পুরসভা ভোট অন্তত এক মাস পিছিয়ে দেওয়া হোক, ঊর্ধ্বমুখী করোনায় দাবি বিজেপির
পুরসভা ভোট অন্তত এক মাস পিছিয়ে দেওয়ার হোক, ঊর্ধ্বমুখী করোনায় দাবি বিজেপির
করোনার ঊর্ধ্বমুখী সংক্রমণে আসন্ন পুরভোট নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করল বিজেপি। এই পরিস্থিতিতে রাজ্যের পুরভোট পিছিয়ে দেওয়ার দাবি তুললেন বিজেপি মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য। তিনি বলেন, রাজ্যের শাসক-বিরোধী বহু নেতা করোনা আক্রান্ত। মুখ্যমন্ত্রী যখন বলছেন, আগামী সাতদিন বাড়ি থেকে বেরোবেন না, সামনের ১৫ দিন খুব গুরুত্বপূর্ণ, তখন অন্তত এক মাস পিছিয়ে দেওয়া হোক ভোট।
নতুন বছরের শুরু থেকেই করোনা সংক্রমণ লাফিয় লাফিয়ে বাড়ছে। দেশ তথা বাংলায় প্রবেশ করেছে তৃতীয় ঢেউ। ওমিক্রনের হাত ধরে তৃতীয় ঢেউ প্রবেশ করতেই সংক্রমণ শিখবরে পৌঁছে গিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে বাংলায় ২২ জানুয়ারি চার পুরনিগমের ভোট। বিজেপি দাবি করল, এই মুহূর্তে ভোট স্থগিত রাখা হোক। কেননা সর্বাগ্রে মানুষের জীবন।
বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্যের দাবি, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যখন বলছেন, আগামী ১৫ দিন রাজ্যের পক্ষে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। অন্তত সাতদিন কেউ বাড়ি থেকে বেরোবেন না, তখন কেন রাজ্যে পুরভোট করানো হচ্ছে। অবিলম্বে ভোটগ্রহণ বন্ধ রাখা হোক ২২ জানুয়ারি। অন্তত এক মাস পিছিয়ে দেওয়া হোক ভোট। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রিত হলে ভোট হবে।
শমীক ভট্টাচার্য আরও বলেন, রাজ্যের বহু নেতা করোনা আক্রান্ত। শাসক-বিরোধী সব দলের নেতারা আক্রান্ত হয়েছেন। শাসক দলের নেতারা তো ফলাও করে টুইটারে আপডেট দি্চ্ছেন নিজেদের করোনা সংক্রমণ নিয়ে। আর রাতেই তারা বিনা মাস্কে প্রমোদ অনুষ্ঠানে সঙ্গীত পরিবেশন করছেন। এই দ্বিচারিতাও বন্ধ হওয়া দরকার।
ত্রিপুরায় জনতার দরবারে যাবে তৃণমূল, ২০২৩-এর লক্ষ্যে হাতিয়ার স্থানীয় পরিষেবা
তারপর রাজ্যে কোনও জায়গায় ভোট হওয়া মানে অন্য এলাকা থেকেও হাজির হবেন নেতা-কর্মীরা। এটাই এখন ট্রেন্ড হয়ে উঠেছে শাসকদলের নির্বাচনের। বিধাননগর ও চন্দননগরর পুর নির্বাচনে যেমন শিলিগুড়ি থেকে রাজ্যের শাসকদলের নেতাকর্মীরা আসবেন, শিলিগুড়ির নির্বাচনেও যাবেন বিধাননগরের নেতা-কর্মীরা। তারপর রাজ্যের পুলিশের একটা বড় অংশ সংক্রমিত। তাই এই অবস্থায় ভোট স্থগিত রাখাই শ্রেয়।
এদিন গঙ্গাসাগর মেলা নিয়েও মুখ খোলেন বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য। তিনি বলেন, গঙ্গাসাগর মেলা নিয়েও সরকরা দ্বিচারিতা করছে। একদিকে মুখ্যমন্ত্রী বলছেন, আগামী সাতদিন ভয়ঙ্কর কেউ বাড়ি থেকে বেরোবেন না, আবার বলছেন গঙ্গাসাগরে ৩০ হাজার মানুষ ইতিমধ্যেই হাজির হয়েছেন। সেখানে করোনাবিধি মেনে মেলার প্রস্তুতি এগিয়ে চলছে। তিনি গঙ্গাসাগর মেলা বন্ধ রাখারও আবেদন করেন এদিন। কিন্তু রাজ্যের সরকারের ইচ্ছা নেই ভোট বা গঙ্গাসাগর মেলা স্থগিত রাখার। বরং প্রত্যক্ষ মদত দিচ্ছেন তাঁরা।
এই পরিস্থিতিতে তৃণমূল কটাক্ষ করেছে, হারবে বলে ভোট পিছোতে চাইছে বিজেপি। আগে পাঁচ রাজ্যে ভোট পিছনোর কথা বলুক বিজেপি।