েও একগুচ্ছ প্রশ্ন উঠে যায়। পরবর্তীতে পড়শি রাজ্য অসম থেকে ছ'টি বাঘ নিয়ে আসার ছাড়পত্র দেয় ন্যাশনাল টাইগার কনজারভেশন অথরিটি। বর্তমানে সেগুলিও নিশ্চিহ্ন হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।
কোন টাইগার রিজার্ভে কত বাঘ ?
এদিকে বর্তমানে জিম কার্বেট টাইগার রিজার্ভে সর্বাধিক বাঘ রয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। সেখানে এখন মোট বাঘের সংখ্যা প্রায় ২৩১টি। পাশাপশি বান্ধবগড়, বান্দিপুর, নগরহোল, মুদুমালাই এবং কাজিরাঙ্গা প্রত্যেকটিতেই ১০০টিরও বেশি বাঘ রয়েছে বলে খবর। এদিকে দুধওয়া, কানহা, তাডোবা, সত্যমঙ্গলম ও সুন্দরবনে ৮০ টিরও বেশি বাঘ রয়েছে বলে বর্তমানে প্রকাশিত কেন্দ্রীয় প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
দেশের মোট বাঘের ৬৫ শতাংশ রয়েছে টাইগার রিজার্ভ কেন্দ্র গুলিতে
বর্তমানে দেশের সমস্ত ব্যাঘ্র প্রকল্প গুলির মধ্যে বাঘের সংখ্যা ১,৯২৩ যা ভারতের মোট বাঘের সংখ্যার ৬৫ শতাংশ। সহজ ভাবে বললে টাইগার রিজার্ভ কেন্দ্র গুলির বাইরে এখনও ৩৫ শতাংশ বাঘ রয়েছে। এদিকে গোটা বিশ্বের মধ্যে প্রায় পশ্চিম ঘাটে (নাগরহোল-বান্দিপুর-ওয়ায়ানাদ-মুদুমালাই সত্যমঙ্গলম-বিআরটি ব্লক) সর্বাধিক বাঘের গতিবিধি লক্ষ্য করা যায়। সেখানে মোট বাঘের সংখ্যা ৭২৪।
আশির দশকে বক্সা জাতীয় উদ্যান ১৩তম ব্যাঘ্র প্রকল্পের মর্যাদা পায়
পাশাপাশি বাঘের দ্বিতীয় বৃহত্তম আবাস স্থল হিসাবে পরিচিতি রয়েছে উত্তরাখণ্ড এবং পশ্চিম উত্তরপ্রদেশের(রাজাজি -কার্বেট-রামনগর-পিলিভিট-দুধওয়া ব্লক)। সেখানে বর্তমানে মোট বাঘের সংখ্যা ৬০৪। এদিকে আশির দশকে সারা দেশের মধ্যে বক্সা জাতীয় উদ্যান ১৩তম ব্যাঘ্র প্রকল্পের মর্যাদা পেলেও টানা ত্রিশ বছরে বক্সায় বাঘেদের প্রত্যক্ষ উপস্থিতির প্রমাণ দিতে ব্যর্থ হয়েছে বনদপ্তর। তা নিয়ে বিতর্ক ও সমালোচনা আজও অব্যাহত রয়েছে।
রাজস্থানে গেহলটের ছদ্মবেশে নিজের ভূতই যেন দেখছেন রাজ্যপাল কলরাজ!