আচার্য হিসাবে রাজ্যপালকে সরিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে আনার ভাবনা! 'সংঘাত' চরমে উঠতেই বললেন ব্রাত্য বসু
ক্রমশ রাজ্যপালের সঙ্গে সংঘাতের রাস্তায় নবান্ন! বিশ্ববিদ্যালয়গুলির উপাচার্য নিয়োগকে কেন্দ্র করে ধনখড়ের সঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারের সংঘাত নতুন কিছু নয়। উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে বারবার শিখাদফতরের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন
ক্রমশ রাজ্যপালের সঙ্গে সংঘাতের রাস্তায় নবান্ন! বিশ্ববিদ্যালয়গুলির উপাচার্য নিয়োগকে কেন্দ্র করে ধনখড়ের সঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারের সংঘাত নতুন কিছু নয়। উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে বারবার শিখাদফতরের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন রাজ্যপাল। তাঁকে কিছু না জানিয়ে করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ তাঁর।
এই অবস্থায় গত কয়েকদিন আগে রাজ্যপাল রাজ্যের সমস্ত বিশ্ববিদ্যায়ের উপাচার্যদের ডেকে পাঠান। কিন্তু কেউ দেখা করতে আসেননি। আর তা নিয়ে নতুন করে সংঘাত। আর এই অবস্থায় শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর মন্তব্য নতুন করে জল্পনা তৈরি হয়েছে। তাহলে কি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর আচার্য পদ থেকে সরছেন রাজ্যপাল?
সংঘাত প্রসঙ্গে এদিন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু বলেন, আচার্য হিসাবে রাজ্যপালকে সরিয়ে দেওয়ার ভাবনা চিন্তা শুরু হয়েছে। সেই পদে মুখ্যমন্ত্রীকে আনার ভাবনা চলছে বলেও জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী। তবে তা অন্তর্বর্তিকালীন হিসেবে বলে স্পষ্ট করেছেন তিনি। আর তা করতে গেলে কোনও আইনি সমস্যা তৈরি হতে পারে কিনা তা নিয়ে আইনজীবীদের সঙ্গে আলোচনা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ব্রাত্য বসু।
আজ শুক্রবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। কার্যত রাজ্যপালের বিরুদ্ধে একরাশ ক্ষোভ উগরে দেন তিনি। বলেন, দিনের পর দিন ফাইল সই করেননা রাজ্যপাল। ফলে অনেক ক্ষেত্রেই সমস্যার মধ্যে পড়তে হয়। শুধু তাই নয়, সহযোগিতা বলে কিছু করা হয় না বলেও তোপ শিক্ষামন্ত্রীর। অন্তবর্তিকালীন সময়ের জন্য রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর আচার্য পদে মাননীয় মুখ্যমন্ত্রীকে নিয়ে আসা যায় কিনা তা নিয়ে ভাবনা চিন্তা চলছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
এক্ষেত্রে সংবিধান এবং আইনজীবীদের পরামর্শ নেওয়া হচ্ছে বলেও জানিয়েছেন ব্রাত্য বসু। তবে এই সিদ্ধান্ত রাজ্যপাল এবং নবান্ন সংঘাত আরও বাড়বে বলেই মনে করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি শিক্ষা ব্যবস্থাতে দলবাজি চলছে। সংগঠন বিস্তারের চেষ্টা বলছে বলে দাবি ধনখড়ের। শুধু তাই নয়, সোশ্যাল মিডিয়াতে রাজ্যপাল আরও লেখেন, মমতা সরকারের আমলে শিক্ষাব্যবস্থায় চিত্রটা ভয়াবহ। কার্যত রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে একের পর এক বিস্ফোরক দাবি তাঁর। আর তা নিয়েই পালটা বক্তব্য শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর।
এমনকি এই প্রসঙ্গে সৌগত রায় বলেন, করোনার কারনে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি অনেকদিন বন্ধ ছিল। ধীরে ধীরে খুলতে শুরু করেছে। পরিস্থিতি অনেক জায়গার থেকে ভালো। ওনার কেন মনে হল তা আমার কাছে স্পষ্ট নয় বলে দাবি তৃণমূল সাংসদের।