গুরুংকে পালানোর সুযোগ করে দেয় সিকিম পুলিশ, সংঘাত তীব্র সিকিম-বাংলার
সিকিম পুলিশকে জানিয়েই রাজ্য পুলিশের তরফে নামচির রিসর্টে অভিযান চালানো হয়েছিল। অথচ অভিযানের ঠিক আগে প্রথম বাধা আসে পুলিশের তরফে।
মোর্চা প্রধান বিমল গুরুংকে পালানোর রাস্তা করে দিয়েছিল সিকিম পুলিশই। তাদের বাধাদানের জন্যই এবারও রাজ্য পুলিশ 'রাষ্ট্রদ্রোহী' গুরুংকে জালে পুরতে বর্থ হল। হাতে এসেও ফসকে গেল গুরুং। রাজ্য পুলিশের অভিযোগ, সিকিমের নামচিতে গা ঢাকা দিয়ে থাকা বিমল গুরুংকে ধরতে গেলে প্রথম বাধা দেয় সিকিম পুলিশই। তারপর মোর্চা কর্মীরা পশ্চিমবঙ্গ পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। সেই ফাঁকেই পালিয়ে যায় বিমল গুরুং-রোশন গিরিরা।
অভিযোগ, সিকিম পুলিশকে জানিয়েই রাজ্য পুলিশের তরফে নামচির রিসর্টে অভিযান চালানো হয়েছিল। অথচ অভিযানের ঠিক আগে প্রথম বাধা আসে পুলিশের তরফে। পশ্চিমবঙ্গের পুলিশ ও বিমল গুরুংয়ের মাঝে বাধার প্রাচীর হয়ে দাঁড়ায় সিকিম পুলিশ। এ জন্য প্রতিবেশী দুই রাজ্যের পুলিশের মধ্যে ধস্তাধস্তি পর্যন্ত বেধে যায়। ফলে পালানোর মতো যথেষ্ট সময় পেয়ে যান গুরুং-সহ মোর্চা নেতারা।
পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের তরফে আরও অভিযোগ জানানো হয়েছে, বিমল গুরুংকে ধরতে সিকিম পুলিশের সাহায্যও চাওয়া হয়েছিল। কিন্তু সাহায্য তো দূর অস্ত, সিকিম পুলিশ তাদের কাছে বাধা হয়ে দাঁড়ায়। সিকিম পুলিশকে গাড়ির নম্বর পর্যন্ত জানিয়েছিল পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ, তবু কোনও সহযোগিতা আসেনি সিকিমের পক্ষ থেকে।
এ প্রসঙ্গে উল্লেখ্য আগেই গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার গোর্খাল্যান্ড দাবিকে সমর্থন জানিয়েছিলেন সিকিমের মুখ্যমন্ত্রী পবন চামলিং। তিনি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংকে চিঠিও লিখেছিলেন। ফলে মোর্চা সুপ্রিমো বিমল গুরুংকে আশ্রয় দেওয়াটাই সিকিমের পক্ষে স্বাভাবিক। সেটাই ঘটেছে।
সিকিম পুলিশকেও তেমন নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু ইউএপিএ ধারায় অভিযুক্তকে এভাবে প্রশ্রয় দেওয়া বাংলার মুখ্যমন্ত্রীও মানবেন না। ফলে সিকিমের সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গের সংঘাত আরও জোরদার হবে বলেই মনে করা হচ্ছে।