প্রিয় প্রয়াণে ব্যাথাতুর পার্থ, স্মৃতির মানসপটে প্রিয় নেতার কথায় ফিরলেন অতীত জীবনে
প্রিয়রঞ্জন দাশমুন্সির প্রয়াণে আজ শোকাহত বাংলার গোটা রাজনৈতিকমহল। একইভাবে শোকাহত বামবিরোধী রাজনীতির নেতারা তথা তৃণমূলের বহু নেতা। ।
প্রিয়রঞ্জন দাশমুন্সির প্রয়াণে আজ শোকাহত বাংলার গোটা রাজনৈতিকমহল। একইভাবে শোকাহত বামবিরোধী রাজনীতির নেতারা তথা তৃণমূলের বহু নেতা। যাঁরা একটা সময়ে প্রিয়রঞ্জন দাশমুন্সির সঙ্গেই একযোগে স্বপ্ন দেখেছিলেন পশ্চিমবঙ্গে বামমুক্ত সরকারের। তাঁদের মধ্যেই অন্যতম পার্থ চট্টোপাধ্যায়।
[আরও পড়ুন:প্রিয়রঞ্জন দাশমুন্সির মৃত্যুতে শোকজ্ঞাপন প্রধানমন্ত্রী মোদীর]
প্রিয়রঞ্জন দাশমুন্সির মৃত্যুতে রাজনীতির এক উজ্জ্বল নক্ষত্র পতন হয়েছে বলে ব্যাখ্যা করেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। "স্বাভাবিকভাবে তাঁর মৃত্যুতে আমরা শোকাহত।" প্রিয়রঞ্জন দাশমুন্সিকে শেষ সম্মান জানাতে , বিধায়করা যাঁরা শেষকৃত্যে যেতে চান তাঁদের সুবিধার্থে , আগামীকাল দুপুর ১২ টার পর বিধানসভার কাজ মুলতুবি করার আবেদন অধ্যক্ষের কাছে জানিয়েছেন তৃণমূল মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়।
ষাটের দশকের শেষে ছাত্র আন্দোলনের সামনে একদিকে নকশাল অন্যদিকে জাতীয়তাবাদী আন্দোলন। সেই সময়কার স্মৃতিচারণা করে পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, "এতভালো বক্তৃতা দেওয়ার ক্ষমতা প্রিয়দার মতো আমি কাউকে দেখিনি।... আমরা সকলেই চেষ্টা করতাম যে কীভাবে আমরা প্রিয়দার মতো বক্তৃতা দেব। তাঁর লেখা , তাঁর বক্তৃতা দেওয়ার ক্ষমতা, অতুলনীয়।" পাশাপাশি এদিন, তিনি তাঁর ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পক্ষ থেকে ঘটনায় গভীর শোকপ্রকাশ করে পার্থবাবু বলেন,'প্রিয়দার চলে যাওয়া জাতীয় রাজনীতির পক্ষেও বড় ক্ষতি'।
আশুতোষ কলেজে পড়ার সময়কার স্মৃতিচারণা করতে গিয়ে তিনি বলেন , সেই সময়কার যেকোনও শিবিরের কংগ্রেস নেতার সঙ্গেই একইভাবে মিশতেন 'প্রিয় দা'। প্রিয়রঞ্জনবাবুকে একবার অমান্য করে পার্থ চট্টোপাধ্যায় আশুতোষ কলেজে ছাত্র নির্বাচনে সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের কথা শুনে মনোনয়েন পেশ করেন। সে কারণে কীভাবে হন্যে হয়ে পার্থবাবুকে খুঁজেছিলেন প্রিয়রঞ্জন, সেই স্মৃতিও তিনি এদিন তুলে ধরেন সাংবাদিকদের সামনে।
প্রসঙ্গত,৬০ এর দশক থেকে রাজ্যের বিরোধী রাজনীতির এক অন্যতম মুখ ছিলেন কংগ্রেস নেতা প্রিয়রঞ্জন দাশমুন্সি। ২০০৮ সালের এক মহানবমীর রাতে হঠাৎই অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। সেই অসুস্থতাকে জয় করে আর কিছুতেই মূল ধারার জীবন স্রোতে তথা রাজনীতিতে , আর ফিরে আসতে পারেনি প্রিয়রঞ্জনবাবু। এরইমধ্যে বাংলার রাজনীতি দেখেছে চরম পালাবদল। বাংলার মসনদ দখল করে বাম বিরোধী রাজনীতির সৈনিকরা। কিন্তু তখন বামবিরোধী বিপ্লবের অন্যতম মুখ প্রিয়বাবু কোমায়। দীর্ঘ অসুস্থতা কেড়ে নেয় বাংলার এক উজ্জ্বল রাজনৈতিক ব্যাক্তিত্বকে।
[আরও পড়ন:প্রিয়রঞ্জন ছাড়া আজকের সোমেন মিত্রকে পাওয়া যেত না, 'বন্ধু'র প্রয়াণে স্মৃতিচারণা ]