সচেতনতার প্রচারের নামে রোগকে ডাকা হচ্ছে! করোনা থেকে সুস্থ হয়ে তৃণমূলের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অশোক

সচেতনতার প্রচারের নামে রোগকে ডেকে আনা হচ্ছে! করোনা থেকে সুস্থ হয়ে বিস্ফোরক অশোক

রাজ্যের মন্ত্রী ও প্রশাসনিক কর্তারা করোনা সচেতনতার প্রচারের নামে রোগকে ডেকে আনছেন। এমনই অভিযোগে সুর চড়ালেন শিলিগুড়ি পুরনিগমের প্রশাসক অশোক ভট্টাচার্য। এই মুহুর্তে তিনি বাড়িতে হোম কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন। আপাতত তিনি বাড়িতে থেকেই কাজ করবেন বলে জানিয়েছেন তিনি।

সম্বর্ধনার নামে খাওয়া দাওয়া, অনুষ্ঠান

দিন দুয়েক আগে শিলিগুড়িতে করোনা নিয়ে সচেতনতা প্রচারের আয়োজন করা হয়েছিল। সঙ্গে ছিল কোভিড ওয়ারিয়র্সদের সম্বর্ধনা। সেই অনুষ্ঠানের শেষে খাওয়া দাওয়ার আসরও ছিল। অনুষ্ঠানের আয়োজনে ছিলেন শাসকদলের নেতা, মন্ত্রীরা। এইঅ অনুষ্ঠানে কী ভাবে সরকারি আধিকারিকরা উপস্থিত থাকলেন, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অশোক ভট্টাচার্য।

অনুষ্ঠানের অনুমোদন নিয়ে প্রশ্ন

অশোক ভট্টাচার্যের প্রশ্ন এই অনুষ্ঠানের অনুমোদন কারা দিয়েছেন।, কারা এঁদের উপস্থিতির অনুমোদন দিয়েছেন, সেই প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। এই অনুষ্ঠানে সাধারণ স্বাস্থ্যবিধি মানা হয়নি বলে অভিযোগ করেছেন অশোক ভট্টাচার্য।

অশোক ভট্টাচার্যের একাধিক প্রশ্ন

জানা গিয়েছে, শিলিগুড়ির বিরোধী দলনেতার উদ্যোগে করোনা জয়ীদের সম্বর্ধনার আয়োজন করা হয়েছিল। এই সভায় ভীড় তুলনামূলক ভাবে বেশিই হয়েছিল।
শিলিগুড়ির বিরোধী দলনেতার উদ্যোগে আয়োজিত অনুষ্ঠান নিয়ে একাধিক প্রশ্ন তুলেছেন শিলিগুড়ির প্রশাসক অশোক ভট্টাচার্য। তাঁর প্রশ্ন যাঁদের কোয়ারেন্টাইনে যাওয়ার কথা তাঁরা গিয়েছেন কিনা। তিনি এই ধরনের অনুষ্ঠানে কলকাতা থেকে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের আসা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন। তাঁর অভিযোক এই সভা করোনা মোকাবিলার থেকেও বেশি ছিল রাজনৈতিক।

শিলিগুডির জন্য দাবি

অশোক ভট্টাচার্যের দাবি, শিলিগুড়ির করোনা পরিস্থিতির মোকাবিলা করতে এই মুহুর্তে প্রয়োজন কলকাতা থেকে অন্তত ২৫ জনে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের একটা দলকে পাঠানো। কেননা সেখানে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। অনেকেরই বয়স ৬৫-র বেশি নয়, কিংবা তাঁদের কোমরবিডিটি ঠিল না বলে দাবি করেছেন তিনি।

আপাতত বাড়ি থেকে কাজ অশোকের

প্রায় দিন কুড়ি হাসপাতালে ভর্তি থেকে করোনা জয় করার পর সোমবার বাড়িতে ফিরেছেন অশোক ভট্টাচার্য। তিনি জানিয়েছেন, স্বাস্থ্য বিধি মেনে হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকবেন। তারপর বাড়ি থেকে তাজ শুরু করবেন।

English summary

Ruling party and ministers are spreading coronavirus in the name of awareness, says Ashok Bhattacharya