বৈশাখীর সিঁথিতে শোভনের সিঁদুরদানও ভাইরাল, সোশ্যাল মিডিয়ায় যে কমেন্ট নিয়ে জলঘোলা
বৈশাখীর সিঁথিতে শোভনের সিঁদুরদানও ভাইরাল, সোশ্যাল মিডিয়ায় যে কমেন্ট নিয়ে জলঘোলা
বিজয়া দশমীর দিন সিঁদুর খেলার ফাঁকে বৈশাখীর সিঁথি রাঙিয়ে দিয়েছেন শোভন চট্টোপাধ্যায়। তাঁদের ১৪ বছরের 'বন্ধুত্বে'র সম্পর্কের ইতি হয়েছে সিঁদুর দানে। আর সেই ছবি মুহূর্তে ভাইরাল হয়ে গিয়েছে। সাম্প্রতিককালে শোভন-বৈশাখীর যাবতীয় ক্রিয়াকলাপ সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্রেন্ড হচ্ছে। সেইসঙ্গে কমেন্টের বন্যায় ট্রোলডও হচ্ছেন তাঁরা। সেসব থোড়াই কেয়ার। সকল বিতর্ক হেলায় তুচ্ছ করে প্রেমের জোয়ারে নিজেদের ভাসিয়ে দিয়েছেন তাঁরা।
শোভনের সিঁদুর দানের ছবি নিয়েও কমেন্টের বন্যা
শোভন-বৈশাখীর ব্যালকনি-ড্যান্স থেকে শুরু করে ভিক্টোরিয়া-পরিভ্রমণ এবং ঘোড়ার গাড়িতে চড়া- সবকিছুই ভাইরাল হয়েছে। সেইসঙ্গে উভয়েই ট্রোলড হয়েছেন। এবার বিজয়া দশমীতে বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ের সিঁথিতে শোভনের সিঁদুর দানের ছবি নিয়েও কমেন্টের বন্যা হচ্ছে। আর সেই কমেন্ট-বন্যায় ভেসে এল দুই বিজেপি নেতার দুটি কথা। তা নিয়েও কম চর্চা হল না।
দাদা-বৌদির ‘বিয়ে’ হাসির খোরাক নেটিজেনদের
শোভন-বৈশাখীর সিঁদুর দানের সেই ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘোরাঘুরি করছে। ফেসবুক ভাইরাল সেই ছবিতে কমেন্ট করেছেন বিজেপির দুই নেতা সজল ঘোষ ও তরুণজ্যোতি তিওয়ারি। দুই নেতার দুই কমেন্টে একটাই সাধারণ কথা, তা হল এবার আমরা কার্তিক ফেলতে যাব কিন্তু। দাদা-বৌদির বিয়ের পর এহেন মন্তব্য বেশ হাসির খোরাক দিচ্ছে নেটিজেনদের।
কার্তিক ফেলতে যাব কিন্তু দাদা! ইঙ্গিত স্পষ্ট
বিজেপি নেতা সজল ঘোষ লেখেন- নবদম্পতিকে অনেক অনেক শুভেচ্ছা। কিন্তা তাই বলে বিসর্জনের দিন? সেইসঙ্গে তিনি শোভন চট্টোপাধ্যায়কে ইঙ্গিত করে লিখেছেন- কার্তিক ফেলতে যাব কিন্তু দাদা! আর তরুণজ্যোতি তিওয়ারি লিখেছেন- দাদা-বৌদির আজ বিয়ে হল। বৈশাখী সন্ধ্যায় হয়নি তো কী হয়েছে? শরৎ-সন্ধ্যায় তো হল! যাই হোক কার্তিক পুজো কবে সেই খোঁজ নিয়ে রাখুন।
সামাজিক প্রেক্ষাপটে সমস্ত জলঘোলার অবসান হবে?
সোশ্যাল মিডিয়ায় এমন প্রশ্নেরও অবতারণা হল যে, এতদিন ভিক্টোরিয়া, প্রিন্সেপ ঘাটে তাদের ঘোরাঘুরির ছবি ভাইরাল হয়েছে কিংবা ভাইরাল হয়েছে বাড়ির ব্যালকনিতে তাঁদের নাচ। তবে দশমীর সন্ধ্যায় যে ছবির অবতারণা হল সোশ্যাল মিডিয়া সৌজন্যে, তাতে কি সামাজিক প্রেক্ষাপটে সমস্ত জলঘোলার অবসান হবে?
বৈশাখীই প্রথম সিঁদুর দানের বিষয়টি স্বীকার করেন
বৈশাখী বলেন, আমাদের সম্পর্কে কোনওদিনই কোনও স্বীকৃতির অভাব ছিল না। সততার অভাব ছিল না। আমরা দু-জনে দুটি প্রাণহীন সম্পর্ক থেকে বের হয়ে যেখানে আনন্দ ও শান্তি রয়েছে, সেই আশ্রয় খুঁজে নিয়েছি। বৈশাখীই প্রথম এই সিঁদুর দানের বিষয়টি স্বীকার করেন। এবং তাঁদের ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় দেন।
বিজয়া দশমী স্মরণীয় করে রাখলেন শোভন-বৈশাখী
সিঁদুর খেলার ওই ছবি প্রকাশের পর বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, অনেকে অনেক কথাই বলেছেন। অনেকে ভেবেছেন শোভন আমাকে স্বীকৃতি দেবে না। কিন্তু আজ সিঁথিতে সিঁদুর পরিয়ে স্বীকৃতি দিল শোভন। আমার কাছে দুর্গাপুজোর দুটো দিন খুব প্রিয়। সেই দুটি দিন হল- মহা অষ্টমী আর বিজয় দশমী। এবার বিজয়া দশমী স্মরণীয় হয়ে রইল।