সূচকাণ্ডে ক্ষণে ক্ষণে বয়ান বদল, মঙ্গলার প্রেমিকের গল্প ফাঁদল সনাতন
উত্তরপ্রদেশের পিপড়িতে গ্রেফতার হওয়ার পর থেকেই সূচ ফুটিয়ে যৌন নির্যাতন ও শিশু খুনে ধৃত সনাতন বয়ান বদল করেই চলেছে। এবার নতুন গল্প ফাঁদল মঙ্গলার প্রেমিককে নিয়ে
ক্ষণে ক্ষণে বদলে যাচ্ছে পুরুলিয়া সূচকাণ্ডে ধৃত সনাতন ঠাকুরের বয়ান। আর তাতেই ধন্দে পড়েছেন তদন্তকারী পুলিশ অফিসাররা। একা সনাতন ঘোল খাইয়ে ছাড়ছেন পুলিশের বাঘা বাঘা অফিসারদের। পুলিশ কর্তারা যতই ঘুরিয়ে ফিরিয়ে প্রশ্ন করুন, সনাতন ধন্দ বাড়িয়েই চলেছে। এবার সনাতন পুলিশকে জানিয়ে দিল, শিশু-খুনে দায়ী মঙ্গলার এক প্রেমিক।
কে সেই প্রেমিক? এতদিন তো এ ব্যাপারে কিছুই শোনা যায়নি। কতটা সত্য সনাতনের এই বয়ান? নাকি তদন্ত বিপথে চালিত করতেই এমন নিত্যনতুন গল্প বলে চলেছে সনাতন? তা জানতেই এবার সনাতন ও মঙ্গলাকে মুখোমুখি বসিয়ে জেরার কথা ভাবছে পুলিশ। বুধবার পুরুলিয়া আদালতে সনাতনের পুত্রবধূর গোপন জবানবন্দিও নেওয়া হয়েছে।
পুলিশের কথায়, উত্তরপ্রদেশের পিপড়িতে গ্রেফতার হওয়ার পর থেকেই সূচ ফুটিয়ে যৌন নির্যাতন ও শিশু খুনে ধৃত সনাতন বয়ান বদল করেই চলেছে। প্রথমে সে সব দোষ চাপিয়ে দেয় তার পূত্রবধূর উপর। পুত্রবধূর কথাতেই সূচ ফুটিয়ে শিশু খুন বলে জানায় সনাতন।
নিমেষে বয়ান বদলে সে জানায়, শিশুটির বাবাই দায়ী খুনের জন্য। এ ব্যাপারে তার যুক্তি তাই যদি না হবে, তবে শিশুটির বাবা চুপ কেন? আবার দোষ চাপানো হয় শিশুটির মামার বাড়ির উপরও। যদিও পুলিশ খোঁজ নিয়ে জানতে পারে সনাতনের এইসব কথার কোনও ভিত্তি নেই।
সনাতনকে তাই নানাভাবে ঘুরিয়ে ফিরিয়ে প্রশ্ন করতে থাকেন তদন্তকারীরা। সেই প্রশ্নের উত্তরে এদিন আবার নতুন গল্প ফাঁদে সনাতন। বয়ান বদলে সে জানায়, শিশুটির মৃত্যুর জন্য দায়ী শিশুটির মা মঙ্গলার প্রেমিক। সনাতন পুলিশকে জানিয়েছে, বিয়ের আগে থেকেই মঙ্গলার সঙ্গে এক যুবকের সম্পর্ক ছিল। সে-ই ওই মঙ্গলার সংসার ভেঙেছে। আর শিশুটির মৃত্যুর জন্যও সে-ই দায়ী।
কিন্তু পুলিশ বুঝে উঠতে পারছে না সনাতনের কথার সত্যতা কতটা। কীভাবে এই ঘটনায় জড়িয়ে থাকতে পারে শিশুটির মায়ের প্রেমিক। তাই ধন্দ কাটাতে এবার মঙ্গলা ও সনাতনকে মুখোমুখি বসিয়ে জেরার পথে হাঁটতে চলেছে।