অবশেষে কাটল জট! এবছরও বসবে শান্তিনিকেতনের পৌষ মেলা, কমবে মেলার দিন
শান্তিনিকেতনে পৌষ মেলা নিয়ে অবশেষে কাটল জট। মেলা নিয়ে তৈরি হওয়া জটিলতা কাটাতে একাধিকবার বৈঠকে বসেছিলেন বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ এবং শান্তিনিকেতন ট্রাস্ট।
শান্তিনিকেতনে পৌষ মেলা নিয়ে অবশেষে কাটল জট। মেলা নিয়ে তৈরি হওয়া জটিলতা কাটাতে একাধিকবার বৈঠকে বসেছিলেন বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ এবং শান্তিনিকেতন ট্রাস্ট। সেখানেই মেলা আয়োজনের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তবে এবারের মেলা হবে মোট চার দিনের। পাশাপাশি পরিবেশ দূষণ নিয়ে থাকছে নতুন নিয়ম।
এবারেও বসবে পৌষ মেলা
বেশ কিছুদিন আগে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের পৌষমেলা পরিচালনার দায়িত্ব থেকে সরে আসার সিদ্ধান্ত ঘোষণা জেরে মেলা নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছিল। তারপরেই অবশ্য কয়েক দফা আলোচনা হয় বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ এবং শান্তিনিকেতন ট্রাস্টের মধ্যে। দূষণ ঠেকাতে এবার যেমন একাধিক নিয়ম থাকছে, পাশাপাশি যত্রতত্র মেলার স্টল দেওয়া বন্ধ করতে অনলাইনে বুকিং চালু করা হচ্ছে।
থাকবে না ভাঙা মেলা
ঠিক হয়েছে এবারের মেলা হবে ৪ দিনের। তবে মেলা শেষ হওয়ার পরে কোনও ভাঙা মেলা রাখা হবে না বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
পরিবেশ আদালতের মামলার জেরে সমস্যার শুরু ২০১৫ সাল থেকে
জাতীয় পরিবেশ আদালতের মামলার জেরে সমস্যার শুরু ২০১৫ সাল থেকে। মেলার এবং পরবর্তী সময়ে দূষণ নিয়ে আদালতে মামলা হয়। ২০১৯-এও আরও একটি মামলা হয়। নানা বিধিনিষেধ আরোপ করা হয় পরিবেশ আদালতের তরফ থেকে। এরপরেই মেলা পরিচালনা থেকে সরে আসার সিদ্ধান্তের কথা জানায় বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ।
আবর্জনার স্তূপ নিয়ে মামলা
প্রতিবারই মেলার সময় কিংবা মেলার শেষে মেলার মাঠে আবর্জনার স্তূপ জমে থাকে। এছাড়াও ধূলোর জেরেও দূষণ তৈরি হয়। এই নিয়ে মামলার জেরেই জটিলতা তৈরি হয়ে।
মেলার শুরু ১৮৯৪ সালে
শান্তিনিকেতনে প্রথমবার পৌষ মেলা বসেছিল ১৮৯৪ সালের ৭ পৌষ। প্রথমের দিকে মেলা পরিচালনা করতে শান্তিনিকেতন ট্রাস্ট। পরবর্তী সময়ে দায়িত্ব নেয় বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে যেমন মেলার আয়তন বেড়েছে, বেড়ে মেলা দেখতে আসা দেশি-বিদেশি অতিথিদের সংখ্যা।