সৌমিত্রর ডিভোর্স নোটিসের পর কোন ইস্যুতে বিজেপি নেতাদের ওপর ক্ষোভ সুজাতার! উগড়ে দিলেন রাগ
কয়েক সপ্তাহ কেটেছে সৌমিত্র খাঁ ডিভোর্স নোটিস পাঠিয়েছেন স্ত্রী সুজাতাকে। তার আগে রাজ্যে প্রবল রাজনৈতিক চমক দিয়ে বিজেপি সাংসদ সৌমিত্রর স্ত্রী সুজাতা যোগ দেন তৃণমূলে। এরপর থেকেই তাঁদের দাম্পত্য রাজনীতির আঙিনায় আলোচনায় আসে। এবার সেই প্রসঙ্গে মুখ খুলে তোপ দাগেন সুজাতাও।

'আমার পরিবার বরাবর তৃণমূলের সমর্থক'
সুজাতা খাঁ এবার খোদ সৌমিত্রর এলাকা বিষ্ণুপুরে গিয়ে তৃণমূলের প্রচারে নামেন। আর স্বামীর গড়েই কার্যত স্বামীর বিরুদ্ধে তোপ দাগতে ছাড়লেন না সুজাতা। এককালে যে তৃণমূলের বিরুদ্ধে লোকসভা নির্বাচনের সময় তিনি ক্ষোভ উগড়ে তাঁর পরিবারের প্রতি অত্যাচারের অভিযোগ আনেন, সেই সুজাতা সভায় বলেন, 'আমার পরিবার বরাবর তৃণমূলের সমর্থক। আম্ও তাই ছিলাম। আমার স্বামীও তাই করতেন। তিনি তৃণমূল ছাড়তেই আমি স্ত্রীর কর্তব্য পালন করি।'

বিজেপিতে 'এস সি'মহিলাদের জায়গা নেই!
সুজাতা বলেন, 'দেহের রক্তবিন্দু দিয়ে পরিশ্রম করেও দেখলাম ওই দলে 'এস সি' মহিলাদের সম্মান নেই। আর সেই কারণেই যে তিনি বিজেপি ছেড়েছেন তা জানাতো ভোলেননি সুজাতা। প্রসঙ্গত, তৃণমূলে যোগ দিয়েও তিনি একই কথা জানান।

ডিভোর্স নোটিসের পর কেন ক্ষোভ বিজেপি নেতাদের উপর!
সুজাতা এরপরই একহাত নিতে থাকেন বিজেপি নেতাদের । তিনি বলেন, বিজেপি আসলে সতীলক্ষ্মীদের ঘর ভাঙে আর অসতী নারীদের পুজো করে। আর সেই কারণেই সুজাতা তৃণমূলে যোগ দেন বলে জানান। এরপরই তিনি বিজেপি নেতাদের তোপ দেগে বলেন, 'আমার স্বামী আমাকে যখন ডিভোর্স দেওয়ার কথা বলল, তখন তার প্রতিবাদ কোনও বিজেপির নেতা করেনি। কোনও বিজেপি নেতাকে বলতে শুলনাম না রাজনীতি আর সংসার আলাদা বিষয়। রাজনীতিটা ঘরের বাইরে। সংসারটা ঘরের ভিতর। '

বৈশাখীকে খোঁচা সুজাতার!
এদিকে, বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম না করে সুজাতা বলেন, ' সারদা নারদা ইডির ভয়ে দলত্যাগ করা নেতাদের বান্ধবী যারা অন্যের ঘর ভাঙার খেলায় থাকে, তাদের নেত্রী করা হবে। এটাই বিজেপি র সংস্কৃতি। সেখানে বাকি মহিলাদের সম্মান নেই। তার নাম আমার মুখে আনতে ঘেন্না করে। যখন কলকাতার পর্যবেক্ষক করা হল ,তখনই বুঝলাম দলটা অসতী নারীদের পুজো করে। '
সুপ্রিম কোর্টে জয় কৃষকদের, কৃষি আইনে স্থগিতাদেশ শীর্ষ আদালতের, সমাধানে কমিটি গঠনের নির্দেশ