নেতাজি আবেগ উসকে একুশের বাংলায় পালাবদলের ঘুঁটি সাজাচ্ছেন মোদী!
নেতাজির ভাইঝি ও শরৎচন্দ্র বোসের কনিষ্ঠ কন্যা চিত্রা ঘোষ পরলোকগমন করেছেন গতকাল। এই ঘটনা নিয়ে শোকপ্রকাশ করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। কয়েক বছর আগে চিত্রাদেবীর সঙ্গে দেখাও করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। সেই সময় নানা বিষয়ে তাঁর সঙ্গে আলোচনা করেছিলেন। সেই কথার স্মৃতি তুলে ধরেছেন প্রধানমন্ত্রী।
নেতাজির জন্মদিনে কলকাতায় মোদী
এদিকে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর ১২৫তম জন্মজয়ন্তী উদ্যাপনের সূচনায় ২৩ জানুয়ারি কলকাতার ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল থেকে ভাষণ রাখবেন নরেন্দ্র মোদী। এর আগে পোর্ট ব্লেয়ারে তেরঙ্গা পতাকার উত্তোলনের বর্ষপূর্তিতে নেতাজিকে স্মরণ করেন প্রধানমন্ত্রী। প্রসঙ্গত ১৯৪৩-এর ৩০ ডিসেম্বর পোর্ট ব্লেয়ারে তেরঙ্গা পতাকার উত্তোলন হয়েছিল।
চিত্রা ঘোষের মৃত্যু নিয়ে মোদী টুইট করেন
চিত্রা ঘোষের মৃত্যু নিয়ে মোদী টুইট করেছেন। সেখানে তিনি লিখেছেন, 'শিক্ষাজগত ও সামাজিক ক্ষেত্রে প্রফেসর চিত্রা ঘোষের অসাধারণ অবদান রয়েছে। আমি তাঁর সঙ্গে আমার কথা বলার স্মৃতি মনে করছিলাম। যখন আমরা নেতাজি সংক্রান্ত ফাইল প্রকাশ-সহ একাধিক বিষয়ে আলোচনা করেছি। তাঁর প্রয়াণে দুঃখ পেয়েছি। তাঁর পরিবারকে জানাই সমবেদনা। ওম শান্তি।'
কে ছিলেন চিত্রা ঘোষ
চিত্রা ঘোষ রাষ্ট্রবিজ্ঞান ও অর্থনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। তার পর তিনি শিক্ষাজগতের সঙ্গে যুক্ত হন। দীর্ঘ সময় তিনি বেথুন কলেজে শিক্ষকতা করেছেন। লেডি ব্র্যাবোর্ন কলেজে পলিটিক্যাল সায়েন্স বিভাগের প্রধানের দায়িত্বও তিনি সামলেছেন। পলিটিক্যাল সায়েন্স ও আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ে তিনি কলকাতা ও যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অতিথি অধ্যাপক হিসেবেও পড়িয়েছেন। পরে তিনি নেতাজি ইনস্টিটিউট ফর এশিয়ান স্টাডিজ়ে সামাজিক ও রাজনীতির ইতিহাস নিয়ে পড়িয়েছেন। এছাড়া একাধিক বইও লিখেছেন চিত্রাদেবী।
ফোকাসে নেতাজি
ওয়াকিবহাল মহলের মত, যেহেতু নেতাজি বাঙালি। আর বাঙালিদের আইকন। তাই বিধানসভা নির্বাচনের আগে পশ্চিমবঙ্গবাসীর কাছে নেতাজিকে শ্রদ্ধাজ্ঞাপনের মাধ্যমে বার্তা দিতে চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। কারণ বিধানসভা নির্বাচন যত এগিয়ে আসছে, ততই বাংলার মণিষীদের প্রসঙ্গ বারবার সামনে আনছে বিজেপি।