দুর্গাপুজোর আগেই অকালবোধন, উৎসবে মাতোয়ারা গোটা সিঙ্গুরবাসী
সিঙ্গুর, ১৪ সেপ্টেম্বর : পুজো আসতে এখনও খানিক বাকি। তবে দুর্গোৎসবের তিন সপ্তাহ আগেই সিঙ্গুর জুড়ে মহা উৎসবের আমেজ। সৌজন্যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। তিনিই আজ সিঙ্গুর উৎসবে প্রধান মুখ। ১০ বছরের ঐতিহাসিক আন্দোলনের পর জমি ফেরত পাবেন সিঙ্গুরের কৃষকরা। তাই সেজে উঠেছে বাংলার জমি আন্দোলনের আঁতুড়ঘর।
২০১১ সালে সরকারে এসেই প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। পাঁচ বছরের মধ্যেই সেই প্রতিশ্রুতি পালন করছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সিঙ্গুর সেই আনন্দেই মাতোয়ারা। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পরই তৎপরতা শুরু হয়ে যায়। আজই সেই বহু প্রতীক্ষিত দিন। সকাল থেকেই তাই সভামঞ্চের সামনে ভিড় জমতে শুরু করেছে। শুরু হয়ে গিয়েছে আবির খেলা। উন্মাদনা একেবারে তুঙ্গে উঠেছে।

সিঙ্গুরে মঞ্চ বাঁধার কাজ শেষ হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর জন্য তৈরি হয়েছে স্বাগত তোরণ। দশ বছর আগে যে জায়গায় ধর্নায় বসেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, সেই জায়গাতেই বাঁধা হয়েছে মঞ্চ। ভিড় সামলাতে নাভিশ্বাস উঠেছে প্রশাসনের। লক্ষাধিক মানুষের জমায়েত হবে সিঙ্গুরে। সভামঞ্চের জন্য সানাপাড়া থেকে সিংহের ভেড়ি পর্যন্ত বন্ধ রাখা হয়েছে দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়ের বর্ধমানমুখী রাস্তা। ওই অংশে কাল গাড়ি চলবে কলকাতামুখী লেন দিয়ে। গাড়ি ঘুরিয়ে দেওয়া হবে দিল্লি রোড দিয়েও। তা সত্ত্বেও সকাল থেকেই তীব্র যানজট সামলাতে হিমশিম অবস্থা ট্রাফিকের।
নিরাপত্তার স্বার্থে চার হাজার বর্গফুটের এই মঞ্চে থাকছে ১৬টি সিসিটিভি ক্যামেরা। ৭০টি আলো। ১৩টি বক্স। বসানো হয়েছে ৭টি বিদ্যুতের খুঁটি। ৩৫০টি মেটাল আলো এবং ৪০০টি চোঙ। বহু জায়গায় বসেছে জায়ান্ট স্ক্রিনও।
১২ সপ্তাহের মধ্যে সিঙ্গুরের জমি কৃষকদের ফিরিয়ে দিতে নির্দেশ জারি করেছিল শীর্ষ আদালত। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার সেই প্রক্রিয়া শুরু করে দিয়েছে দু'সপ্তাহেই। ১৪ সেপ্টেম্বর সিঙ্গুর উৎসবের ডাক দিয়েছিলেন। সেই দিনেই জমির নথি তুলে দেওয়া হবে কৃষকদের হাতে। ৯ হাজার ১১৭ জন কৃষককে পরচা সহ জমির ফেরতের সংশ্লিষ্ট কাগজপত্র দেওয়া হবে। ৮০০ জন কৃষককে ক্ষতিপূরণও দেওয়া হবে।