সদ্যোজাতদের জন্য স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে ঢেলে সাজানোর পরিকল্পনা মুখ্যমন্ত্রীর
সদ্যোজাতদের জন্য স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে ঢেলে সাজানোর পরিকল্পনা মুখ্যমন্ত্রীর
সারা দেশে প্রতি হাজারে শিশুমৃত্যুর গড় যেখানে ৩৪ জন, সেখানে পশ্চিমবঙ্গে প্রতি হাজারে শিশু মৃত্যুর হার ২৫ বলে দাবি করলো রাজ্যের শাসক দল তথা তৃণমূল কংগ্রেস। সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট কর্তৃক প্রকাশিত এক তথ্যে তারা দাবি করে, তৃণমূল সরকার ক্ষমতায় আসার পর সরকারি স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় তারা প্রভূত উন্নতি করেছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে রাজ্যের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা ঢেলে সাজানোও হয়েছে।
ওই ওয়েবসাইটের সূত্র অনুযায়ী, অসুস্থ নবজাতকদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা সুনিশ্চিত করতে একের পর এক উদ্যোগ নিচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যের স্বাস্থ্য দপ্তরের তথ্য অনুযায়ী শিশুদের চিকিৎসার জন্য অন্য রাজ্যের তুলনায় বাংলায় 'ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিটের’ সংখ্যাও বর্তমানে দেশের মধ্যে সর্বোচ্চ। ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিটের মধ্যে আছে 'সিক নিউবর্ন কেয়ার ইউনিট', 'সিক নিউবর্ন স্টেবিলাইজেশন ইউনিট', 'সিক পেডিয়াট্রিক ইন্টেন্সিভ কেয়ার ইউনিট', এবং 'সিক নিওন্যাটাল ইন্টেন্সিভ কেয়ার ইউনিট'।
তৃণমূলের ওই ওয়েবসাইটে এও দাবি করা হয়, বাংলায় ২০১১ সালে রাজ্যে পালাবদলের আগে সিক নিউবর্ন কেয়ার ইউনিটের সংখ্যা ছিলো মাত্র ৬ টি, কিন্তু তৃণমূল কংগ্রেস ক্ষমতায় আসার পর এখন সদ্যজাতের চিকিৎসার জন্য তৈরি এই বিশেষ ইউনিটের সংখ্যা ৬৯টি। পাশাপাশি বিভিন্ন হাসপাতালে সদ্যজাতদের জন্য প্রায় ২২১৭টি শয্যা বাড়ানোও হয়েছে বলে তৃণমূলের তরফে দাবি করা হয়েছে। বর্তমানে শ্রীরামপুর ওয়্যালস সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালেও নবজাতকদের চিকিৎসার জন্য বিশেষভাবে 'নিউবর্ন কেয়ার ইউনিট' খোলা হচ্ছে বলেও তৃণমূল সূত্রে খবর।
পাশাপাশি রাজ্যের বিভিন্ন সরকারি হাসপাতাল এবং মেডিক্যাল কলেজে ইতিমধ্যেই ৩০৭টি 'নিউবর্ন স্টেবিলাইজেশন ইউনিট' খোলা হচ্ছে বলেও তৃণমূলের ওই ওয়েবসাইটে প্রকাশিত সূত্র মারফত দাবি করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই স্বাস্থ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন রাজ্য জুড়ে দ্রুত ১৩ টি পেডিয়াট্রিক ইন্টেন্সিভ কেয়ার ইউনিট, ও ১৫ টি নিওন্যাটাল ইন্টেন্সিভ কেয়ার ইউনিটও খোলা হবে। অন্যদিকে শিশু স্বাস্থ্য পরিকাঠামোগত উন্নয়নের পাশাপাশি সদ্যজাত শিশুদের কিডনির সমস্যা থেকে দূরে রাখতে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে বিশেষ চিকিৎসা ব্যবস্থা যুক্ত 'নেফ্রোলজি’ বিভাগও খোলা হচ্ছে। একই সাথে ৪টি ডায়ালিসিস যন্ত্রও বসানো হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে।
অন্যদিকে রাজ্যের বিভিন্ন জেলা জুড়ে অপুষ্ট শিশুদের পর্যাপ্ত চিকিৎসা ও শিক্ষাদানের জন্য স্বাস্থ্য মন্ত্রীর উদ্যোগে ৫১টি 'নিউট্রিশন রিহ্যাবিলিটেশন' সেন্টারও তৈরি করা হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। পাশাপাশি রাজ্য জুড়ে শিশু স্বাস্থ্য ব্যবস্থা পুনরুদ্ধারে বিশেষ নজরদারি চালানো হচ্ছে টিকাকরণের উপরেও। যদিও বর্তমানে রাজ্যের ১০০ শতাংশ শিশুরই সফল টিকাকরণ সম্ভব হয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে তৃণমূলের ওই অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে।