ভূতের ভয়ে দুরুদুরু বুক কাঁপে রাত নামলেই, মনের ভূত তাড়ানোর উদ্যোগ শুরু
ভূত-আতঙ্ক কিছুতেই পিছু ছাড়ছে না জলপাইগুড়ি শহর সংলগ্ন বিস্তীর্ণ এলাকায়। প্রতিদিনই ভূতে ধরছে, আর মাথার ভূত তাড়াতে সমানে চলছে ওঝার দাপাদাপি।
ভূত-আতঙ্ক কিছুতেই পিছু ছাড়ছে না জলপাইগুড়ি শহর সংলগ্ন বিস্তীর্ণ এলাকায়। প্রতিদিনই ভূতে ধরছে, আর মাথার ভূত তাড়াতে সমানে চলছে ওঝার দাপাদাপি। কুসংস্কারাচ্ছন্ন জলপাইগুড়ির ওই এলাকায় মানুষের মন থেকে ভূত তাড়াতে এবার আসরে নামল প্রশাসন। বিজ্ঞান মঞ্চকে নিয়ে শুরু হল সচেতনা প্রচার।
সম্প্রতি জলপাইগুড়ির বড় চৌধুরীপাড়ায় তৃতীয় শ্রেণির এক ছাত্রীকে ভূতে ধরেছে বলে রটে যায়। তারপর সে বন্ধ করে দেয় স্কুলে যাওয়া। সেই ছাত্রী ভূত আতঙ্ক কাটিয়ে স্বাভাবিক হতে না হতেই পাশের গ্রাম নাউয়াপাড়ায় খবর রটে যায় এক যুবতীকে ভূত ধরেছে। ব্যস, শুরু হয়ে আতঙ্ক। সঙ্গে সঙ্গে ওঝার কাছে ছোটে পরিবার-পরিজন।
ওঝার ঝাড়ফুঁকের ফলে অসুস্থ হয়ে পড়ে তরুণী। এই পরিস্থিতিতে সমগ্র পরিস্থিতিকে চ্যালেঞ্জ হিসেবেই নেন বিজ্ঞানমঞ্চের সদস্যরা। তাঁরা কোতোয়ারি থানার পুলিশকে নিয়ে সচেতনতা অভিযান শুরু করেছে জলপাইগুড়ির ওই এলাকায়। তাঁরা বোঝাচ্ছেন, এসবই কুসংস্কার ও অন্ধবিশ্বাস। সবটাই মনের ভুল। মনের ভূতকে সরকালে আর কাউকে ভূত ধরবে না।
ঘটনার সূত্রপাত ১৬ নভেম্বর। ওইদিন তৃতীয় শ্রেণির এক ছাত্রীর অস্বাভাবিক আচরণেই ভূতের আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। আশপাশের সমস্ত গ্রামে রটে যায় ভূতে ধরার কাহিনি। শুরু হয়ে যায় ভূত আতঙ্ক। ওই ছাত্রীর বাবা জানায়, স্কুল থেকে ফিরেই অস্বাভাবিক আচরণ করতে থাকে মেয়ে। কখনও অট্টহাসি, কখনও হুঙ্কার। তাতেই ধারণা হয় অতৃপ্ত আত্মা ভর করেছে তাকে।
লোকমুখে তা ছড়িয়ে পড়তেই গোটা এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। স্কুলে যাওয়া বন্ধ করে দেয় অন্য ছাত্রছাত্রীরাও। আতঙ্ক দূর করতে প্রচারে নামে প্রশাসন। এরপর ফের এক তরুণীকে নিয়ে শুরু হয়ে ভৌতিক-কাণ্ডকারখানা। তারপরই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে মাঠে নামছে প্রশাসন।