গঙ্গা ভাঙনের কবলে মুর্শিদাবাদের ফরাক্কা, নদীগর্ভে তলিয়ে গেল দশটি বাড়ি
গঙ্গা ভাঙনের কবলে মুর্শিদাবাদের ফরাক্কা, নদীগর্ভে তলিয়ে গেল দশটি বাড়ি
ফের গঙ্গা ভাঙনের কবলে মুর্শিদাবাদের ফরাক্কা ব্লক। নদীগর্ভে তলিয়ে গেল দশটি বাড়ি। ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়ে এলাকায়। কয়েক দিন ধরেই এই ভাঙনের জেরে দুঃশ্চিন্তায় দিন কাটাচ্ছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
মুর্শিদাবাদ জেলার ফরাক্কাতে গঙ্গা ভাঙন নতুন কিছু নয়। বিঘের পর বিঘে চাষের জমি চলে যাচ্ছে নদী গর্ভে। চলতি মরশুমে গঙ্গার জল স্তর বাড়ার ফলে বেশ কয়েক দিন ধরেই ভাঙনের মুখে কুলিদিয়ার গ্রামের বাসিন্দারা। বেশ কিছু দিন ধরেই ফরাক্কা হোসেনপুরে চলছে ভাঙন। হোসেনপুর চরের পাশাপাশি এবার ভাঙনের মুখে কুলি দিয়ার গ্রাম।
প্রশাসন ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন ভাঙনের কবলে ১০-১২ টি পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত। প্রায় ১০টি বাড়ি গঙ্গা গর্ভে তলিয়ে গিয়েছে, পাশাপাশি তলিয়ে গিয়েছে একটি প্রাচীন মন্দির। এক সপ্তাহ আগে একটি দুশো মিটারের ঢালাই রাস্তা সেটিও গঙ্গা গিলে নিয়েছে। পাশাপাশি একটি উপ স্বাস্থকেন্দ্র নদীর গাঁ ঘেঁষে নদীর বক্ষে ঝুলছে বর্তমানে। ভাঙনের জেরে ফরাক্কা ব্যারেজের দিকে আঙুল তুলেছেন এলাকার বাসিন্দারা। কয়েক দিনের ভাঙনে মোট ১৮০টি পরিবার তলিয়ে গিয়েছে গঙ্গা ভাঙনে।
বাসিন্দাদের অভিযোগ, রবিবার সকাল সাতটা পর থেকে নতুন করে ভাঙন শুরু হয়েছে এবং গঙ্গার জল ঢুকে গ্রামের একাংশ প্লাবিত। প্রায় ১০টি ঘর ভেঙে গেছে ইতিমধ্যেই এবং ভাঙন জেরে ত্রাণ শিবিরে আশ্রয় না পেয়ে মাঠে দিন কাটাচ্ছেন সাধারণ মানুষ। গ্রামের একটি মাত্র ত্রাণ শিবির ছিল সেটি তলিয়ে যাওয়া সমস্যায় পড়েছেন সাধারণ মানুষ। গঙ্গার জল বৃদ্ধি পাওয়া ফলে জলস্তর না কমলে ভাঙনের গ্রাসে চলে যাবে সমগ্র গ্রাম।
কিন্তু এসব দেখেও ভাঙন রুখতে কোনো উদ্যোগ নেয় নি প্রশাসন। ভিটেহারা সাধারণ মানুষ এখন পুর্নবাসন জন্য সরকারের দাবি রেখেছেন। খোলা আকাশের নিচে দিন কাটাচ্ছেন অসহায় পরিবারের সদস্যরা।
কলেজ ল্যাবে দুঃসাহসিক চুরির ঘটনায় চাঞ্চল্য মালদায়