বিধাননগরে সব্যসাচী দত্তকে প্রার্থী করলেন মমতা, টিকিট পেলেন না তাপস! স্বচ্ছভাবমূর্তিদেরই টিকিট বললেন ববি
জল্পনা ছিলই। আর সেই জল্পনা সত্যি করেই বিজেপি 'ফেরত' সব্যসাচী দত্তকে প্রার্থী করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বৈঠকে বসেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সহ তৃণমূলের একাধিক শীর্ষ নেতৃত্ব
জল্পনা ছিলই। আর সেই জল্পনা সত্যি করেই বিজেপি 'ফেরত' সব্যসাচী দত্তকে প্রার্থী করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বৈঠকে বসেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সহ তৃণমূলের একাধিক শীর্ষ নেতৃত্বও। আর এই বৈঠকের পরেই চার পুরসভাতে ভোটের জন্যে প্রার্থী ঘোষণা করা হল তৃণমূলের তরফে।
সর্বসম্মত ভাবে আলোচনার মাধ্যমেই এই প্রার্থী ঘোষণা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ফিরহাদ হাকিম। তাঁর মতে, দলে যাদের স্বচ্ছভাবমূর্তি রয়েছে, সংগঠন মজবুত তাঁদেরকেই এবার প্রার্থী করা হয়েছে।
তবে বিধাননগর পুর নির্বাচনের যে প্রার্থী তালিকা সামনে এসেছে তাতে প্রত্যাশিত ভাবেই সব্যসাচী দত্তের নাম রয়েছে। তবে অপ্রত্যাশিত ভাবে বাদ গিয়েছে প্রাক্তন ডেপুটি মেয়র তাপস চট্টোপাধ্যায়ের নাম। বাদ গিয়েছে আরও বেশ কয়েকজন বিদায়ী কাউন্সিলারের নামও। তবে নাম রয়েছে কৃষ্ণা চক্রবর্তীর।
তবে কাউকেই মেয়র হিসাবে প্রজেক্ট করা হয়নি। ফলে সল্টলেকের মেয়র কে হবে তা নিয়ে একটা কৌতূহল অবশ্যই থাকবে রাজনৈতিকমহলে। শুধু তাই নয়,
নাম ঘোষণা হওয়ার পরেই সব্যসাচী দত্ত বলেন, , আমি অন্য দলে চলে গিয়েছিলাম। সেখান থেকে মমতাদি ফের আমাকে দলে নিয়েছেন। কাজ করার সুযোগ দিয়েছেন। ওনার সম্মান যাতে রাখতে পারি, সেটাই প্রার্থনা করব বলে জানিয়েছেন প্রাক্তন বিজেপি নেতা।
এখানেই শেষ নয়, তালিকাতে নাম প্রকাশের পরেই এক সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে বিধাননগরের প্রাক্তন মেয়র বলেন, বিধানসভা নির্বাচনে লড়েছিলাম। হেরেও গিয়েছিলাম। তবে আমি এখনও বলতে পারি, ব্যক্তি আমি হারিনি, মমতাদির ছবির বিরুদ্ধে লড়তে পারিনি। তাঁর এই মন্তব্য যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে। বিধাননগর পুরসভার ৩১ নম্বর ওয়ার্ড থেকেই লড়াই করছেন সব্যসাচী দত্ত।
অন্যদিকে গৌতম দেবের উপরে আস্থা রেখেই শিলিগুড়ি পুরসভা দখলে মরিয়া তৃণমূল শিবির। দীর্ঘদিন বামেদের দখলে ছিল এই পুরসভা। অশোক ভট্টাচার্য মেয়র হয়েছিলেন। যদিও দীর্ঘদিন ভীট না হওয়াতে অশোকবাবুকেই প্রশাসক হিসাবে নিয়োগ করা হয়।
যদিও পরবর্তীকালে প্রশাসক পদ থেকে অশোক সরতেই পুরসভার বড় দায়িত্ব যায় গৌতম দেবের কাঁধে। এবার বিধানসভা ভোটে বিজেপির কাছে হেরে যান তিনি। তবে তাঁর কাঁধে হাত রেখেই শিলিগুড়ি পুরসভা দখল চান মমতা।
অন্যদিকে এদিন আসানসোল এবং চন্দননগর পুরসভার জন্যেও প্রার্থী ঘোষণা করা হয়েছে। চারটি ওয়ার্ডের মধ্যে সবথেকে ওয়ার্ড বেশি সেখানেই। অনেকেই বলে বিজেপির শোক্ত ঘাঁটি আসানসোল। ফলে সেখানে তৃণমূলকে বেগ পেতে হবে বলেই মনে করা হচ্ছে। উল্লেখ্য, আজ প্রায় ঘন্টাখানেক বৈঠক করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর কালীঘাটের বাড়িতেই হয় এই বৈঠক। তবে এদিনের এই বৈঠকে তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে ছিলেন প্রশান্ত কিশোর।