লোকাল ট্রেন চালুর দাবিতে বিভিন্ন স্টেশনে অবরোধ! সোনারপুরে ধুন্ধুমার, জিআরপিকে লক্ষ্য করে ইট-বৃষ্টি
করোনা (coronavirus) পরিস্থিতির উন্নতিতে সরকারি, বেসরকারি অফিস খোলার অনুমতি মিললেও, চালু হয়নি লোকাল ট্রেন (local train)। যা নিয়ে অসুবিধায় নিত্যযাত্রীরা। বুধবারের পরে বিষয়টিকে নিয়ে অবরোধে সামিল (protest)তাঁরা। এদিন
করোনা (coronavirus) পরিস্থিতির উন্নতিতে সরকারি, বেসরকারি অফিস খোলার অনুমতি মিললেও, চালু হয়নি লোকাল ট্রেন (local train)। যা নিয়ে অসুবিধায় নিত্যযাত্রীরা। বুধবারের পরে বিষয়টিকে নিয়ে অবরোধে সামিল (protest)তাঁরা। এদিন সকাল থেকে সোনারপুর-সহ (sonarpur) দক্ষিণ শহরতলীর বিভিন্ন স্টেশনে অবরোধ শুরু করেন তাঁরা। সোনারপুর স্টেশনে জিআরপির (grp) সঙ্গে ধস্তাধস্তি হয় তাঁদের। জিআরপিকে লক্ষ্য করে ইট-বৃষ্টি করা হয় বলেও অভিযোগ।
২৫ শতাংশ কর্মী নিয়ে শুরু করা যাবে কাজ
মে মাসের মধ্যবর্তী সময় থেকে রাজ্যে আত্মনিয়ন্ত্রণের প্রক্রিয়া চালু করা হয়। সরকারি তরফ থেকে বিষয়টিকে লকডাউন বলা হয়নি। তবে এইমাসে পরিস্থিতির উন্নতি হওয়া, মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেন সরকারি ও বেসরকারি অফিসে ২৫ শতাংশ লোক নিয়ে কাজ শুরু করা যাবে। তবে কর্মীদের নিয়ে আসার ব্যবস্থা করতে হবে সংস্থাগুলিকে। এক্ষেত্রে বেশিরভাগ বেসরকারি সংস্থাই কর্মীদের যাতায়াতের বন্দোবস্ত না করেই জানিয়েছে, কর্মীদের কর্মক্ষেত্রে যেতে হবে।
শর্ত মেনে চলছে ট্রেন, মেট্রো
রাজ্যে দ্বিতীয় দফায় লকডাউন শুরু হলেও, রেলের তরফ থেকে রেলকর্মীদের জন্য স্টাফ স্পেশাল চালানো হয়েছে। শুরু থেকেই বিভিন্ন অত্যাবশ্যকীয় কাজের সঙ্গে যুক্ত থাকাদের ট্রেনে চড়ার সুযোগ দিতে রেলকে অনুরোধ করে বিভিন্ন সরকারি সংস্থা। সেই মতো কাজ চলছি। কিন্তু গোল বাধে ২৫ শতাংশ লোক নিয়ে কাজ শুরুর নির্দেশিকার পরেই। একইভাবে মেট্রো চলাচলও শুরু করা হয়েছে। কিন্তু তাতে বেশ কিছু শর্ত মানতে হচ্ছে।
স্টেশনে স্টেশনে অবরোধ
নিয়মিত লোকাল ট্রেন চালুর দাবিতে এদিন দক্ষিণ শহরতলীর বিভিন্ন স্টেশনে অবরোধ শুরু হয় বুধবারের মতোই। সোনারপুর, ঘুটিয়ারি শরিফ, মল্লিকপুর স্টেশনে অবরোধ চলে বেশ কিছুক্ষণ। অবরোধের জেরে স্টাফ স্পেশাল আটকে পড়ে। সোনারপুর, মল্লিকপুরে জিআরপি অবরোধ তুলতে গেলে ধুন্ধুমার পরিস্থিতি তৈরি হয়। মল্লিকপুরে অবরোধকারীরা পুলিশকে তাড়া করে স্টেশন চত্বর থেকে সরিয়ে দেয়। অবরোধকারীরা জিআরপিকে লক্ষ্য করে ইটবৃষ্টি শুরু করেন বলে অভিযোগ।
বিভাজন বন্ধের দাবি
নিত্যযাত্রীরা বলছেন, কর্মস্থলে পৌঁছতে তাঁদের বাড়তি টাকা খরচ হচ্ছে। অনেক সময় সেটাও পাচ্ছেন না তাঁরা। করোনা সতর্কতা মেনে ট্রেন চালুর দাবির পাশাপাশি ট্রেনে ওঠার ক্ষেত্রে বিভাজন বন্ধের দাবি করা হয়েছে নিত্যযাত্রীদের তরফে। তারা বলছেন, যদি সবাই যেতে পারেন, তাহলে ট্রেন চালানো হোক, না হলে, পুরোপুরি বন্ধ রাখা হোক।
ভোট পরবর্তী হিংসার অভিযোগ, রাজ্যে মানবাধিকার কমিশনের প্রতিনিধিদল