মোদীর রাজত্বে সেই বেশি পায় আছে যার ভুরি ভুরি, কটাক্ষ সূর্যকান্ত মিশ্রের
করোনা ভাইরাসের মোকাবিলাই এই মুহূর্তে বিশ্বের সমস্ত সরকারের পাখির চোখ। সেইমতোই গোটা বিশ্ব লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে। লকডাউনে অর্থনৈতিক অবস্থা একেবারেই ভেঙে পড়ার আশঙ্কা করছেন তাবড় বিশেষজ্ঞরা।
করোনা ভাইরাসের মোকাবিলাই এই মুহূর্তে বিশ্বের সমস্ত সরকারের পাখির চোখ। সেইমতোই গোটা বিশ্ব লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে। লকডাউনে অর্থনৈতিক অবস্থা একেবারেই ভেঙে পড়ার আশঙ্কা করছেন তাবড় বিশেষজ্ঞরা। আর এই সময়ই রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া ঋণ মকুব করার সিদ্ধান্ত নিল। এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে গর্জে উঠলেন সিপিএম রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র।
তিনি টুইট বার্তায় একহাত নিলেন কেন্দ্রের মোদী সরকারকে। তিনি লেখেন, অসহায় কৃষকের ঋণ মকুব নেই। ফসলের দাম নেই। শ্রমিকদের কাজ নেই। পরিযায়ী শ্রমিকদের আশ্রয় নেই, খাদ্য নেই, বাড়ি ফিরতে ট্রেন নেই। করোনা ভাইরাস টেস্টের কিট নেই। তা সত্ত্বেও নীরব মোদী, মেহুল চোকসি, বিজয় মালিয়াদের ঋণ মকুব করে দেওয়া হল।
সূর্যকান্ত বলেন, মোদীর রাজত্বেই এসব সম্ভব। তাই তিলি টুইটারে লেখেন- মোদীর রাজত্বে সেই বেশি পায় "আছে যার ভুরি ভুরি, রাজার হস্ত করে সমস্ত কাঙালের ধন চুরি।" তা না হলে দেশের এমন চরম দুঃসময়ে নীরব মোদী, মেহুল চোকসি, বিজয় মালিয়া থেকে শুরু ঋণখেলাপিতদের ঋণ মকুব করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
কিন্তু অসহায় কৃষকের ঋণ মকুব নেই। ফসলের দাম নেই। শ্রমিকদের কাজ নেই। পরিযায়ী শ্রমিকদের আশ্রয় নেই, খাদ্য নেই, বাড়ি ফিরতে ট্রেন নেই। করোনা ভাইরাস টেষ্টের কিট নেই।
— Surjya Kanta Mishra (@mishra_surjya) April 28, 2020
মোদীর রাজত্বে সেই বেশি পায় "আছে যার ভুরি ভুরি, রাজার হস্ত করে সমস্ত কাঙালের ধন চুরি।" pic.twitter.com/FCbpR3mAwH
রিজার্ভ ব্যাঙ্কের দেওয়া তথ্য থেকেই পাওয়া যায় এই চাঞ্চল্যকর তথ্য। রিজার্ভ ব্যাঙ্ক জানিয়েছেন দেশের শীর্ষ ঋণখেলাপীদের প্রায় ৬৮ হাজার কোটি টাকার ঋণ মকুব করে দেওয়া হয়েছে। আর এই সিদ্ধান্তই নতুন করে প্রশ্ন তুলে দিয়েছে মোদী সরকারের অর্থনৈতিক পরিকল্পনা নিয়ে।
সূর্যকান্ত টুইটে উল্লেখ করেছেন, রিজার্ভ ব্যাঙ্কের ঋণ মকুবের তালিকা অনুযায়ী মেহুল চোকসির ৫ হাজার ৪৯২ কোটি, বিজয় মালিয়ার ১ হাজার ৯৪৩ কোটি, রামদেবের ২ হাজার ২১২ কোটি টাকা। মোট ৫০ জন ঋণখেলাপির ৬৮ হাজার কোটি টাকা মকুব করছে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। আর এদিকে দেশের মানুষ খেয়ে পারছে না, করোনা টেস্টিংও হচ্ছে না।