খামতিতেই হার, ভবানীপুরে বার্তা মমতাকে! আলাদা উত্তরবঙ্গের দাবি নিয়ে স্পষ্ট কথা সুকান্ত মজুমদারের
সমগ্র পশ্চিমবঙ্গকে তিনি একসঙ্গে দেখতে চান। যেখানে উত্তরবঙ্গ কিংবা দক্ষিণবঙ্গের মধ্যে কোনও ভেদাভেদ নেই। আলাদা করে উত্তরবঙ্গ এবং দক্ষিণবঙ্গ বলে কিছু হয় না। রাজ্য সভাপতির (state president) দায়িত্ব নেওয়ার পরে প্রথমবার কল
সমগ্র পশ্চিমবঙ্গকে তিনি একসঙ্গে দেখতে চান। যেখানে উত্তরবঙ্গ কিংবা দক্ষিণবঙ্গের মধ্যে কোনও ভেদাভেদ নেই। আলাদা করে উত্তরবঙ্গ এবং দক্ষিণবঙ্গ বলে কিছু হয় না। রাজ্য সভাপতির (state president) দায়িত্ব নেওয়ার পরে প্রথমবার কলকাতায় পা রেখে এদিন সকালে এমনটাই মন্তব্য করেছেন বালুরঘাটের বিজেপি (bjp) সাংসদ সুকান্ত মজুমদার (sukanta mazumder)। পাশাপাশি তিনি বলেছেন, খামতি ছিল বলেই হার হয়েছে বিধানসভা নির্বাচনে।
মমতাকে হারানোর চেষ্টা করবে দল
ভবানীপুরের উপনির্বাচনে পুরো দমে প্রচার চলছে। তারই মধ্যে বিজেপির রাজ্য সভাপতি বদল করে তাঁকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এব্যাপারে এদিন কলকাতায় পৌঁছে সুকান্ত মজুমদার বলেছেন, দলের নেতারা, শুভেন্দু অধিকারী, দিলীপ ঘোষ আগে থেকেই ভোট নিয়ে লড়াই করছেন। তিনিও তাঁদের সঙ্গে যুক্ত হয়ে প্রচার করবেন। তাতে দলের শক্তি আরও বাড়বে বলেই মনে করেন সুকান্ত মজুমদার। তিনি বলেছেন, মাননীয়াকে আরও একবার হারের স্বাদ দিতে তাঁরা সবাই মিলে চেষ্টা করবেন।
হারের কারণ বিশ্লেষণ
এদিন তিনি কলকাতায় নেমে সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন, বিধানসভা নির্বাচনে হারের কারণ বিশ্লেষণ করে দেখা হবে। প্রস্তুতিতে খামতি থাকা এবং তৃণমূলের চতুরতা না ধরতে পারা হারের অন্যতম কারণ বলে উল্লেখ করেছেন সুকান্ত মজুমদার। কী কারণে তাঁর দলের নেতারা দল পরিবর্তন করছেন, কা দেখা হবে বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি।
প্রসঙ্গ বাবুল সুপ্রিয়
স্বাভাবিক ভাবেই এদিন বাবুল সুপ্রি প্রসঙ্গও এসে পড়েছে। এব্যাপারে সুকান্ত মজুমদার বলেছেন, বাবুল সুপ্রিয় দলে থাকলে ভাল হতো। বাবুল সুপ্রিয় তাঁদের নেতা ছিলেন বলেও জানিয়েছেন বিজেপির নতুন রাজ্য সভাপতি। কেন তৃণমূলে গিয়েছেন, তা তিনি নিজেই বলতে পারবেন বলে জানিয়েছেন বালুরঘাটের সাংসদ। বিজেপির রাজ্য সভাপতি বলেছেন, বাবুল সুপ্রিয় থাকলে আরও লড়াই একসঙ্গে লড়তে পারতেন। সুরেলা লড়াই হতো বলেও মন্তব্য করেছেন সুকান্ত মজুমদার।
তৃণমূলকে নিশানা
এদিন সুকান্ত মজুমদার স্বাভাবিক ভাবেই তৃণমূলকে নিশানা করেছেন। তিনি বলেছেন, বাংলায় তালিবানি শাসন চলেছে। তাঁর অভিযোগ, গত কয়েকবছর ধরেই এটা চলছে। তা আটকানোই বিজেপির কাছে চ্যালেঞ্জের বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।
উত্তর-দক্ষিণে ভেদ নেই
বিধানসভা নির্বাচনের পর থেকে আলিপুরদুয়ার এবং কোচবিহারের দুই সাংসদ তথা বর্তমানে মন্ত্রী জন বার্লা এবং নিশীথ প্রামাণিক উত্তরবঙ্গকে আলাদা রাজ্য কিংবা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল করার দাবি করেছিলেন। সেখানে প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষকে সেরকমভাবে এই দাবির বিরোধিতা করতে দেখা যায়নি। এদিন কলকাতায় নেমে সুকান্ত মজুমদার বলেছেন, রাজ্যে উত্তরবঙ্গ এবং দক্ষিণবঙ্গ নিয়ে কোনও বিভেদ রয়েছে বলে মনে করেন না তিনি। আলাদা করে উত্তরবঙ্গ এবং দক্ষিণবঙ্গ বলেও কিছু হয় না বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি। এই বঙ্গ তৈরির পিছনে শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের অবদান রয়েছে বলেই দাবি করেছেন তিনি।
Daily News Update: কানাডায় তৃতীয়বারের জন্য ক্ষমতায় ট্রুডো, রাজ্যে হিংসায় এফআইআর-এর সংখ্যা বেড়ে ৩৮