মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সবুজ সঙ্কেত পেতেই খড়দায় জনসংযোগ শুরু, জেতার ব্যাপারে আশাবাদী শোভনদেব
ভবানীপুর বিধাসভা আসনের বিধায়ক পদ ছেড়েছেন শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। গত কয়েকদিন আগেই তিনি বিধানসভায় গিয়ে অধ্যক্ষের কাছে গিয়ে পদত্যাগ করেন তিনি। তৃণমূল সূত্রে খবর, এই আসন থেকে উপনির্বাচনে লড়তে পারেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপা
ভবানীপুর বিধাসভা আসনের বিধায়ক পদ ছেড়েছেন শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। গত কয়েকদিন আগেই তিনি বিধানসভায় গিয়ে অধ্যক্ষের কাছে গিয়ে পদত্যাগ করেন তিনি। তৃণমূল সূত্রে খবর, এই আসন থেকে উপনির্বাচনে লড়তে পারেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নন্দীগ্রামে শুভেন্দু অধিকারীর কাছে হারতে হয়েছে তাঁকে।
কিন্তু এরপরেও রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে কাজ করছেন তিনি। নিয়ম অনুযায়ী ছয়মাসের মধ্যে বিধায়ক হিসাবে জিতে আসতে হবে তাঁকে। জানা যাচ্ছে, তাঁর পুরানো কেন্দ্র ভবানীপুর থেকেই ফের লড়াই করবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
খড়দহে জনসংযোগ শুরু!
খড়দহ প্রার্থী হচ্ছেন। কার্যত সবুজ সঙ্কেত পেয়েছেন খোদ তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছ থেকে। আর সেই সবুজ সঙ্কেত পেতেই জনসংযোগে নেমে পড়লেণ শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। আজ মঙ্গলবার খড়দহে আসেন তিনি। আর সেখানে এসেই প্রথমে প্রয়াত তৃণমূল বিধায়ক কাজল সিনহার বাড়িতে যান শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। কথা বলেণ তাঁর পরিবারের সঙ্গে। উল্লেখ্য, এবার খড়দা কেন্দ্র থেকে প্রার্থী করা হয় কাজল সিনহাকে। কিন্তু করোনাতে প্রয়াত হন তিনি। কিন্তু ভোটের ফলাফলে বিপুল ভোটে জয় পান কাজল সিনহা। কিন্তু জিতলেও আসনটি ফাঁকা।
এখানেও জিততে কোনও অসুবিধা হবে না
খড়দহে মন্দিরে পুজো দেন শোভন দেব। মন্দিরে পুজো দিয়েই চলে যায় পার্টি অফিসে। সেখানকার তৃণমূল নেতৃত্বের সঙ্গে আলাপ সারেন। এরপর দীর্ঘক্ষণ তাঁদের সঙ্গেও বৈঠকও শোভনবাবু করেন বলে জানা যাচ্ছে। মূলত নির্বাচনের স্ট্যাটেজি নিয়েই আলোচনা হয় তৃণমূল নেতৃত্বের সঙ্গে। পরে এক সংবাদমাধ্যমকে রাজ্যের মন্ত্রী বলেন, আমি ১৯৬২ সাল থেকে রাজনীতি করছি। আমি তৃণমূলের প্রথম বিধায়ক। আশা করি, আমার এখানেও জিততে কোনও অসুবিধা হবে না। আর যেখানে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে তো জেতা নিয়ে কোনও বিভ্রান্তি থাকাই উচিৎ নয়। এমনটাই জানিয়েছেন শোভন দেব চট্টোপাধ্যায়।
ভবানীপুরে ফের মমতা
নন্দীগ্রামে হেরেও মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আইন অনুযায়ী ৬ মাসের মধ্যে তাঁকে বাংলার কোনও একটি বিধানসভা কেন্দ্র থেকে জিতে আসতে হবে। তাই শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়ের বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফার খবর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কোন কেন্দ্রে প্রার্থী হবেন তার জল্পনা বাড়িয়ে দিয়েছে। কারণ ভবানীপুর কেন্দ্র থেকেই বারবর জিতে এসেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।এই কেন্দ্রেরই ভোটার তিনি। তাই আবারও এই কেন্দ্র থেকেই প্রার্থী হতে িজতে আসতে চান। এই নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে।
জল্পনা থেকে গেল অমিত মিত্রকে ঘিরে
অন্যদিকে শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় খড়দা বিধানসভা কেন্দ্রের প্রার্থী হওয়ায় জল্পনা থেকে গেল অমিত মিত্রকে ঘিরে। শারীরিক অসুস্থতার কারণেই এবারের বিধানসভা ভোটে খড়দা থেকে নির্বাচনী লড়াইয়ে নামেননি তিনি। তাঁর পরিবর্তেই ভোটের লড়েছিলেন করোনার প্রয়াত কাজল সিনহা। কিন্তু ভোটে না লড়লেও অমিত মিত্রকেই ফের রাজ্যের অর্থমন্ত্রীর পদে ফিরিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। নিয়ম অনুযায়ী, বিধায়ক না হলেও ছয় মাস মন্ত্রী পদে থাকার ক্ষেত্রে কোনও বাধা নেই। এরমধ্যে অন্য কোনও আসন থেকে জিতে এলেই হবে। এই জায়গাতেই জল্পনা অমিত মিত্রকে ঘিরে। আগামীদিনে সেই ধন্দ কীভাবে এগোয়, নজর থাকবে সেদিকেই। তবে সূত্রে খবর, বিধান পরিষদে সম্ভবত জায়গা দেওয়া হতে পারে অমিত মিত্রকে।