চাকরির নামে প্রতারণার অভিযোগ! ফের পুলিশের জালে মুকুল ঘনিষ্ঠ
ফের পুলিশের জালে মুকুল রায় ঘনিষ্ঠ। জলপাইগুড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে মুকুল রায় ঘনিষ্ঠ বিজেপি নেতা প্রবাল রাহাকে। চাকরির নামে প্রতারণার অভিযোগ করেছেন সেখানকারই এক ব্যক্তি।
ফের পুলিশের জালে মুকুল রায় ঘনিষ্ঠ। জলপাইগুড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে মুকুল রায় ঘনিষ্ঠ বিজেপি নেতা প্রবাল রাহাকে। চাকরির নামে প্রতারণার অভিযোগ করেছেন সেখানকারই এক ব্যক্তি। আদালত প্রবাল রাহাকে পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে।
অভিযোগ, এবারের পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিজেপি জলপাইগুড়িতে প্রচুর অর্থ ব্যয় করেছে। সূত্রের মাধ্যমে পাওয়া খবরে জানা গিয়েছে, সেই অর্থের সন্ধান করতেই প্রবাল রাহাকে পুলিশ জেরা করে। অর্থের উৎস সম্পর্কে প্রবাল রাহা জানাতে পারেননি বলে জানা গিয়েছে।
জানা গিয়েছে, শনিবার সকালে প্রবাল রাহার বাড়িতে যান জলপাইগুড়ি থানার আইনি। তাঁকে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। বেশ কয়েকঘণ্টা বসিয়ে রাখার পর প্রবাল রাহাকে গ্রেফতার করা হয়। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, জলপাইগুড়ির বাসিন্দা পূণ্যব্রত মিত্র অভিযোগ করেছিলেন, চাকরি দেওয়ার নাম করে প্রতারণার।
একের পর এক মুকুল রায় ঘনিষ্ঠকে গ্রেফতার করছে পুলিশ। এর আগে, বুধবার রাতে ভিআইপি রোডের রেস্তোরাঁ থেকে গ্রেফতার করা হয় কাঁচড়াপাড়া এলাকার বাসিন্দা সুবোধ অধিকারীকে। বিস্ফোরক আইনে গ্রেফতার করা হয় বিজেপি নেতা মুকুল রায় ঘনিষ্ঠ সুবোধ অধিকারীকে।
দিনকয়েক আগে প্রতারণার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছিল মুকুল রায়ের শ্যালক সৃজন রায়কে। এছাড়াও মুকুল রায়ের বিরুদ্ধে প্রতারণা থেকে খুন, এহেন ১৭ টি অভিযোগ নিয়ে এগোচ্ছে রাজ্য প্রশাসন। এর পাশাপাশি মুকুল রায় ঘনিষ্ঠদের মধ্যে চলছে অভিযান। সূত্রের দাবি অনুযায়ী, পঞ্চায়েত নির্বাচনে ব্যস্ত রয়েছেন মুকুল রায়। সেই দিকে লক্ষ্য রেখেই জাল গোটাতে চাইছে প্রশাসন।
রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে, বিজেপিতে যাওয়ার পর থেকেই টার্গেটে রয়েছেন মুকুল রায়। এর আগে প্রতারণা মামলায় মুকুল রায় অনুগামী দেবাশিস দাসকে গ্রেফতার করেছিল সিআইডি। এরপর পুরনো একটি মামলায় মুকুল অনুগামী পৃথ্বীশ দাশগুপ্তকে গ্রেফতার করেছিল সিআইডি। এখনও খোঁজ চলছে মুকুল রায় ঘনিষ্ঠ ছাত্রনেতা সুজিত শ্যামের।