দমকা হাওয়ার সঙ্গে ভারী বৃষ্টি, দুর্যোগ থেকে দুর্ভোগ, বিপাকে সাধারণ মানুষ
ভারী বৃষ্টির সঙ্গে দমকা হাওয়া চলছে ভোর রাত থেকেই। ফলে দুর্যোগ থেকে শুরু হয়েছে দুর্ভোগ। সপ্তাহের কাজের দিনের শুরুতে বিপাকে পড়েছেন সাধারণ মানুষ।
ভারী বৃষ্টির সঙ্গে দমকা হাওয়া চলছে ভোর রাত থেকেই। ফলে দুর্যোগ থেকে শুরু হয়েছে দুর্ভোগ। সপ্তাহের কাজের দিনের শুরুতে বিপাকে পড়েছেন সাধারণ মানুষ।
একটানা ছুটির পর সাধারণ একটা অফিসের দিন। দিনের শুরুতেই ব্যস্ততা থাকবে এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু যারা একটু সকালের দিকে ওঠেন তাঁরাই টের পেয়েছেন ভোর রাত থেকে শুরু হওয়া প্রাকৃতিক দুর্যোগের। ভারী বৃষ্টির সঙ্গে মাঝে মধ্যেই চলছে দমকা হাওয়া। হাওয়ার জেরে জানলা-দরজাও খোলা রাখা দায়। জানলা বন্ধ করে ঘরে আলো জ্বালিয়ে চলছে কাজ। আর দীর্ঘ ছুটির পর যাঁদের অফিস যেতেই হবে তাঁরা বেরিয়ে পড়েছেন। তবে বেরিয়েও রক্ষা নেই দুর্যোগের জেরে রাস্তায় কোথাও জমেছে জল। কোথাও বা গাছ পড়ে রাস্তা বন্ধ। ফলে দুর্যোগ গড়িয়েছে দুর্ভোগে।
উত্তর বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপের প্রভাবে হওয়া বৃষ্টিতে কলকাতার আন্ডারপাসগুলিতে জল জমেছে। যাঁরা দমদম, উল্টোডাঙা, কাঁকুরগাছি দিয়ে যাতায়াত করেন সকালে তাঁরাও বিপাকে পড়ে যান। জল জমে যায় ঠনঠনিয়ায়। জল জমার জেরে সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউতে যানজটের সৃষ্টি হয়।
দমকা হাওয়ার জেরে শহরের একাধিক জায়গায় গাছ পড়ে যান চলাচলে বিঘ্ন ঘটে। দক্ষিণে শরৎ বোস রোড, লেক রোড, গোলপার্ক কিংবা উত্তরের নারকেল ডাঙা মেইন রোডে গাছ পড়ে যান চলাচল প্রায় বন্ধ হয়ে যায়। গাছ পড়ে যানজট তৈরি হয় হাইড রোড এবং ট্রান্সপোর্ট ডিপো রোডেও। গাছ পড়ে বেশ কিছুক্ষণের জন্য বন্ধ হয়ে যায় স্ট্র্যান্ড রোডও। শিশুমঙ্গল হাসপাতালের কাছে সিগন্যালের পোস্ট ভেঙে আহত হন এক মোটরবাইক আরোহী। তাঁকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ভর্তি করা হয় হাসপাতালে।
বৃষ্টি ও দমকা হাওয়ার প্রভাব পড়েছে রেল চলাচলেও। শিয়ালদহ দক্ষিণ শাখায় রেল চলাচলে বিঘ্ন ঘটে। হাওড়া কর্ড লাইনেও ব্যাহত হয় ট্রেন চলাচল।