আর্থিক মন্দায় ডুবে যাবে ভারতীয় অর্থনীতি, করোনা আতঙ্কের মাঝে উদ্বেগের যে বার্তা দিল বিশ্বব্যাঙ্ক
চলতি অর্থবছরে ভারতের অর্থনীতি ৩.২ শতাংশ হ্রাস পাবে বলে অনুমান করা হচ্ছে। সোমবার বিশ্বব্যাংক এই আশঙ্কার কথা জানিয়েছে।
চলতি অর্থবছরে ভারতের অর্থনীতি ৩.২ শতাংশ হ্রাস পাবে বলে অনুমান করা হচ্ছে। সোমবার বিশ্বব্যাংক এই আশঙ্কার কথা জানিয়েছে। করোনা ভাইরাস লকডাউন অর্থনৈতিক কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়ার কারণে বৃদ্ধির হারে এই সংকোচন বলে পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলিও করোনা লকডাউনে দিশেহারা হয়ে পড়েছে।
ভারতীয় অর্থনীতিতে আঘাত নেমে আসবে
ওয়াশিংটনভিত্তিক বহুপক্ষীয় ঋণদাতা এই বিশ্বব্যাঙ্ক।। তারা মনে করে করোনা ভাইরাসে মহামারী বিধ্বংসী রূপ নেওয়ায় এবং করোনার বিস্তার রোধে বহু-পর্যায়ের লকডাউন চাপিয়ে দেওয়ায় ভারতীয় অর্থনীতিতে এক বিরাট আঘাত নেমে আসবে। তার ফলে ওই মহাপতন হবে বলে ধারণা।
আশার বাণী নিয়েই বাঁচায় প্রয়াস চালাচ্ছে ভারত
গ্লোবাল ইকোনমিক প্রসপেক্টের সর্বশেষ সংস্করণে বিশ্বব্যাংক তার ধারণা নয় শতাংশ কমিয়েছে। তবে, ২০২১ সালে ভারতীয় অর্থনীতি আবারও স্বমহিমায় ফিরে আসবে বলেও আশার বাণী শুনিয়েছে বিশ্বব্যাংক। ভারত তথা ভারতবাসী এখন সেই আশার বাণী নিয়েই বাঁচায় প্রয়াস চালাচ্ছে।
এই অর্থবছরেই করোনা লকডাউনের প্রভাব
ভারতে ২০১৯-২০২০ অর্থবছরে (মার্চ ২০২০-তে শেষ হওয়া বছর) প্রবৃদ্ধি হ্রাস পেয়ে ৪.২ শতাংশে অনুমান করা হয়েছে। এবং ২০২০-২০১১ অর্থবছরে তা ৩.২ শতাংশ কমে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। মূলত এই অর্থবছরেই করোনা লকডাউনের প্রভাব পড়বে দেশের বুকে।
বিশ্ব অর্থনীতি মন্দায় ডুবে যাবে
শুধু ভারত নয়, এই সময়ে বিশ্ব অর্থনীতি মন্দায় ডুবে যাবে। সবথেকে খারাপ খারাপ পরিস্থিতি হবে বিশ্ব অর্থনীতির, এমনটাই মনে করে বিশ্বব্যাংক। গ্লোবাল ইকোনমিক প্রসপেক্ট রিপোর্টে বলা হয়েছে, করোনা ভাইরাসের বিস্তারকে সীমাবদ্ধ করার কঠোর ব্যবস্থা স্বল্পমেয়াদী ক্রিয়াকলাপকে হ্রাস করেছে এবং তা অর্থনৈতিক সংকোচনে অবশ্যই ভূমিকা রাখবে।
স্বাধীনতার পর থেকে দেশের চতুর্থ মন্দা
মুডির ইনভেস্টরস সার্ভিস, ফিচ রেটিং এবং এস অ্যান্ড পি গ্লোবাল রেটিংয়ের মতো আন্তর্জাতিক রেটিং এজেন্সিগুলি ২০২০ সালের এপ্রিল থেকে মার্চ ২০২১ অর্থবছরে ভারতের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির হারে ৪-৫ শতাংশ সংকোচনের পূর্বাভাস দিয়েছে। ক্রিসিল বলেছেন যে এটি স্বাধীনতার পর থেকে দেশের চতুর্থ মন্দা হবে। উদারকরণের পরে প্রথম এবং এখন অবধি সবচেয়ে খারাপ।