হাঁসখালি কাণ্ডে প্রশ্নের মুখে 'হাতুড়ে' চিকিৎসক ও শ্মশানের ভূমিকা! হাইকোর্টে দায়ের জনস্বার্থ মামলা
নদিয়ার হাঁসখালির (Hanskhali) ঘটনায় রবিবারে গ্রেফতার করা হয়েছে মূল অভিযুক্ত তৃণমূল (trinamool congress) নেতার ছেলেকে। সোমবার ওই যুবককে রানাঘাট আদালতে তোলা হয়। অন্যদিকে নির্যাতিতা নাবালিকার মা, গ্রামের চিকিৎসক (doctor)
নদিয়ার হাঁসখালির (Hanskhali) ঘটনায় রবিবারে গ্রেফতার করা হয়েছে মূল অভিযুক্ত তৃণমূল (trinamool congress) নেতার ছেলেকে। সোমবার ওই যুবককে রানাঘাট আদালতে তোলা হয়। অন্যদিকে নির্যাতিতা নাবালিকার মা, গ্রামের চিকিৎসক (doctor) এবং শ্মশান কর্তৃপক্ষের (cremation authority) গোপন জবানবন্দি নেওয়ার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়েছে রানাঘাট আদালতে। এদিকে হাঁসখালির ঘটনা নিয়ে হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করা হয়েছে।
ঘটনাটি গত সপ্তাহের
গত
সপ্তাহের
সোমবার
নাবালিকা
তার
এক
বন্ধুর
জন্মদিনের
আমন্ত্রণে
গিয়েছিল।
বন্ধু
হল
নদিয়ার
হাঁসখালির
একনম্বর
ব্লকের
গাজনা
গ্রাম
পঞ্চায়েতের
তৃণমূল
সদস্য
সমর
গোয়ালার
ছেলে
ব্রজগোপাল
গোয়ালা।
রাতে
ব্রজগোপালের
বাড়িতে
অসুস্থ
হওয়ার
কথা
জানিয়ে
এক
মহিলা
ও
নাবালিকাকে
তার
বাড়িতে
পৌঁছে
দেয়।
অভিযোগ,
সঙ্গে
বলা
হয়
কোনও
সরকারি
কিংবা
বেসরকারি
হাসপাতালে
নেওয়া
যাবে
না।
গ্রামের
হাতুড়ে
চিকিৎসকের
কাছেই
নিতে
হবে।
সেই
মতো
নাবালিকাকে
সেখানে
নেওয়া
হয়।
কিন্তু
অতিরিক্ত
রক্তক্ষরণের
জেরেই
ভোররাতে
নাবালিকার
মৃত্যু
হয়।
মৃত্যুর
পরেই
একদল
লোক
বাড়ির
লোককে
হুমকি
গিয়ে
স্থানীয়
শ্মশানে
গিয়ে
দেহ
পুড়িয়ে
দেয়।
পরে
জানা
যায়,
জন্মগিনের
পার্টিতে
নাবালিকাকে
ধর্ষণ
করা
হয়।
যার
জেরেই
সে
অসুস্থ
হয়ে
পড়ে।
একসপ্তাহ
পরে
রবিবার
এই
ঘটনা
সবার
সামনে
আসে।
রানাঘাট আদালতে গোপন জবানবন্দি
দেরিতে হলে নড়েচড়ে বসে হাঁসখালি থানার পুলিশ। নির্যাতিতা নাবালিকার মা, শ্মশানের দায়িত্বে থাকা ব্যক্তি এবং গত সোমবার রাতে গ্রামের যে চিকিৎসকের বাড়িতে ওষুধ আনতে গিয়েছিলেন নির্যাতিতার মা, সেই চিকিৎসকের জবানবন্দি নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। এই কাজের জন্য সোমবার ওই তিনজনকে রানাঘাট আদালতে নিয়ে যাওয়া হয়। এদিকে এই ঘটনায় হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়েরের অনুমতি দিয়েছেন প্রধান বিচারপতি। মঙ্গলবার এনিয়ে শুনানির সম্ভাবনা রয়েছে।
যাঁদের ভূমিকা সন্দেহজনক
এব্যাপারে
গত
মঙ্গলবার
স্থানীয়
শ্মশানের
ভূমিকাও
সন্দেহজনক।
কেননা
নির্যাতিতার
পরিবারের
বয়ান
অনুযায়ী,
মঙ্গলবার
ভোররাতে
মৃত্যুর
পরেই
বেশ
কয়েকজন
যুবক
তাঁদের
বাড়িতে
এসে
মৃতদেহ
তাড়াতাড়ি
পোড়ানোর
জন্য
চাপ
দেয়।
সেই
বাড়ির
লোকেরা
শোকস্তব্ধ।
শ্মশানে
কোনও
ডেথ
সার্টিফিকেট
ছাড়াই
দেহ
দাহ
করা
হয়।
অন্যদিকে
স্থানীয়
চিকিৎসক
হাতুড়ে
হলেও,
তিনি
রোগীকে
দেখে
ঠিক
কী
বলেছিলেন,
তিনি
কী
হাসপাতালে
নিয়ে
যেতে
বলেননি,
সেই
প্রশ্ন
উঠতে
শুরু
করেছে।
পুলিশকে
কি
ওই
চিকিৎসক
কিছু
জানিয়েছিলেন,
সেই
প্রশ্নও
উঠেছে।
বিজেপির ডাকে চলছে ১২ ঘন্টার বনধ
নাবালিকার ধর্ষণ ও মৃত্যুর ঘটনার জেরে এদিন সকাল ৬ টা থেকে এলাকায় বিজেপির ডাকে ১২ ঘন্টার বনধ চলছে। রাস্তায় গাড়ি কম। এদিন নাবালিকার বাড়িতে যাওয়ার কথা রয়েছে বিজেপি ও বাম প্রতিনিধি দলের। মহিলাদের নিরাপত্তা এবং আইনশৃঙ্খলা নিয়ে বিজেপির প্রতিনিধিদলের তরফে পুলিশকে স্মারকলিপি দেওয়ার কথা রয়েছে।
চার পূর্বসূরীর পথেই সীতারাম! একনজরে সিপিআইএম-এর ৫৮ বছরের ইতিহাস