‘তাঁর হাত ধরেই কংগ্রেসে, আজ তাঁর মরদেহে প্রথম মাল্যদান’, সন্তপ্ত সাংসদ
প্রিয়রঞ্জন দাশমুন্সির মৃত্যুতে বাংলা হারাল একজন পরিপূর্ণ রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বকে। তাঁর মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের। মরদেহে প্রথম মাল্যদান করে রাজনৈতিক গুরুকে শ্রদ্ধা জানালেন সাংসদ।
'কী অদ্ভুত সমাপতন। তাঁর হাত ধরেই একদিন জাতীয় কংগ্রেসে যুক্ত হয়েছিলাম। আর আজ তাঁর মরদেহেই প্রথম মাল্যদান করতে হচ্ছে আমাকে।' শোকবিহ্বল হয়ে তৃণমূলের লোকসভার দলনেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় এক নিঃশ্বাসে বলে চললেন কথাগুলো। কেন্দ্রের সংসদীয় কমিটির মিটিংয়ে থাকালীনই সুদীপ শুনেছিলেন প্রিয়রঞ্জনের মৃত্যুসংবাদ। সঙ্গে সঙ্গে তিনি চলে আসেন হাসপাতালে।
তিনিই প্রথম প্রিয়রঞ্জনের মরদেহে মাল্যদান করেন। হাসপাতালে রাজনৈতিক 'গুরু'র মরদেহে শ্রদ্ধা নিবেদন করে সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, এত বড় মাপের রাজনৈতিক নেতা খুবই কমই রয়েছেন পশ্চিমবঙ্গে। তাঁর মতো বক্তা, বাগ্মী নেতা এককথায় বিরল। বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী ছিলেন তিনি। দেশব্যাপী তাঁর পরিচিতি ছিল। ছিলেন সুদক্ষ সংগঠক।
আজ মনে পড়ছে বেশি করে, তিনিই আমাকে রাজ্য যুব কংগ্রেসের সভাপতি পদে বসিয়েছিলেন। মুখ্য সচেতক ছিলেন, কেন্দ্রীয়মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। খুব অল্প বয়সেই সর্বভারতীয় যুব কংগ্রেসের সভাপতি হয়েছিলেন। তাঁর মতো নেতাকে হারালো বাংলা, হারালো দেশ। জাতীয় রাজনীতিতে বড় ক্ষতি হয়ে গেল প্রিয়দার মৃত্যুতে।
যখন কেন্দ্রের স্বাস্থ্যমন্ত্রী ছিলাম, তাঁকে হাসপাতালে দেখতে এসেছিলাম। অপলক দৃষ্টিতে তাকিয়ে ছিলেন। আমি নিষ্পলক ছিলাম। যদি কখনও একটিবারও তাঁর পক্ষ থেকে তিনি চিনতে পারেন। তাঁর নেতৃত্বে দীর্ঘদিন রাজনীতি করেছি। মানুষ জানে আমার কাছে তিনি কত বড় ছিলেন। আজ তিনি নেই। তাঁর মৃত্যুতে গোটা দেশে যারা সবথেকে বেশি কষ্ট পাবে, আমি তাঁদের মধ্যে একজন।
[আরও পড়ুন:প্রয়াত প্রিয়, স্যোশাল মিডিয়ায় শোকপ্রকাশে নিরুত্তাপ তাবড় কংগ্রেস নেতারা]