তৃণমূলের ১৯-এর পর ১৭ বিরোধী নেতা-নেত্রীও স্বস্তিতে, পরবর্তী শুনানি পর্যন্ত স্থগিতাদেশ জারি
তৃণমূলের ১৯ নেতা-মন্ত্রীর পাল্টা ১৭ বিরোধী নেতার নামে আয় বহির্ভূত সম্পত্তি বৃদ্ধির অভিযোগে জনস্বার্থ মামলা হয়েছিল। শুক্রবার সুপ্রিম কোর্ট ১৯ তৃণমূল নেতা-মন্ত্রীর বিরুদ্ধে হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলায় স্থগিতাদেশ জারি করে।
তৃণমূলের ১৯ নেতা-মন্ত্রীর পাল্টা ১৭ বিরোধী নেতার নামে আয় বহির্ভূত সম্পত্তি বৃদ্ধির অভিযোগে জনস্বার্থ মামলা হয়েছিল। শুক্রবার সুপ্রিম কোর্ট ১৯ তৃণমূল নেতা-মন্ত্রীর বিরুদ্ধে হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলায় স্থগিতাদেশ জারি করে। তার অদ্যাবধি পরে সুপ্রিম কোর্ট বিরোধী ১৭ নেতা-নেত্রীর নামে আয় বহির্ভূত সম্পত্তি বৃদ্ধি মামলাতেও স্থগিতাদেশ জারি করে দেয়।
একই দিন আয় বহির্ভূত সম্পত্তি বৃদ্ধির জোড়া মামলায় সুপ্রিম কোর্ট স্থগিতাদেশ জারি করায় স্বস্তি ফিরে আসে ১৯ তৃণমূল নেতা-মন্ত্রী ও বিরোধী ১৭ নেতা-নেত্রীর মুখেও। তৃণমূলের ১৯ জনের পাশাপাশি বিজেপি-সিপিএম-কংগ্রেসসহ ১৭ নেতার সম্পত্তি বৃদ্ধির অভিযোগে হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছিল। স্বল্প সময়ে একত বিপুল সম্পত্তি কী করে হল তা নিয়ে হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা করা হয়।
তৃণমূলের ১৯ নেতা-মন্ত্রীর বিরুদ্ধে হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়েরের পর কলকাতা হাইকোর্ট এই মামলায় ইডিকে জুড়ে দেয়। তার প্রতিবাদে সুপ্রিম কোর্টে মামলা দায়ের করা হয়। আবার বিরোধীদের ১৭ জনও এই আয়-বহির্ভূত সম্পত্তি বৃদ্ধির মামলায় ছিলেন। সেই তালিকায় বিজেপির শুভেন্দু অধিকারী থেকে দিলীপ ঘোষ, সৌমিত্র খাঁ, লকেট চট্টোপাধ্যায়, অগ্নিমিত্রা পাল, শমীক ভট্টাচার্য ছাড়াও ছিলেন শিশির ও দিব্যেন্দু অধিকারী। ছিলেন সিপিএমের মহম্মত সেলিম, কংগ্রেসের আবদুল মান্নান-রা।
২০১৭ সালে এই আয় বহির্ভূত সম্পত্তি বৃদ্ধির মামলা দায়ের হয়। তাতে ইডিকে যুক্ত করার নির্দেশ দেন হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব। এই মামলায় তৃণমূলের নেতা-মন্ত্রীদের মধ্যে ছিলেন ফিরহাদ হাকিম, অরূপ রায়, জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক-সহ ১৯ জন। হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির কাছে তিন মন্ত্রী এই মামলায় ইডিকে যুক্ত করার নির্দেশ পুনর্বিবেচনার আর্জি রাখেন। তারপর সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থও হন।
সেই মামলায় প্রধান বিচারপতি ইউইউ ললিতের ডিভিশন বেঞ্চে শুনানির পর স্থগিতাদেশ দেন। ফলে ১৯ জন নেতা ও মন্ত্রী স্বস্তি পান এই নির্দেশে। তবে শুধু তণমূলের নেতা-মন্ত্রীরাই নন, বিরোধী দলের ১৭ জন নেতা-নেত্রীও স্বস্তি পেলেন এদিন। সুপ্রিম কোর্ট বিরোধী নেতা-নেত্রীদের আয়-বহির্ভূত সম্পত্তি বৃদ্ধি মামলাতেও স্থগিতাদের জারি করে। পরবর্তী শুনানির দিন পর্যন্ত হাইকোর্টে এই মামলায় স্থগিতাদেশ বজায় থাকবে।
সুপ্রি্ম কোর্টে চূড়ান্ত রায় না দেওয়া পর্যন্ত হাইকোর্টে এই মামলার শুনানি হবে না। সুপ্রিম কোর্ট এই মামলায় কী নির্দেশ দেন, তার উপরই নির্ভর করবে এই মামলার ভবিষ্যৎ। তৃণমূলের অভিযোগ, ছিল প্রতিহিংসা বশত এই মামলা দায়ের করা হয়েছিল। তবে এর পাল্টা বিরোধী নেতা-নেত্রীরাও আয়-বহির্ভূত সম্পত্তি বৃদ্ধিতে অভিযুক্ত বলে দাবি করেও মামলা হয়। সবপক্ষই আপাতত স্বস্তিতে।