নন্দীগ্রাম কাণ্ডে সিবিআইএ-র চার্জশিটকে চ্যালেঞ্জ নিহতের পরিবারের
নিহতদের পরিবারের আইনজীবী রাজদীপ মজুমদার প্রশ্ন তোলেন, ২০০৭ সালের প্রধান বিচারপতি এসএস নির্জর এবং বিচারপতি পিনাকী চন্দ্র ঘোষের নির্দেশে বলা হয়েছিল গুলি চালনর ঘটনা অসাংবিধানিক ও বেআইনি। অথচ সিবিআই চার্জশিটে গুলি চালনার ঘটনার পক্ষে ব্যাখ্যা দিয়েছে। তাই সিবিআই-কে নতুন করে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হোক বলে আর্জি জানানো হয়েছে।
মামলার পরবর্তী শুনানি ১২ ফেব্রুয়ারি
রাজদীপবাবু জানিয়েছেন, নতুন করে সিবিআই তদন্ত করা হোক অথবা প্রয়োজন পড়লে বিশেষ তদন্তকারী দলকে নন্দীগ্রাম কাণ্ডের তদন্তের ভার দেওয়া হোক।
যদিও এই দাবিকে মানতে নারাজ সিবিআই-এর আইনজীবী আসরফ আলি। তার কথায় যে মামলার তদন্ত হয়ে গিয়েছে কিন্তু আইনি মীমাংসা হওয়া বাকি রয়েছে সেই মামলার জন্য নতুন করে তদন্তের দাবী করা যায় না।
২০০৭ সালের ১৪ মার্চ পুলিশের গুলিতে ১৪ জন গ্রামবাসীর মৃত্যু হয়। পরদিনই স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে কলকাতা হাইকোর্ট সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেয়। এর দু'দিন পরে আদালত জানিয়ে দেয় গুলি চালানোর ঘটনা অসাংবিধানিক ও বেআইনি বলে জানায়৷ সিবিআই চার্জশিট দায়ের করে যাতে বলা হয়, ওই বিধানসভা কেন্দ্রে আইনশৃঙ্খলা ভঙ্গ হয়েছিল। পুলিশকে আইনি দায়িত্ব পালনে বাধা দেওয়া। পুলিশের ৩০ জন কর্মীও আহত হয়েছেন।